অনেক শিশুরই শৈশবকাল বাস্তব জীবনের রুক্ষতার কাছে খুব দ্রুত হার মেনে নেয়। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার জন্য লড়াইয়ের ময়দানে অনেককে ছোট বয়সেই নেমে পড়তে হয়। কিন্তু তাতে কি ছেলেমানুষি, ছোট ছোট ইচ্ছে চাওয়া-পাওয়াগুলো হারিয়ে যায়? বোধহয় না। সুপ্ত ইচ্ছেগুলো মনের গভীরেই থেকে যায়। কখনও তাদের ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। আর তেমনই এক গল্প বলল মঙ্গেশ সাকপালের ‘গ্রিন স্ক্রিন’।
আরও পড়ুন :শর্ট ফিল্ম: Arranged Pyaar
ছবিতে দেখা যায় ছোটু (সার্ভে ডাতে) একটি 6-7 বছরের বাচ্চা ছেলে। সে একটি চায়ের দোকানে কাজ করে। সে মাঝে মধ্যেই ‘মা’ কেমন হয় সেটা ভাবে। মায়ের না থাকাটা সে ভীষণরকম অনুভব করে যেন। অন্য কোনও বাচ্চাকে তার মায়ের কাছে আদর খেতে দেখলে সে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে। আর এই ছোটুর বন্ধু হচ্ছে বান্টি (রাজ টাকালদার)। সে ভিক্ষা করে পথে পথে। ছোটুর তুলনায় বান্টি একটু বড়, সে তার এই জীবনকে মেনে নিয়েছে। অন্য ভাবনা তার আসে না। কিন্তু ছোটু মাঝেমধ্যেই তাকে জিজ্ঞেস করে মা কেমন হয়? সে ভালবাসে? আদর করে খেতে দেয়? উত্তরে বান্টি জানায় সে জানে না মা কেমন হয়। তবে এ’টুকু জানে খুব একটা ভাল হয় না। অকারণে তারা বাচ্চাকে মারে, আর তার মা তো তাকে ছোটবেলাতেই ফেলে চলে গেছে। দুই বন্ধুর মধ্যে এসবই আলোচনা হয়, তবুও ছোটু একবার তার মাকে পেতে চায়।
একদিন সে একটা জায়গায় চা দিতে গিয়ে এক অদ্ভুত জিনিস দেখে, ‘শুটিং’। ডিরেক্টর কার্তিক স্যার (প্রতুল পাওয়ার) জানায়, যে কাপড়ের উপর শ্যুটিং হচ্ছে সেটা গ্রিন স্ক্রিন। ওটা নাকি একটা ম্যাজিকাল কাপড়। ছোটুর এই সবুজ রঙের ‘গিন স্কিন’ ব্যাপারটা বেশ মনে ধরে। সে ভাবে এই কাপড়ের সাহায্যে তার যা চাই সে সব পেতে পারে। গিয়ে বন্ধু বান্টিকে জানায় ব্যাপারটা। তারপর দু’জনে মিলে অনেক সবুজ কাপড় চুরি করে আশপাশ থেকে আর তারপর সেগুলো জুড়ে বানিয়ে ফেলে নিজেদের ‘গিন স্কিন’। কিন্তু তাদের স্বপ্ন কি সফল হয়েছিল? নাকি ছেলেমানুষি আরও একবার বাস্তবের মাটিতে আছাড় খেয়ে ভেঙে গিয়েছিল? সেটাই দেখায় এই শর্ট ফিল্মটি।
গল্পটি হয়তো হামেশাই এদিক ওদিক দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু কতজন সেটা বোঝে বা অনুভব করে? আমাদের চারপাশে এরকম কতই ছোটু, বান্টি আছে। বাস্তবের এমন একটি গল্পকে ছবিতে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছোটুর চরিত্রে থাকা সার্ভে ডাতে বাচ্চাটির অভিনয় অত্যন্ত সাবলীল, বান্টির ভূমিকায় থাকা রাজেরও। ক্যামেরার কাজও বেশ ভাল।
বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রীড়াঙ্গনে যেটুকু ভারতের সাফল্য, তার পুরোটাই এ যাবৎ মেয়েদের।
কলকাতার শরৎকাল, শারদোৎসব সবই বদলেছে, বদলেছে রেডিওতে মহালয়া শোনার অভ্যেস, তবে সবটা কি বদলে গেছে?
পারলে কংক্রিটের ছাদের তলায় আশ্রয় নিন, খোলা মাঠে থাকলে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ শ্বেতাকাত্তির জয়ের স্বীকৃতি এক দিনের জন্য কানাডার কনসাল জেনারেল পদ।
ছোটু আর বান্টির স্বপ্ন কি ওদের গিন স্কিন পূরণ করতে পারবে?
করোনার স্বাস্থ্যবিধি কি এক একজনের জন্য এক এক রকম? প্রশ্ন উঠছে।