আজ থেকে বঙ্গে ভোটযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। এখনও বাকি সাতটা দফা। তার প্রচার এখনও হইহই করে চলছে। নেতারা পৌঁছে যাচ্ছেন বাংলার মানুষের কাছে। নিজেদের মানুষ বোঝাতে, পাশে থাকার আশ্বাস দিতে জড়িয়েও ধরছেন তাঁদের। জমায়েত করে মিটিং মিছিল হচ্ছে। অথচ করোনার বিধিনিষেধ? মাস্ক পরা, হাত স্যানিটাইজ করা? সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা? দূর দূর অবধি চোখে পড়ে না। সচেতনতা যেন উধাও একেবারে।
অন্যদিকে বাংলার অন্যতম দু’টি জনপ্রিয় চ্যানেল আয়োজন করে ফেলল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের। দিনে দশবার করে তার প্রচার করা হচ্ছে চ্যানেলে। অল্প জায়গায় অনেক মানুষ গিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। ফলে কতটা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়েছিল, তা সহজেই অনুমেয়।
এই অসচেতনতার উদাহরণ বহু দেওয়া যেতে পারে। মানুষের মধ্যে গত বছর যে ভয় বা আতঙ্ক ছিল, তার বিন্দুমাত্র এখন নেই। রাস্তায় অনেকেই এখন আর মাস্ক পরে বেরোন না। বাসে ট্রামেও দেদার ভিড় হচ্ছে। এদিকে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। আজ একদিনে 64 হাজারেরও বেশি মানুষ দেশ জুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময় দাঁড়িয়ে ইলেকশন কমিশন বাতিল করে দিল রূপম ইসলামের একটি শো। যা একদিকে হয়তো ঠিক, কিন্তু বাকি ক্ষেত্রেও কেন তা পালন করা হচ্ছে না? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিল্পী মহলে।
কেন এই একচোখামো? কেন এক একজনের জন্য এক এক ধরনের নিয়ম? রূপম ইসলামের এই শোয়ের জন্য বলা হয়েছিল সমস্ত বিধিনিষেধ মানা হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না। রাখা হবে স্যানিটাইজারও। অনুষ্ঠানটি খোলা মাঠে করা হবে, যাতে সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা যায়। কিন্তু তারপরেও সেই অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই রূপম তাঁর সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলেন কেন এমনটা করা হল?
প্রশ্নটা তাঁর একার নয়। আরও অনেকেই এক কথা বলছেন। রাজনৈতিক দলগুলো, নেতা কর্মীদের কেন ইলেকশন কমিশন এই এক প্রস্তাব দিচ্ছে না? কেন তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি মানতে? সব কিছু কি তবে শিল্প এবং শিল্পীদের জন্যই? যারা দেশের নাগরিকদের হয়ে কাজ করতে চাইছেন, তাঁদের কি কোনও দায়িত্বই নেই সেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার? উত্তর জানা নেই। তবে প্রশ্ন আছে। আর আছে রূপম অনুরাগীদের হতাশা, এতদিন পর একটা লাইভ শোয়ের হাতছানি পেয়েও তা ছেড়ে দিতে হল।
অঙ্ক আর ফিজিক্স ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রস্তাব প্রত্যাহার AICTE-র।
গানটিতে বারংবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির কুশাসন, অত্যাচারের কথা।
পারলে কংক্রিটের ছাদের তলায় আশ্রয় নিন, খোলা মাঠে থাকলে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন।
চন্দননগরের শ্রীশচন্দ্র এবং কানাইলাল চারুচন্দ্র রায়ের থেকে স্বদেশমন্ত্রের দীক্ষা পেয়েছিলেন।
এই বিপদে জনপ্রতিনিধিরা ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে, নাগরিকরাই একে অন্যের পাশে থেকে কঠিন লড়াই লড়ছে।
প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার ছবি এবং কীর্তনের অপূর্ব মিশেল ধরা পড়েছে এই সিরিজে।