রেড লাইট এরিয়া বা যৌনপল্লী, শব্দটা শুনলেই ‘ভদ্র সমাজের’ অনেকেরই মুখ বিকৃত হয়ে যায়। এবং ‘এই সব’ জায়গা থেকে যে কোনও ট্যালেন্ট উঠে আসতে পারে, তা অনেকেরই ভাবনার বাইরে। আর ঠিক সেই কারণেই হয়তো যৌনপল্লীর মানুষদের লড়াইটা আরও অনেক বেশি কঠিন। ঠিক যেমন শ্বেতাকাত্তির ছিল। কে এই শ্বেতাকাত্তি?
শ্বেতা মুম্বাইয়ের কামাতিপুরার এক যৌনকর্মীর সন্তান, যাঁর বেড়ে ওঠা, প্রাথমিক শিক্ষা সবই যৌনপল্লীতে হয়েছে। পড়াশোনা শেখার জন্য সহ্য করতে হয়েছে অসহনীয় অত্যাচার। তবে সঙ্গে ছিল তাঁর মা এবং আরও এক যৌনকর্মী রাধা। খুব অল্প বয়সেই শ্বেতা বুঝে যায় তাকে এই অঞ্চল থেকে মুক্তি পেতে হলে শিক্ষাকেই হাতিয়ার বানাতে হবে। অবশেষে 2016 সালে ক্রান্তি নামক এক এনজিওর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়, এবং তারাই ওঁর শিক্ষার সমস্ত ভার বহন করে। পরবর্তীকালে নিউ ইউর্কের ব্র্যাড কলেজ শ্বেতাকে স্কলারশিপ দেয়। সেখানেই শ্বেতা তাঁর উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করে। শুধু তাই নয়, তিনি ইউনাইটেড নেশনস ইউথ কারেজ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। একদিনের জন্য কানাডার কনসাল জেনারেলের পদেও আসীন হয়েছিলেন শ্বেতা।
আরও পড়ুন: অমৃতার ‘ন হন্যতে’ হয়ে ওঠা
কিন্তু হঠাৎ কেন এই শ্বেতাকাত্তির কথা? আজকাল নিউজ চ্যানেল খুললেই দেখা যায়, সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন, বধূ নির্যাতন, উচ্চশিক্ষায় বাধা, বাল্য বিবাহের মতো ঘটনা। সেখানে যেন শ্বেতা বাকিদের কাছে এক জ্বলন্ত উদাহরণ, নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করার। যৌনপল্লীর মতো জায়গা থেকে শুধুমাত্র নিজের চেষ্টায় উঠে এসে যে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন শ্বেতা। আসলে সবার জীবনেই কম বেশি লড়াই থাকে। কেউ মাঝ পথে হাল ছেড়ে দেয়, তো কেউ মাটি কামড়ে পড়ে থাকে। আর আমরা এই দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষদেরই মনে রাখি, চিনি, জানি, তাঁদের লড়াইয়ের গল্প শুনে উদ্বুদ্ধ হই, ঠিক যেমন শ্বেতাকাত্তির গল্প। মাত্র 22 বছর বয়সে পিছিয়ে পড়া সমাজ থেকে উঠে এসে আসা এক নারীর বিশ্ব জয় করার গল্প।
প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার ছবি এবং কীর্তনের অপূর্ব মিশেল ধরা পড়েছে এই সিরিজে।
মানুষের একটি অতি সাধারণ প্রবণতার কারণে একটি গোটা গ্রামকে দেখলে মনে হয়, সে যেন ঘুরছে!
সমকামিতার ইঙ্গিতপূর্ণ বিজ্ঞাপন তুলে নেবে না জানিয়ে সদর্থক বার্তা ক্যাডবেরির।
মায়ের বিকল্প কেউ হতে পারে কখনও? কী বলছে দীপ কুণ্ডুর গিবো?
সমাজে নানান ভ্রান্ত ধারণা থাকে, তাদেরই একটা হল মোটা মানেই অসুন্দর।
সচেতনতা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা দিয়ে সিকদামাখাই গ্রামের মানুষ রুখে দিল করোনাকে।