‘বিবাহ হোক বা অলিম্পিক, ভারতীয়রা সবসময় চায় যে মেয়েরাই সোনা আনুক!’ এমনই একটা পোস্ট এখন সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও ব্যঙ্গাত্মক অর্থেই লেখা, তবুও ভুল কোথায়? টোকিও অলিম্পিকে যেখানে এখনও ছেলেদের ভাগ্যে পদক জোটেনি, সেখানে এখনও মেয়েদের ঝুলিতে ইতিমধ্যেই তিনটি পদক এসে গিয়েছে।
ঠাকুমা দিদিমারা বলতেন, মেয়েরা লক্ষ্মীমন্ত হবে, খেলবে কেন? তাদের তো রান্নাঘরেই মানায়। যদিও এখনও ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এমন কথাকে মানা হয়, তবুও ছবিটা যেন ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। সিন্ধু, চানু এঁরা লিঙ্গ ভেদাভেদের যে ছবিটা আমাদের দেশে ছিল, সেটাকে ভেঙে নতুন ছবি তুলে ধরছেন। কোনটা মেয়েদের আর কোনটাই বা ছেলেদের কাজ? দু’জনেই প্রতিটা ক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অন্যকে টেক্কা দিচ্ছে। তবে আপাতত টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় মেয়েদেরই জয়জয়কার।
আসামের লাভলিনা বরগোহাঁই এবং অন্ধ্র প্রদেশের পিভি সিন্ধু ব্রোঞ্জ এবং মণিপুরের মীরাবাই চানু রুপোর পদক দেশকে এনে দিয়েছেন। 1900 সালে প্রথমবারের জন্য ভারত অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে এবং পদক পায়। কিন্তু 2000 সাল থেকে এই শেষ দুই দশক লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ভারত যে 16টি পদক পেয়েছে তার মধ্যে 8টা মেয়েদের আনা। 2000 সালে প্রথমবার কোনও ভারতীয় মেয়ে অলিম্পিকে পদক পায়। কর্ণম মালেশ্বরী ভারোত্তোলন ব্রোঞ্জ পান। সেই শুরু অলিম্পিকে মেয়েদের জয়যাত্রার। এবছরও তার নড়চড় হয়নি। ইতিমধ্যেই তিনটি পদক তাঁরা নিয়ে এসেছেন, সামনে হকিতেও পদক জেতার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাত বোনের গৌরবে আছে, যন্ত্রণায় নেই বড় দাদা
কিন্তু শুধুই কি পদক জয় শেষ কথা বলে? মোটেই না। হারা জেতা তো খেলারই অঙ্গ। সিন্ধু, চানু এবং লাভলিনা পদক আনলেও এবারের অলিম্পিকে আরও বেশ কিছু মহিলা ভারতীয় অ্যাথলিট নজর কেড়েছেন। প্রথমেই নাম করা যাক মেরি কমের। পদক না পেলেও যথেষ্ট টক্কর দিয়েছেন এই অ্যাথলিট। অতীতেও দেশকে বহু পদক এনে দিয়েছেন তিনি। কমলপ্রীত কৌরের দিকে এবার গোটা দেশের নজর ছিল। তিনি শুরুতে দারুন পারফরমেন্স করলেও, শেষ অবধি 6 নম্বরে শেষ করেন। যা কম নয়। দীপিকা কুমারীও কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি উঠেও তারপর হার মানেন। গোটা দেশ দেখে তাঁর সেই লড়াই। এখন সামনে ভারতীয় মহিলা হকি টিমের পদক জয়ের সুযোগ। তাঁরা সেই পদক পান কিনা সময়ই বলবে। আপাতত টোকিও অলিম্পিকে পদক জয় এবং নজর কাড়ার নিরিখে যে আবারও মেয়েরা ছেলেদের ছাপিয়ে গেছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
নেপথ্যে থেকে কাজ করে দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে রসদ জুগিয়েছিলেন চন্দননগরের মতিলাল এবং মনীন্দ্রনাথ।
সমকামিতার ইঙ্গিতপূর্ণ বিজ্ঞাপন তুলে নেবে না জানিয়ে সদর্থক বার্তা ক্যাডবেরির।
অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর উদ্যোগে এই অস্থির সময়ে নিরন্ন মানুষের পেটে ভাত মিলছে।
এনগেজড হওয়ার পরেও মনে নানান সমস্যা, চিন্তা উঁকি দেয়, তাদের কী সামলানো যায়?
ভোট মিটতেই ভোল বদল! রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা।
মনুষ্যসৃষ্ট দূষণ এবং অন্যান্য কারণে পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে জীব বৈচিত্র্যের বড় অংশ।