আমার গৃহবন্দি অবস্থার আজ তৃতীয় দিন। না, আজ ঘুম থেকে উঠেই হাতের কাছে পেপার পাইনি, হাতে হাতে বাড়ি বাড়ি কাগজ বিলির ঝুঁকিও তো কম নয়। খবর জানতে শরণাপন্ন হতে হয়েছে টিভির। লকডাউন গোটা রাজ্যে। সেই ছবিই বারবার দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন চ্যানেলে। কিন্তু আমার জানালা দিয়ে যতদূর দেখা যায় তার শেষ সীমানায় থাকা পানের দোকানটা অবশ্য অন্য গল্প বলছে। রোজকার মতোই একটা ছোটখাটো জটলা হয়েই থাকছে প্রায় সর্বক্ষণ। এছাড়া অবশ্য আমার চেনা পাড়াটা যেন আরও একটু বেশি নিস্তব্ধ হয়ে আছে। রাস্তায় মানুষজনের আনাগোনা নেই বললেই চলে। চারপাশ থেকে খালি মাঝে মধ্যে ভেসে আসছে খবরের চ্যানেলের আওয়াজ বা গল্প গুজবের শব্দ।
গতকাল যদিও গৃহবন্দি অবস্থায় একটু বিঘ্ন ঘটেছিল। পাশের বাড়ির একটি বাচ্চার হঠাৎই জ্বর হওয়ার কথা জানাজানি হলে সবাই প্যানিক করছিল। অবশেষে ডাক্তার দেখানোর পর "সাধারণ ভাইরাল ফিভার' বলে জানা গেলে সব শান্ত হয় আবার। বাচ্চাটিকে এখন আলাদা ঘরেই রাখা হয়েছে যদিও। সামান্য জ্বরও করোনা আতঙ্ককে উস্কে দিচ্ছে যেন এখন। তারই ফল এই ঘটনা। এটা বাদ দিলে আমার লকডাউনের দিনগুলো বাড়িতেই একতলা আর দোতলার মধ্যেই কাটছে। বাড়ির চেনা জায়গাগুলোতে যেখানে আগে আমার খেলনাবাটির পালা চলত, সেখানেই বসে স্মৃতি রোমন্থন করে নিচ্ছি এই অবকাশে।
সাধারণত আমার দিন শুরু হয় ভোর ৫টায়। এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম থাকায় অফিসের কাজের সঙ্গে হালকা আমেজেই কাটছে দিন। কাজের সময়টুকু বাদে প্রায় সারাদিনটাই গল্পের বই পড়াতেই আটকে আছি! আর সঙ্গ দিচ্ছে মায়ের বানানো নানান সুস্বাদু খাবার।
আপাতত যাই। সৈয়দ মুজতবা আলীর "শবনম' অপেক্ষা করছে আমার জন্যে। মজনৃন আর শবনমের শেষ পরিণতি কী হয় জানতে হবে তো!
দূরত্ব বিধি মানা উঠে গেলেও কলকাতার অটোরিকশায় ভাড়া আর কমল না।
হাত ধোওয়া বা স্যানিটাইজ করা উচিত, এই অভ্যেস থাকা অবশ্যই ভাল। কিন্তু অমূলক ভয় থাকা নয়।
বাংলা সিনেমার দর্শক সংখ্যা কী কমছে? নেপথ্যে কী কারণ?
কানাইলাল ভরা কোর্টে গার্লিক সাহেবকে হত্যা করেছিলেন ছদ্মনামে
বাংলার সঙ্গীত জগৎ আপাতত ডিজিটাল কনসার্টময়।
বিধানসভা ভোট এবং করোনার কারণে পিছিয়ে গেছে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক, কিন্তু রয়ে গিয়েছে অনেকগুলো প্রশ্ন