‘জানিস আমরাই হচ্ছি সেই প্রজন্ম যারা মহাদেশ ভেঙে নতুন মহাদেশের জন্ম দেখেছে, উপকূল অঞ্চল তলিয়ে যেতে দেখেছে, মরুভূমিকে সবুজ প্রান্তর আর সবুজ প্রান্তরকে মরুভূমিতে রূপান্তরিত হতে দেখেছে।’ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা উপরোক্ত কথাগুলো শোনাতেই পারি। বইতে পড়েছি কীভাবে প্যাঞ্জিয়া ভেঙে লরেশিয়া এবং গণ্ডওয়ানা তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে একে একে সব মহাদেশ, এখন আবার দেখছি আফ্রিকা থেকে নতুন মহাদেশের সূচনা। আবহাওয়ার পরিবর্তন তো অতি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। সাহারায় নতুন গাছ জন্মাচ্ছে, বৃষ্টি বাড়ছে, আবার কোথাও কোথাও অনিয়মিত অথচ ভীষণ পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, অন্যদিকে উত্তর আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলের দেশগুলো সাক্ষী থাকছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের। এসব কেন বলছি? কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন ঠিক কতটা ঘটেছে, কত মাত্রায় ঘটেছে এবং সেটার ভয়াবহতা কতটা, তা আরও একবার প্রমাণ করল গ্রীনল্যান্ড।
14-16 অগাস্ট, মাত্র তিনদিনে গ্রীনল্যান্ডে 7কোটি টন বৃষ্টি হয়েছে। হ্যাঁ, দিন এবং সংখ্যা দু’টোই ঠিক পড়েছেন। চমকে উঠলেন? তাহলে পুরোটাই শুনুন। 1950 সাল থেকে গ্রীনল্যান্ডের আবহাওয়ার রেকর্ড রাখা হয়। সেই রেকর্ড অনুযায়ী 1995, 2001 এবং 2019 এর পর এই বছর চতুর্থবারের জন্য গ্রীনল্যান্ডে বৃষ্টি হল। শুধু তাই নয়। যেখানে বরফ পড়ত সারা বছর, গ্রীনল্যান্ডের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট গনবজর্ন (Mount Gunnbjorn) এর শিখরেও বৃষ্টিপাত ঘটেছে। ফল?
আরও পড়ুন:মহানগর এক তপ্ত কড়াই
অসম্ভব দ্রুত হারে বরফ গলতে শুরু করেছে সেখানে। এমনিই 1992-2017 এর মধ্যে দক্ষিণ মেরু এবং গ্রীনল্যান্ডে প্রায় 6.4 লাখ কোটি টন বরফ গলে গিয়েছে। এবার এত বৃষ্টিপাতের ফলে এত মাত্রায় বরফ গলেছে যে গ্রীনল্যান্ডের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে জলের স্তর 20 সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত 12,000 বছরের তুলনায় এই বছর সব থেকে দ্রুত হারে বরফ গলছে। এভাবে যদি বরফ গলে তাহলে নিকট ভবিষ্যতে গোটা পৃথিবীর জলস্তর অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু কেন এমনটা ঘটছে? ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন সামিট স্টেশন যারা গোটা বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করছে তারা জানিয়েছে এর নেপথ্যে রয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়ছে। যেখানে গ্রীনল্যান্ডের তাপমাত্রা কদাচিৎ হিমাঙ্কের উপরে উঠত, উঠলেও খুব কম সময়ের জন্য, সেখানে এখন প্রায়ই তাপমাত্রা হিমাঙ্কের গণ্ডি ছাড়াচ্ছে, প্রায় 9-10 ঘণ্টা করে থাকছে এই রকম তাপমাত্রা। ফলে একদিকে ভারী বর্ষণ, আর একদিকে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা দুইয়ের কারণে হুহু করে গলে যাচ্ছে গ্রীনল্যান্ডের বরফ।
স্বামী ধর্ষণ করলেও সেটা ধর্ষণই কর্নাটক হাইকোর্টের এই রায় বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে নতুন ভাবনার দরজা খুলে দ
আমপান আনন্দবাঁধের শেষ আনন্দটুকুও হাওয়ায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। পড়ে রয়েছে শুধুই হাহাকার।
ও সব বাবুদের রোগ, তাদের হয়। বুঝলেন?
আরে বাবা এ গ্রাম পঞ্চায়েত না। এটা খাপ পঞ্চায়েত। এখানে কেউ দুষ্টুমি করলেই বিচার হয়।
শ্রীলঙ্কার অশান্তি খারাপ শাসনের একটি পাঠ এবং একটি বিপজ্জনক নজির
পেশা ছেড়ে নেশাকে বেছে নিয়েছিলেন পৌষমী।