হাজারে হাজারে মারা যাচ্ছে ফার সিল। দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়ায় প্রায় 7000 ফার সিলের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পরিবেশবিদরা যথেষ্টই চিন্তিত। কারণ, বিশেষ একটি প্রজাতির প্রাণী বিপুল হারে ধ্বংস হতে থাকলে, তা ওই বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে কোনও গুরুতর বিপদের সঙ্কেত বলে মনে করা হয়। সেই বিপদের মূল কারণ এ ক্ষেত্রেও প্রকৃতি নয়, মানুষের কার্যকলাপ। ফলে একদিকে যেমন তা চিন্তার কথা, অন্যদিকে তেমনই মূল কারণটার প্রতিকার করা গেলে বাস্তুতন্ত্রে আবার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনাও সম্ভব।
নামিবিয়ার ওশেন কনজারভেশন চ্যারিটির পরিবেশবিদ নডে ড্রেয়ার প্রথম কয়েকটি মৃত সিল দেখতে পান নামিবিয়ায়। ওয়ালভিস বে শহরের কাছে পেলিকান কলোনির সৈকতে বহু মৃত সিল দেখা যায়। মৃত সিলগুলোকে অত্যন্ত রুগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়, তাদের শরীরে ফ্যাট রিজার্ভও যথেষ্ট কম ছিল। এর আগে 1994 সালেও প্রায় 10,000 সিল মারা গিয়েছিল। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল এই বছর।
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর মাস অবধি সিল শাবকদের জন্ম হয়। কিন্তু তার আগেই ঘটল অঘটন। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই মারা যেতে থাকে একের পর এক সিল। মনে করা হচ্ছে প্রায় 5-7 হাজার সিলের গর্ভপাত হয়েছে, একই সঙ্গে 7000 সিল মারা গিয়েছে। কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, খাবারের অভাবে তারা অপুষ্টিতে ভুগছিল। ঠিক পরিমাণে মাছ না পাওয়ায় তারা ক্ষুধার্ত থাকত। কিন্তু হঠাৎ মাছের অভাব হল কী করে?
আশুতোষ কলেজের পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক অরিজিৎ চ্যাটার্জি এই বিষয়ে 4thpillars-কে বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলে হয়তো কোনও কারণে জল দূষণের মাত্রা বেড়েছে, যেমন জাহাজে করে তেল নিয়ে যাওয়ার সময়ে তা সমুদ্রে পড়ে গেছে, ইত্যাদি। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। নামিবিয়ায় সিল শিকার করা এখনও আইনসিদ্ধ, এবং ওখানকার স্থানীয় মৎসজীবীরা ভীষণ রকম অপছন্দ করে সিলদের। কারণ সিলরা মাছ খেয়ে তাদের ব্যবসার ক্ষতি করে। অন্যদিকে, ফার সিলের তেল বিক্রি হয় চড়া দামে। এই দু’টি কারণে সেই সমস্ত সিলের শিকার করা হয় যাদের ফ্যাট রিসার্ভ বেশি, এবং পুষ্টিজনিত সমস্যা নেই। শিকারের ফলে ক্রমশ এই জেনেটিক্যালি স্ট্রং জিনের সিল হারিয়ে যাচ্ছে, আর যারা বেঁচে থাকছে তারা কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লে সহজেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে।‘
অধ্যাপক চ্যাটার্জির কথায় যা ধরা পড়ল, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। শুধুমাত্র কিছু মানুষের ব্যক্তিগত অপছন্দের কারণে একটি প্রজাতির শক্তিশালী জিন হারাতে বসেছে, আর যারা পড়ে থাকছে দুর্বল বলে তারা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে লড়াই করতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দূষণের কারণে মাছের সংখ্যাও কমছে। ফলে উভয়দিক থেকেই পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। আর তাই এই পরিমাণে ফার সিলের মৃত্যু পরিবেশবিদদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানুষ যাতে নিজেকে বাঁচাতে পারে, তার জন্য বাতাসে কতটা বিষ মিশছে, প্রতিনিয়ত তার হিসেব দেবে জলবায়ু ঘড
স্মরণকালের মধ্যে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকায় গরম বাড়ছে নজিরবিহীনভাবে!
সারোগেসির সুবিধা অসুবিধার কথা নিয়ে নতুন ছবি মিমি।
ভদ্রস্থ চাকরি পাওয়ার নিরিখে কলকাতা রয়েছে সবার শেষে।
লেখকদের কলমে উঠে আসা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের কাহিনী আজকেও নির্মম বাস্তব
সব শাশুড়ি কি সমান হয়? ভাল মন্দ কি সকলের মধ্যেই থাকে না?