গত বছর গরমের মাঝামাঝি সময়ে প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পূর্ব দিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলেছিল। সেখানকার সমুদ্র তীরবর্তী অর্থাৎ উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলের বিভিন্ন এলাকায়, যেখানে কোনও দিন এসির প্রয়োজন হয়নি সেখানকার লোকজন বাড়ি ছেড়ে গাড়িতে, হোটেলে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে ছিল শুধু একটু ঠাণ্ডায় থাকতে পারবে বলে। কারণ বাড়িতে তো এসির ব্যবস্থা নেই, অথচ এদিকে তাপমাত্রা হুহু করে বেড়ে চলেছে। কেউ কেউ তো জলে নেমে বসেছিল গরম এড়াতে। ঘটনাটা বিশ্ব জুড়ে হইচই ফেলেছিল, কারণ এটা স্বাভাবিক নয়। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন ঘটছে দক্ষিণ গোলার্ধে।
উত্তর গোলার্ধে যখন গ্রীষ্মকাল, তখন দক্ষিণে শীত। অর্থাৎ দক্ষিণ গোলার্ধে এখন হেমন্ত চলছে আর ক’দিনের মধ্যেই শীত আসবে। এমন সময় সাধারণত যেটা হয় তাপমাত্রা কমে। ঠাণ্ডা বাড়ে। কিন্তু 18 মার্চ এখানে ঘটল উল্টো ঘটনা। তাপমাত্রা তো কমছেই না, উল্টে স্বাভাবিকের তুলনায় 30 ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছিল। দক্ষিণ মেরুর ডোম সির কনকর্ডিয়া রিসার্চ বেস, যা সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে 3000 মিটার উঁচুতে সেখানে 18 মার্চ 11.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। ডুমন্ট ডি' উর্ভিল স্টেশনে মার্চ মাসে 4.9 ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে এই সময় তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে থাকে। বৈজ্ঞানিকরা বলছেন এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এমনটা কল্পনাও করা যায় না, আর স্বাভাবিক তো নয়ই। কিন্তু ঠিক সেটাই ঘটছে।
আরও পড়ুন: মধুর ভবিষ্যৎ কতটা মধুর?
পূর্ব অ্যান্টার্কটিকায় স্বাভাবিকের তুলনায় 70 ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা অবধি রেকর্ড করা হয়েছে এই বছর। অথচ বছরের এই সময় ওখানে তাপমাত্রা পড়তির দিকে থাকে। ঠাণ্ডা বাড়ে। কিন্তু বর্তমানে ঘটছে ঠিক উল্টো!
গত বছর আইপিসিসির রিপোর্টে বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা যা লেখা ছিল, সবই যেন বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমূল বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু। যেখানে গরম পড়ার কথা সেখানে ঠাণ্ডা পড়ছে এবং উল্টোটা। কোথাও বৃষ্টি কমছে তো কোথাও ভয়াবহ ভাবে বৃষ্টি বাড়ছে। গরম বাড়ছে চোখে পড়ার মতো। দুই মেরুতে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত গরম পড়ার ফলস্বরূপ বরফ গলছে। বাড়ছে জলস্তর। বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। দুর্দিন দরজায় অপেক্ষারত!
এই পরিমাণে ফার সিলের মৃত্যু পরিবেশবিদদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পৃথিবীর থেকে প্রায় 930 কোটি আলোকবর্ষ দূরে সম্প্রতি প্রাচীনতম ছায়াপথ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মানুষ যাতে নিজেকে বাঁচাতে পারে, তার জন্য বাতাসে কতটা বিষ মিশছে, প্রতিনিয়ত তার হিসেব দেবে জলবায়ু ঘড
এটাই হেডলাইন। সঙ্গে পাওয়া গেছে এই সুইসাইডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী আর একটা চিরকূট।
মার্কের এই সফল প্রত্যাবর্তন ভবিষ্যতের নানান গবেষণার দিক খুলে দিল।
নাছোড় বৃষ্টিতে নাজেহাল ভারতবাসী।