×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • দূষণের প্রতি পল গণনার ঘড়ি

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 11-11-2021

    প্রতীকী ছবি

    ওয়ার্ল্ডোমিটার’ (Worldometer); এই শব্দটার সঙ্গে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। এটি একটি ওয়েবসাইট, যেখান থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন বিষয়ের উপর সাম্প্রতিক তথ্য পাওয়া যায়। এই যেমন বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, করোনা জয়ীর সংখ্যা, খাদ্য, জল, সমাজ, অর্থনীতি, পরিবেশ প্রভৃতির নানান তথ্য এখান থেকে পাওয়া যায়। তেমনই আরও একটি মিটার বা ঘড়ি আসতে চলেছে, যা আমাদের জানাবে পৃথিবীর কাছে আর কতদিন সময় আছে, কতটা তার বায়ু বিষিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত ইত্যাদি। এই যন্ত্রটির পোশাকি নাম, ‘জলবায়ু ঘড়ি’ (Climate Clock)

     

    এখন পরিবেশ এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও খবর পাওয়ার জন্য কোনও গবেষণা পত্র বা আইপিসিসির (IPCC) কোনও রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকতে হবে না আর। এবার নিজেরাই দেখে নিতে পারব, প্রতি মুহূর্তে কীভাবে আমাদের আশেপাশের বায়ু বিষিয়ে যাচ্ছে। কতটা সময় রয়েছে আর আমাদের হাতে। কয়েক মাস আগে আইপিসিসি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে যে, বাতাস যেভাবে দূষিত হচ্ছে, যেভাবে তাতে বিষ মিশছে তা উদ্বেগজনক। এখনই তার রাশ টানতে না পারলে সামনেই সমূহ বিপদ অপেক্ষারত। আইপিসিসি-র এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ইউনেস্কো(UNESCO) এবং ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন-এর তত্ত্বাবধানে এবং তদারকিতে এক আন্তর্জাতিক সংস্থা, গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্ট এই জলবায়ু ঘড়িটি বানিয়েছে।

     

    আরও পড়ুন:বাইরের শত্রু নয়, পরিবেশই আগামী দিনের বড় বিপদ

     

    কী কী জানা যাবে এই জলবায়ু ঘড়ির মাধ্যমে? এই জলবায়ু ঘড়ি আমাদের মূলত জানাবে 1850-1900 সাল থেকে বর্তমান সময়ের মধ্যে কতটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তার একটা প্রতিতুলনা। বিষের বোঝা কতটা এবং কী পরিমাণে বাড়ছে তার হিসেব। প্রাক শিল্পযুগ থেকে আগামী আর কতদিনের মধ্যে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা 1.5 ডিগ্রি বাড়বে তার হিসেবও মিলবে এই ঘড়ি থেকে। এবং সেই হিসেব বলছে বিশ্ববাসীর কাছে আর মাত্র 10বছর 5 মাস আছে। এবং এখনই যদি এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি আটকানো না যায়, তাহলে এই সাড়ে দশ বছরের মধ্যেই মানব সভ্যতা ধ্বংসের সম্মুখীন হবে।

     

     

    উদ্দেশ্য কী এই জলবায়ু ঘড়ির? শুধুই বিপদ সংকেত দেওয়া? না, মূল কাজ বিপদ সংকেত দেওয়া হলেও এর পাশাপাশি এই ঘড়ির কাজ হবে মানুষকে সচেতন করা। বারবার মনে করিয়ে দেওয়া যে, দূষণ কমাতে হবে, তাপমাত্রা বাড়তে দিলে চলবে না। তাদের করণীয় কী কী সেটাও মনে করিয়ে দেওয়া। এই যেমন, গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানো। 2019অবধি এই গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী ছিল। লকডাউনের ফলে তা খানিক কমেছিল। প্রায় 5.4 শতাংশ কমে গিয়েছিল কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড প্রভৃতি বিষাক্ত গ্যাসের নির্গমন। কারণ কলকারখানা বন্ধ ছিল, গাড়ি চলাচল কম হচ্ছিল। কিন্তু চলতি বছরে পৃথিবী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই আবার সেই গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই বছর আবার গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন প্রায় 4.9 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে গত বছরের তুলনায়। পাশাপাশি এই মাসে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক শিল্প যুগের থেকে 1.28 ডিগ্রি বেড়েছে। মানে 1.5 ডিগ্রি হতে আর .22 ডিগ্রি বাকি সেই ধ্বংসের সীমারেখা ছুঁতে, হাতে আর দশ বছরের কিছু বেশি সময়। এখনও যদি আমরা সচেতন না হই আর কবে হব? 

     


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    দুর্দান্ত অভিনয়, চিত্রনাট্যের পরেও অস্কারের জন্য মনোনীত হল না সর্দার উধম।

    বাঁধ দিয়ে সুন্দরবনের সদ্যোজাত নিচু দ্বীপগুলি বাঁচানো সম্ভব নয়, জনবসতি সরিয়ে নেওয়াই সমাধান

    আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি কেন তুলনামূলক ভাবে কম হয়? হলেও তা ওমান বা গুজরাটের দিকে বাঁক নেয় কেন?

    বরাবর যে বর্ণবৈষম্য চলে আসছে তার ছাপ করোনা সংক্রমণের হারেও পড়েছে এবং ফল হিসেবে প্রাণ হারিয়েছেন বহু

    বামেদের প্রার্থী তালিকায় তরুণ এবং যুবরা কি পারবেন মানুষের মন জয় করতে

    কলকাতা কেন্দ্রিক দক্ষিণবঙ্গ দিন দিন বাজ পড়ার হটস্পট হয়ে উঠছে।

    দূষণের প্রতি পল গণনার ঘড়ি-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested