এবার প্যারাঅলিম্পিক্সে ভারতের জয়জয়কার। আপাতত এক ডজন পেরিয়ে গেছে পদকের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের প্রাপ্ত মেডেল সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে টোকিও প্যারাঅলিম্পিক্সের পদক সংখ্যা। মোট 17টি মেডেল এসেছে আপাতত, তার মধ্যে 4টি সোনা, 7টি রূপো এবং 6টি ব্রোঞ্জ। 17টি মেডেল নিয়ে বর্তমানে ভারত 26 নম্বর স্থানে রয়েছে।
অবনী লেখারা শ্যুটিংয়ে দু’টি বিভাগেই পদক জিতেছেন। একটিতে সোনা, আরেকটিতে ব্রোঞ্জ। তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি অলিম্পিক্সের দু’টি বিভাগেই পদক পেলেন। শ্যুটিংয়ে অবনীর পাশাপাশি সিংরাজ অধনাও ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
আরও পড়ুন:উন্নয়ন চাই? পদক লাও!
পোলিও আক্রান্ত ভাভিনাবেন প্যাটেল টেবিল টেনিসে রূপো জিতেছেন। পুরুষদের হাই জাম্প বিভাগে প্রবীণ কুমারও রূপো জিতেছেন। প্রবীণের মতোই নিষাদ কুমারও একই বিভাগে রূপো পেয়েছেন। অ্যাকসিডেন্টের পর ডান হাত খোয়াতে হয় নিষাদকে। তবুও তিনি থেমে থাকেননি। একটা অ্যাকসিডেন্ট জীবনকে থামিয়ে দিতে যে পারে না, তা তিনি দেশকে রূপো এনে বুঝিয়ে দিলেন। হারিয়াপ্পান থাঙ্গভেলু রূপো এবং শারদ কুমার ব্রোঞ্জ জিতেছেন এই বিভাগে। হাই জাম্প বিভাগে সব থেকে বেশি পদক জয় করেছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা।
মোটর বাইক অ্যাকসিডেন্টের ফলে সুমিত অন্তিলের বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে বাদ দিতে হয়। একদা বক্সিং খেলোয়াড় সুমিত এই ঘটনার পর থেমে থাকেননি। ছাড়েননি খেলা। আবার উঠে দাঁড়ান। এবং এই বছর প্যারাঅলিম্পক্সে জ্যাভলিন থ্রোতে নিজের রেকর্ড ভেঙে সোনা জেতেন। শুধু সুমিত একা নন, এবার ভারতের বর্শাতে তিনটে পদক গেঁথেছে। সোনা, রূপো, ব্রোঞ্জ তিনটিই আছে জ্যাভলিন থ্রো বিভাগের ঝুলিতে। সুন্দর সিং গুর্জার ব্রোঞ্জ জিতেছেন, এবং দেবেন্দ্র ঝাঁঝারিয়া রূপো।
জ্যাভলিন নয় শুধু, ডিসকাস থ্রোতেও দেশকে রূপো দিয়েছেন যোগেশ কাঠুনিয়া। ব্যাডমিন্টনে প্রমোদ ভগৎ সোনা এবং মনোজ সরকার ব্রোঞ্জ জিতেছেন। অন্যদিকে পিস্তল শ্যুটিংয়ে মণীশ নারওয়াল সোনা এবং সিংরাজ অধনা রূপো এনে দিয়েছেন দেশকে
তাঁরা যে অক্ষম নন, তাঁদেরও যে এই সমাজে, দেশে প্রয়োজন আছে, প্যারাঅলিম্পক্স যেন চোখে আঙুল দিয়ে তাই বুঝিয়ে দিল। বুঝিয়ে দিল সামান্য একটা রোগ বা অ্যাকসিডেন্ট মানুষের জীবনকে থমকে দিতে পারে না। জীবন থেমে যেতে পারে না। এগিয়ে যাওয়াই নিয়ম, আর যারা সে পথ তৈরি করেন, তাঁদের নামই চিরকাল স্মরণে থেকে যায়। দেশ এবং দেশবাসীরা আজ তাদের প্রত্যেকটি অ্যাথলিটদের জন্য গর্বিত।
বিশ্ব জুড়ে হুহু করে ছড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। কিন্তু কী এই রোগ, কী ভাবে হয়?
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব যেন মারণ উৎসব না হয়, তার চেষ্টা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদেরই করতে হবে।
সুন্দরবনের একটি অতি সাধারণ মেয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেখানকার স্বাদ পৌঁছে দিচ্ছেন একা হাতে।
যাবেন নাকি একবার ভারতের বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে? গেলেই কিন্তু হারিয়ে যাওয়া যায়!
দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে সামিল নারীরা প্রাণদান করেছেন বয়স, সমাজ, সংসার সমস্ত বাধা উড়িয়ে দিয়ে।
ইচ্ছেপূরণের গল্প দেখাল ‘ঘরেলু’ শর্ট ফিল্মটি।