একজন সাধারণ মহিলা যে পাঁচ বাড়িতে রান্নার কাজ করে তার সংসারের খরচ বহন করে, তার যদি হঠাৎ শখ হয় বিখ্যাত হওয়ার? যদি তার নিজের গুণ সবার কাছে তুলে ধরতে ইচ্ছে হয়, তবে? কেউ বাঁকা নজরে তাকাবেন বা হাসবেন, হয়তো বা কেউ কটু কথাও বলবেন যে, পিপীলিকার পাখনা গজায় মরিবার তরে। কিন্তু কিছু মানুষ থাকবেন যারা তাকে বাহবা দেবে, এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেবে। আর তেমনই এই ইচ্ছেপূরণের গল্প দেখাল ‘ঘরেলু’ শর্ট ফিল্মটি।
মুম্বাইয়ের একটি ফ্ল্যাটে তিন কলেজ পড়ুয়া একসঙ্গে থাকে, অক্ষত (অরুনন), মনন (প্রণয় চেকার) এবং রণ (অ্যালেন বাবু)। তাদের বাড়িতেই রান্নার কাজ করে লক্ষ্মী দিদি (পিঙ্কি পারিখ)। সে প্রত্যেক দিন নানা বাহারি রান্না বানিয়ে খাওয়ায় ওদের, এবং রণ ও মনন তাজ্জব হতে থাকে দিদির হাতের বানানো খাবার খেয়ে। কিন্তু ব্যাপারটা অপছন্দ করে অক্ষত, কারণ তার মতে এতে অকারণে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে, এবং সে তার বাকি রুমমেটদের জানিয়ে দেয় এসব অতিরিক্ত খরচ কমাতে হবে। কিন্তু মনন জানিয়ে দেয় অতিরিক্ত কোনও খরচ হচ্ছে না, উল্টে লক্ষ্মী দিদির জন্য তারা নানা রকম সুস্বাদু খাবার খেতে পারছে রোজ। কিন্তু তারা জানত না যে রোজ রোজ তাদের এই বাহারি খাবার বানিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে লক্ষ্মীর একটা উদ্দেশ্য আছে। তার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে, যেখানে সে হরেক রকম খাবারের ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে। ওদের তিনজনের জন্য লক্ষ্মী যাই খাবার বানাত তার একটা করে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে দিত। এটা করে সে খুব আনন্দ পায়। কিন্তু সুখ যে ক্ষণস্থায়ী। একদিন সে ধরা পড়ে যায়, এবং তারপর কী হয় সেটাই এই শর্ট ফিল্মটি দেখায়।
নিত্যদিনের কাজের পাশে যে চাইলেই নিজের স্বপ্নকে পূরণ করা যায় তা শুধু ঘরেলু-র গল্পটাই দেখাল না, বরং এই শর্ট ফিল্মটির নির্মাতারাও দেখাল। মুম্বাইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের কয়েকজন ছাত্র মিলে এই শর্ট ফিল্মটি তৈরি করেছেন। জোসেফ মার্ভিন অলিভার পরিচালিত সত্তর মিনিটের এই শর্ট ফিল্মটি দর্শকদের মুখে শেষ পর্যন্ত একটা হাসি রেখে দেবে। তার সঙ্গে এটাও শেখাবে যে, সমস্ত প্রতিকূল অবস্থাতেই যদি মনের জোর এবং ইচ্ছে থাকে তবে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা যায়। প্রয়োজন শুধু একটা মানুষের যে ভরসা দেবে, সাহায্য করবে। ক্যামেরার কাজ মাঝারি মানের। কিছু কলেজ পড়ুয়া নির্মিত এই ছবিটি লন্ডনের একটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মনোনীত হয়েছিল। সবারই অভিনয় যথাযথ। দর্শকদের মন্দ লাগবে না।
ভাল-খারাপ দুই’ই আছে, তবু ই-বুকেই অভ্যস্ত হচ্ছেন পাঠক
কার্গিল যুদ্ধের নায়ক বিক্রম বাত্রার জীবনের নানান গল্প তুলে ধরেছে শের শাহ।
মহামারীজনিত আইনগত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করল সরকার, প্রায় দু’বছর পর মুক্ত জীবন ফিরে পেল দেশবাসী।
আমাদের আশপাশের প্রতিটা মানুষই যে খারাপ নয়, সেই গল্পই যেন বলল এই শর্ট ফিল্ম।
আমাদের বদলের নেপথ্যে থাকে আমাদের চারপাশের মানুষ এবং পরিস্থিতি সেই কথাই মনে করাল এই ছবি।
ওষুধ, খাবার, মাদক, মারণ বোমা সবই ডেলিভারি দিচ্ছে ড্রোন– এবার তাকে সামলাতে হবে!