বরাবরই ছবি তোলা তাঁর নেশা, পরবর্তীকালে সেটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন দিলশাদির কর্ণধার মধুরিমা বাগচী। মধুরিমা হচ্ছেন কলকাতার একমাত্র মহিলা ফটোগ্রাফার, যাঁর নিজের সংস্থা আছে এবং টিম সব থেকে বড়।
মধুরিমা তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের ফটোগ্রাফার হিসেবে। পাশাপাশি নিজের শখে ছবি তুলতেন। তেমনই এক বার এক আত্মীয়ের বিয়েতে বেশ কিছু ছবি তোলেন তিনি। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে সেই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ফটোগ্রাফারের ছবির থেকে মধুরিমার ছবি বেশি প্রশংসিত হতে থাকে। এর পরই অনেকে তাঁকে নিজেদের অনুষ্ঠানে ছবি তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ ভাবেই পথ চলা শুরু হয় মধুরিমার।
আরও পড়ুন:লড়াকু লক্ষ্মী: ৫, মহানগরীর মানুষকে ‘স্থায়ী’ সৌন্দর্য উপহার দিতে চান পুনম
সোশাল মিডিয়ায় পেজ বানিয়ে নিজের কাজের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন মধুরিমা। সেগুলিও প্রশংসা পায় নেটনাগরিকদের কাছে। এ ভাবেই ধীরে ধীরে পরিচিতি গড়ে উঠতে থাকে তাঁর। তৈরি করেন নিজের টিম। এক জন দু’জন করে করে বর্তমানে কলকাতার বুকে মধুরিমার ‘দিলশাদি’-র টিম সব থেকে বড়। কলকাতা ছাড়িয়েও এখন তাঁরা গোটা ভারত জুড়ে কাজ করছেন। শুধু বিয়ে নয়, প্রাক বিবাহ-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানও তাঁরা কভার করেন।
মধুরিমার কথায়: "শুরু থেকে কখনওই ভাবিনি এটাকে নিয়েই এগোব। যত সময় গেছে, পায়ের তলার মাটি শক্ত হয়েছে তত। মনে হয়েছে, এটা পেশা হতে পারে। এখন তো আমরা ইভেন্ট প্ল্যানিংয়ের দিকেও এগোচ্ছি।” মধুরিমা তাঁর আগামী ভাবনার কথা জানিয়ে বললেন, এখন তাঁরা ফটোগ্রাফি থেকে ইভেন্ট প্ল্যানিংও শুরু করবেন, কারণ তিনি মনে করেন, একটি মেয়ে বিয়ে ব্যাপারটা সব থেকে বেশি ভাল বুঝতে পারে। তাই ক্লায়েন্ট যেমন চাইবে তিনি সে ভাবেই তাঁর ভাবনা মিশিয়ে সেটা তৈরি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:লড়াকু লক্ষ্মী: 2, নিজের কিছু করার জেদ থেকেই দীপান্বিতা আজ অনন্যা
কিন্তু পথ চলাটা কি এতটাই সোজা ছিল? মধুরিমা বললেন, “না। যেহেতু আমাদের এই কাজে নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই তাই বাড়ি ফিরতে অনেক সময়েই রাত হয়। আশপাশের মানুষ ভাবত কল সেন্টারে কাজ করি। আমি কখনও কিছু বোঝাতে যাইনি। একটা মেয়ে ছবি তুলবে, রাতে বাড়ি ফিরবে, এটা অনেকেই ঠিক ভাবে নিতে পারে না। কিন্তু আমি জানি আমি কী কাজ করছি। আর আমার পাশে আমার দুই পরিবার আছে।”
মধুরিমার মন্তব্য, ""আমি বরাবরই কাজে থাকতে এবং চাপ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। কাজ তো আগের থেকে অবশ্যই বেড়েছে, সামনেও নানা ভাবনা আছে। মেয়েরা যে সব পারে আমি সেটা করে দেখিয়ে দিতে চাই।”
বরাবর যে বর্ণবৈষম্য চলে আসছে তার ছাপ করোনা সংক্রমণের হারেও পড়েছে এবং ফল হিসেবে প্রাণ হারিয়েছেন বহু
সব শাশুড়ি কি সমান হয়? ভাল মন্দ কি সকলের মধ্যেই থাকে না?
গ্যালাক্সির মাঝখান থেকে রহস্যময় রেডিও সঙ্কেতের পিছনে কি বুদ্ধিমান প্রাণী?
সারদা থেকে নারদা হয়ে ভ্যাকসিন, ‘কেলো’ যেন আর তৃণমূলের পিছু ছাড়ছে না!
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে গলে যাচ্ছে কুমেরুর বরফ, বাড়ছে জলস্তর। তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর
উনি তো পুজো-আচ্চা করেন, প্রদীপ জ্বালান, গোমূত্রও খেয়েছেন, ওঁকে করোনা ধরবে না।