"কালো কোথাকার!’
"অ্যাই অ্যাই, একদম কালো কালো বলবি না।'
"বেশ করব বলব। তোরাই করোনা ছড়াচ্ছিস। কাদের বেশি করোনা হচ্ছে দেখতে পাচ্ছিস না?’
"তা এরম কলটা কারা করে রেখেছে শুনি? কাদের জন্য এমনটা হচ্ছে? কীসের মাশুল আমরা গুনছি জানি না ভেবেছিস?’
এমন কথোপকথন আদতে মার্কিন মুলুক কিংবা ইংল্যান্ডে হয়েছে কিনা জানা নেই। তবে হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ সেখানে বেশ কয়েকটি রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী কৃষ্ণাঙ্গ মানুষরা অধিক হারে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন শেতাঙ্গদের তুলনায়। কিন্তু এমনটা কেন? এর নেপথ্যে কি সত্যিই মানুষের গায়ের রং, জাতের কোনও সম্পর্ক আছে?
আমেরিকায় প্রায় তিন লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত, যাদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ এবং লাতিন আমেরিকার অধিবাসীদের সংখ্যা বেশি। করোনা বাকিদের তুলনায় তিন গুণ বেশি আফ্রিকান-আমেরিকান উদ্ভুত মানুষদের ছোবল মেরেছে। এমনকি তাদের মৃত্যু হারও বেশি। শেতাঙ্গদের থেকে প্রায় দু গুন বেশি কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুর হার। চিন উদ্ভুত বাসিন্দাদের উপর যদিও করোনা শেতাঙ্গদের মতোই সেভাবে থাবা বসাতে পারেনি, তবে বাকি এশীয়রা বাদ যায়নি। যদিও সংক্রমণের হার তাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই কম আফ্রিকানদের তুলনায়।
কানসাস শহরের তৃতীয়বারের জন্য মনোনীত হওয়া কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র, কুইটন লুকাস বলেছেন, "বর্ণবিদ্বেষ শুধু মানুষের মধ্যেই নেই, প্রকৃতিও বর্ণবিদ্বেষী। তফাৎ শুধু কোনও মানুষ কারো গায়ের রং দেখে তার উপর অত্যাচার চালালে তার বিচার হয়।" তিনি আরও বলেছেন, যে তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে সবাই সমান চিকিৎসা পায়। কানসাসে বসবাসকারী প্রায় 40% কৃষ্ণাঙ্গ মানুষই করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
কিন্তু কেন কৃষ্ণাঙ্গরা বেশি মাত্রায় করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তার কারণ খুঁজতে গেলে এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি যা দেখে বোঝা যেতে পারে যে আদৌ বিশেষ কোনও জাতি বা বর্ণের মানুষ এই রোগের শিকার হচ্ছে কিনা, এও জানা যায়নি তারা কিভাবে কার থেকে সংক্রমিত হয়েছে। বরং অন্য বেশ কিছু তথ্য ধরা পড়েছে যার থেকে বোঝা যাবে শেতাঙ্গদের তুলনায় কেন কৃষ্ণাঙ্গরা বেশি মাত্রায় করোনা আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রথমত, শেতাঙ্গ এবং কৃষ্ণাঙ্গদের আয় বৈষম্য অনেকটাই। লক ডাউনের ফলে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন বা আয় কমেছে। ফলে আর্থিক সমস্যার জন্য তারা শেতাঙ্গদের মতো ভাল চিকিৎসা করাতে পারেনি। খাদ্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তারা, পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে অনেকেই। যদিও এই সমস্যা COVID19 আসার আগেও ছিল। এছাড়া এশীয়, আফ্রিকানরা যে বাড়িতে থাকে সেখানকার ঘরের থেকে বসবাসকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি হয়। ফলে যখন কোনও বাড়িতে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাকে আলাদা ঘরে আইসোলেট করে রাখা সম্ভব হয়নি। উল্টে দ্রুত সেই রোগ বাকিদের মধ্যে ছড়িয়েছে। যেখানে 26% বাংলাদেশী, 16% পাকিস্তানি এবং 12% আফ্রিকানরা এই ঘর সংক্রান্ত সমস্যায় পড়ে, সেখানে মাত্র 2% শেতাঙ্গরা এই একই সমস্যার শরিক। লক ডাউন তুলে দেওয়ার পর অনেকেই পথে নেমেছেন কাজের জন্য এবং গণপরিবহন ব্যবহার করেই গন্তব্যে গিয়েছেন। সেখান থেকেও অনেকে নতুন ভাবে সংক্রমিত হয়েছে। 3.5% শেতাঙ্গ গণপরিবহন ব্যবহার করে আর বাংলাদেশী, পাকিস্তানি কিংবা আফ্রিকানরা 12.8%। অন্যদিকে, শেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদের মধুমেহ, হার্টের অসুখ তুলনামূলক ভাবে বেশি। এবং এই তথ্য জ্ঞাত যে, যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম এবং অন্য রোগে আক্রান্ত তারা সহজেই করোনা আক্রান্ত হচ্ছে।
ফলে বর্ণ বা জাত নয়, এই সমস্ত অসমতার কারণেই লন্ডন বা আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয়রা বিশেষত, বাংলাদেশী এবং পাকিস্তানিরা করোনা আক্রান্ত হয়েছে অধিক মাত্রায়। বরাবর যে বর্ণবৈষম্য চলে আসছে তার ছাপ করোনা সংক্রমণের হারেও পড়েছে এবং ফল হিসেবে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ।
বেহালা আর রাজ্যের দক্ষিণের অংশ আবার যুক্ত হল খাস কলকাতার সঙ্গে
পৃথিবীর বাইরেও এই প্রথম কোথাও, কোনও গ্রহে হেলিকপ্টার উড়বে এবং তার নেপথ্যে থাকবে একজন ভারতীয়।
ওষুধ, খাবার, মাদক, মারণ বোমা সবই ডেলিভারি দিচ্ছে ড্রোন– এবার তাকে সামলাতে হবে!
সরকারি স্কুলের বাচ্চারা তো স্কুলে ফিরল, বেসরকারি স্কুলের বাচ্চাদের কী হবে?
গোটা ছবিতে উঠে এসেছে এক নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।
শ্রমশক্তিতে মহিলাদের অবদান কমছে ভারতে