ডুবে যাবে কি কলকাতা সহ বিভিন্ন উপকূলীয় শহর? বিলুপ্ত হতে চলেছে কি বহু প্রাণী? এখন এই প্রশ্নটাই ভাবাচ্ছে সচেতন মহলকে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে অস্বাভাবিক হারে, বাদ গেল না কুমেরুও। ফেব্রুয়ারী মাসে মাত্র এক সপ্তাহে গলে গেল অ্যান্টার্কটিকার ২০% বরফ। সর্বক্ষণ বরফাচ্ছাদিত ঈগল দ্বীপের প্রায় ৪ ইঞ্চি বরফ গলল নিমেষেই। বরফ গলে লেকের সৃষ্টি হয়েছে। মরি পেল্টো'র (Mauri pelto) দাবী," আমি কখনও বরফগলা লেক দেখিনি অ্যান্টার্কটিকায়। এই ধরনের লেক সাধারণত অ্যালাস্কা বা গ্রীনল্যান্ডে দেখা যায়, অ্যান্টার্কটিকায় যা বিরল।‘ ফেব্রুয়ারী মাসে চলা তাপপ্রবাহের কারণেই এমনটা হল বলেই তিনি মনে করেন। সঙ্গে তিনি এও জানান যে, চিন্তার বিষয় অন্য। ঘন ঘন তাপপ্রবাহের ফলে বারবার বরফ গলে যাওয়াটা ভয়ঙ্কর বিপদের ইঙ্গিত। গত পাঁচ বছরে এ বছর প্রথম ২০°C ছুঁলো অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা। সঙ্গে ৩ মিটার মানে ১০ফুট জলস্তর বেড়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, "বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবীর দুই মেরুর বরফই গলে যাচ্ছে। ফলত উপকূলীয় অঞ্চলগুলো তলিয়ে যেতে পারে এই হারে যদি বরফ গলে যাওয়া চলতে থাকে। সুন্দরবনের সঙ্গে কলকাতা সহ বিস্তীর্ণ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেরও তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, জলস্তর বাড়লেও কমছে জলের অক্সিজেনের মাত্রা। যা ভয়ংকর ক্ষতি করতে পারে সামুদ্রিক জীবের। এমনকি বিলুপ্তও হয়ে যেতে পারে টুনা, হাঙরের মত প্রাণীরা। যার প্রভাব পড়বে বিশ্বের জীববৈচিত্রে। International union for the conservation of nature (IUCN) জানিয়েছে, পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ৭০০টা এমন জায়গা আছে সমুদ্রে যেখানে অক্সিজেনের মাত্রা ভীষণ কমে গিয়েছে। গোটা বিষয় নিয়েই চিন্তার ভাঁজ বিজ্ঞানীমহলে। এখনও যদি সচেতনতা না আসে, উচিত পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে সমূহ বিপদ আসন্ন বলেই মনে করা হচ্ছে।
যতটা সম্ভব কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। তবেই আগামী দিনে যে বিপদ অপেক্ষারত তাকে এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে।
সারোগেসির সুবিধা অসুবিধার কথা নিয়ে নতুন ছবি মিমি।
নতুন প্রকাশিত ছবি ‘অল্প হলেও সত্যি’ কতটা দাগ কাটল দর্শকদের মনে?
23°C-এর বেশি তাপমাত্রায় করোনা ভাইরাস ছড়ায় না এমন কোনও দাবি বিজ্ঞানী মহল থেকে আজ অবধি করাও হয়নি।
বছরের পর বছর বরফে জমে থাকা পর্বতারোহীদের মৃতদেহ বিশ্ব উষ্ণায়ন ফলে প্রকাশ্যে আসছে।
এবারের দীপাবলি ধোঁয়াহীন রাখার বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে খুশি চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা