প্রায় এক বছর মহাকাশে সময় কাটিয়ে সুস্থ জীবিত অবস্থায় পৃথিবীতে ফিরে এলেন মার্ক ভান্দে হেই (Mark Vande Hei)। মার্চ 30 এর মধ্যরাতে মার্ক এবং তাঁর দুই সহকর্মী অ্যান্টন শকাপ্লেরোভ (Anton Shkaplerov) এবং প্যত্র ডুব্রভ (Pyotr Dubrov) আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন ছাড়েন এবং 7.30 নাগাদ নাগাদ কাজাখিস্তানের ঝেজকাজগানে (Dzhezkagan) নামেন।
মার্কের এটি দ্বিতীয় মহাকাশ যাত্রা ছিল 355 দিনের। এর আগে তিনি 340 দিন কাটিয়েছিলেন। আমেরিকান হিসেবে তাঁর এই দ্বিতীয় যাত্রাটি ছিল দীর্ঘতম সিঙ্গল স্পেসফ্লাইট। তিনি 2021 সালের 9 এপ্রিল রওনা দিয়েছিলেন দুই রাশিয়ান মহাকাশচারীর সঙ্গে।
ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষের অবতরণের জন্য নাসার যা লক্ষ্য আছে, সেগুলোকে সমর্থন করে মার্ক ভান্দে হেই পৃথিবীর প্রায় 5680 কক্ষপথ এবং 15 কোটি মাইলের বেশি পথ ঘুরেছেন, যা মোট 312 বার পৃথিবী থেকে চাঁদ এবং চাঁদ থেকে পৃথিবীতে ফেরত আসার সমান। এই সময় তিনি 15টি পরিদর্শনকারী মহাকাশযানের আগমন, 14টি পরিদর্শনকারী মহাকাশযানের ফেরত যাওয়া এবং বেশ কিছু নতুন মডিউলের আগমন প্রত্যক্ষ করেছেন।
আরও পড়ুন: উল্টো ঝর্না, পশ্চিমের মোহময়ী রূপ
কাজাখিস্তানে তাঁদের অবতরণ পরবর্তী প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে নিজ নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ডুব্রভের এটি প্রথম মহাকাশ যাত্রা ছিল, যেখানে তিনি সফল ভাবে 355 দিন কাটিয়ে ফিরে এলেন।
মার্কের এই মিশন শুধু নতুন রেকর্ড গড়েছে তাই নয়, ভবিষ্যতে চাঁদ, মঙ্গলগ্রহ, এবং তারও বাইরে অভিযাত্রীদের জন্য পথও প্রশস্থ করেছে।
মহাকাশচারীরা বিজ্ঞান, নতুন জিনিস খোঁজার, ইত্যাদির জন্য প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেন। মার্কও তাঁদের একজন। নাসা এবং গোটা আমেরিকাবাসী তাঁর এই প্রত্যাবর্তন এবং সাফল্যে দারুন খুশি। একই সঙ্গে এক বছর ধরে মহাকাশে থেকে তিনি যে কাজ করেছেন, যে তথ্য সংগ্রহ করে এনেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ।
মার্কের এই মিশন গবেষকদের মানুষের উপর দীর্ঘকালীন মহাকাশযানের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ করে দেবে এবং ভবিষ্যতে চাঁদ ছাড়িয়ে মঙ্গলে দীর্ঘ দিন থাকার পরিকল্পনাকে বাস্তব করে তুলবে।
দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে সামিল নারীরা প্রাণদান করেছেন বয়স, সমাজ, সংসার সমস্ত বাধা উড়িয়ে দিয়ে।
ওমিক্রন ছড়াচ্ছে, সতর্কতা কই?
সুন্দরবনের একটি অতি সাধারণ মেয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেখানকার স্বাদ পৌঁছে দিচ্ছেন একা হাতে।
জানকী শিকারী, পশ্চিমবাংলার আদিম জনজাতি বিরহড় গোষ্ঠীর প্রথম মেয়ে, যে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করল।
মহাকাশ গবেষণায় যেন এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল নাসার এই নতুন আবিষ্কার।
যে জৈব চাষ স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যের কারণে জনপ্রিয় হচ্ছে ক্রমশ, তারই মাত্রাজ্ঞানহীন অপরিকল্পিত প্রয়োগে