হঠাৎ হইচই। পাশের ক্ষেতের লোকজন হতবাক। শোরগোল পড়ে গেল, শুরু হল ভিডিও করা। এবং ক’দিনেই ভাইরাল সেই ভিডিও।
হরিয়ানার কর্নাল জেলার কুচপুরা গ্রামের সেই ভিডিও আপাতত নেটনাগরিকদের আলোচনার বিষয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে চাষের ক্ষেতে জমে থাকা জল হঠাৎ নেমে যাচ্ছে, আর ফুলে ফেঁপে উঠছে জমি। মুহূর্তে জল নেমে মাটি ঢিপি হয়ে ফুলে উঠছে। স্থানীয়রা মনে করতে থাকেন এটা বুঝি ভূতের অভিশাপের ফল। কেউ বলে ওঠে না, এটা ঈশ্বরের দান। কিন্তু আসলে কী ঘটেছিল?
আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতে কম বৃষ্টিপাতই এখন নিউ নর্মাল
জমির মালিক কয়েকমাস আগে মুনাফার লোভে জমির মাটি কেটে বিক্রি করেছিলেন। এবং সেই গর্তে 3 ফুটের বেশি ছাই ফেলেছিলেন। সম্প্রতি টানা 2-3 দিন বৃষ্টি হওয়াতে ছাইয়ের মধ্যে থাকা খনিজের সঙ্গে জল রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায় এবং তার ফলস্বরূপ মাটি ফুলে ওঠে। ভিডিওতে দেখা যায় হুহু করে জলের স্তর নেমে যাচ্ছে এবং মাটি ফুলে উঠছে। এবং ফুলে উঠেই ফেটে যাচ্ছে মাটি।
যদিও, জল শুকিয়ে যেতেই মাটি আবারও আগের মতো হয়ে যাবে বলেই দাবি করেছে এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সেন্টার। তাঁদের মতে ছাইয়ের মধ্যে খনিজ থাকার ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এটা মোটেই ভৌতিক বা ঐশ্বরিক কিছু নয়, বরং ভীষণই স্বাভাবিক ঘটনা। কেমিক্যাল রিঅ্যাকশনের ফলেই এটা ঘটেছে। তবে এর কারণে ভবিষ্যতে আর ওই জমিতে চাষ করা সম্ভব হবে না। হলেও আর ভাল ফসল উৎপাদন হবে না ওই জমিতে। তবে ভবিষ্যতে যাই হোক, বর্তমানে প্রকৃতি আবারও বুঝিয়ে দিল শুধুমাত্র মুনাফা লাভের জন্য তার ক্ষতি করলে, বা তার গঠন প্রকৃতি বদল করতে চাইলে সে বারবার মানুষকে এভাবেই চমকে দেবে এবং বদলা নেবে।
আগের ফুলে থেকে কাজ করতে পারছিল না বলে মউদি ফুল বদল করল
পৃথিবীব্যাপী মহাসাগরীয় স্রোতের সূত্র ধরেই ক্রান্তীয় অঞ্চলে তাপমাত্রার ওঠানামা
ডেভিড এবং তাঁর স্ত্রী মানুষ করে চলেছেন ২২০জন সন্তানকে, আগলে রেখেছেন ওদের সস্নেহে।
পুজো যখন সবার, উপহারও তো সবারই পাওয়ার কথা, নয় কী?
বহুদিনের খোঁজের পর অবশেষে মিলল বিকল্প তাপশক্তির উৎস।
ছবিতেই গল্প বুনে অনন্যা মধুরিমা