কয়লা বা প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প জ্বালানির খোঁজে দুনিয়া জুড়ে অজস্র গবেষণা চলছে বহু দিন ধরেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব (Eco Friendly) বিকল্প খুঁজে বার করাই আজকের বিজ্ঞানীদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি এক বাঙালি বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে এক গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া গিয়েছে এই ক্ষেত্রে। শিল্পক্ষেত্রে যে তাপ কোনও কাজে লাগে না, তার থেকে বিদ্যুৎ তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন তাঁরা।
কয়লা বা প্রাকৃতিক গ্যাস পৃথিবীতে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে আছে, তা একবার ফুরিয়ে গেলে নতুন করে তৈরি করা অসম্ভব। এছাড়াও এভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে তাপশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে বহু মাত্রায় গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা পরিবেশের জন্য মোটেই ভাল নয়। তাই বারবার সাস্টেনেবল এনার্জি (Sustainable Energy) বা সুস্থায়ী শক্তি ব্যবহার করার কথা বলা হচ্ছে।
পৃথিবীর 9 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের 17 জন বিজ্ঞানী মিলে বর্জ্য তাপশক্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, এবং গোটা গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন বাঙালি গবেষক প্রীতম সাধুখাঁ (Pritam Sadhkhan)। এই গবেষণার কথা নেচার কমিউনিকেশন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন:জীবনের 9 বছর কেড়ে নিচ্ছে দূষণ!
কিন্তু এই বর্জ্য তাপশক্তি (Waste Heat) কী? যখন কোনও যন্ত্রের বদলে কোনও বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে শক্তি তৈরি হলেও তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, তখন তাকে বর্জ্য তাপশক্তি বলা হয়।
তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের সময়, গাড়ির ইঞ্জিন, তেল সংশোধনাগার, কলকারখানা ইত্যাদি থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস যেমন কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি উৎপন্ন হয়। প্রীতমরা লোহা এবং কোবাল্ট মিশিয়ে একটি জৈব যৌগ কেলাস তৈরি করেছেন। লোহা এবং কোবাল্টের যে পরমাণুগুলো আছে, সেগুলো কেলাসের বাইরের খোলসের ইলেকট্রনকে উত্তেজিত করে তুলবে এবং এর ফলে ইলেকট্রনগুলো দ্রুত চলাচল করবে এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। এভাবেই তাঁরা ওয়েস্ট হিট বা বর্জ্য তাপশক্তিকে ন্যানো টেকনোলজির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিলেন। একদিকে যেমন এর ফলে বাতাসে থাকা ক্ষতিকারক গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ কমবে, তেমনই কোনও রকম নন রিনিউয়েবল এনার্জি বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার বিদ্যুৎ উৎপাদনে কম হবে। ফলে দু’দিক থেকেই পরিবেশের লাভ হবে। এই গবেষণার পোশাকি নাম তাঁরা দিয়েছেন, ‘ম্যানুপুলেটিং ইলেকট্রন রিডিস্ট্রিবিউশন টু অ্যাচিভ ইলেকট্রনিক পাইরোইলেকট্রিসিটি ইন মলিকিউলার ক্রিস্টাল্স।'
এই প্রযুক্তির সফল বাণিজ্যিক প্রয়োগ সম্ভব হলে আগামীদিনে কয়লা, গ্যাস কিছু না পুড়িয়েই পরিবেশবান্ধব উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। খরচ কমবে, সহজলভ্যও হবে।
মা কি সবার ক্ষেত্রে এক হয়? নাকি তফাৎ থাকে কোথাও?
কলোরাডো নদীর জল প্রতি 1 ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লে 9.3 শতাংশ কমে যাচ্ছে।
বর্ষশেষের আগের রাতে রূপম ইসলাম তাঁর ভক্তদের উপহার দিয়ে গেলেন এক অনন্য সঙ্গীতময় সন্ধ্যা।
বরাবর যে বর্ণবৈষম্য চলে আসছে তার ছাপ করোনা সংক্রমণের হারেও পড়েছে এবং ফল হিসেবে প্রাণ হারিয়েছেন বহু
আর্বানাইজেশন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের কারণে দিল্লি তপ্ত কড়াইয়ে পরিণত হয়েছে
পৃথিবীর থেকে প্রায় 930 কোটি আলোকবর্ষ দূরে সম্প্রতি প্রাচীনতম ছায়াপথ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।