মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচিনাচি? "কী কই চললেন মউদি?'
দাঁ-দার কথায় থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল মউ। প্রতিবেশী, প্রতিবেশীর মতো থাকবে, তা না! সবেতে নাক গলাতে হবে! আশ্চর্য!
দাঁকে দিয়ে গাছের আগাছা কাটা হয় বলে সবেতে মন্তব্য করবে! এ কেমন কথা?
তো যাই হোক, মৌদি একটা দেঁতো হাসি হেসে বলল, "এই ফুলে থেকে মধু খেতে পারছিলাম না। দম বন্ধ হয়ে আসছিল তাই এখানে চলে এলাম। এবার ফুলেদের জন্য ভাল করে কাজ করতে পারব!'
দাঁ তো পুরো অবাক! বলে কিনা ফুলে থেকে দমবন্ধ লাগছিল! উহু! ব্যাপারটা কেমন ফিশি ফিশি লাগছে। কাল্টিভেট করতে হচ্ছে বিষয়টা!
দাঁ একটু চেপে ধরতেই মৌদির বয়ানে গোটা বিষয় সামনে এল, রাম মন্দিরের পুজোর জন্য সদ্য ফোটা একটা ফুলকে মনোনীত করা হলেও এতদিন ধরে মউ গাছগুলোকে কত সাহায্য করছে, মধু তৈরি করছে, আর আজ তার বাসাই ভেঙে দেবে বলেছে। দল থেকে বাদ দিয়ে দেবে বলেছে! অপবাদ দিয়েছে ও নাকি মধু চুরি করে, ওর আন্ডারে যত মৌমাছি আছে তাদের থেকে কাটমানি নেয়। কী আশ্চর্য কথা বলুন দেখি! তাই তো অপমানিত হয়ে ফুল বদল করছে। এই ফুল গাছ বলেছে ওকে হনুমান মন্দিরের উদ্বোধনে নিয়ে যাবে। ওখানেই একটা বাড়ি বানিয়ে দেবে, বেশি বেশি ফুল দেবে মধু সংগ্রহ করার জন্য। সঙ্গে পুরনো সব পাপ ধুয়ে যাবে। তাই তো 15 হাজার কিলোমিটার উজিয়ে এসে এখানে যোগ দিল।
দাঁ তো অবাক এমন হয় নাকি! অবশ্য মৌমাছি তো! তাদের কাজই তো এ ফুল ও ফুল করা সুবিধা বুঝে। যেখানে মধু বেশি সেখানেই ঝাঁপ দেওয়া তো ওদের ধর্মই। ইস, দাঁ যে কেন এমন পারে না! মউদির মতো কাজ করতে পারছিলাম না বললে তো ফেলে দেবে, তখন কি আর অন্য কেউ ওকে কাজে নেবে? মৌমাছিদের কত সুবিধা! কত ফুল! কত গাছ। যখন যেখানে খুশি যাও, আখের গুছাও। ধুর ওর ভাগ্য যে কেন অমন হল না! আফসোস হয় বড়। পরের জন্মে সুযোগ পেলে মৌমাছিই হবে ঠিক করল দাঁ-দা।
পথ কুকুরদের জন্য শ্রীলেখার Pawsome Date
শ্রীলঙ্কার অশান্তি খারাপ শাসনের একটি পাঠ এবং একটি বিপজ্জনক নজির
মার্কের এই সফল প্রত্যাবর্তন ভবিষ্যতের নানান গবেষণার দিক খুলে দিল।
প্রায় সারাদিনটাই গল্পের বই পড়াতেই আটকে আছি!
এই গান বর্তমান পরিস্থিতিরই এক রেপ্লিকা
নিউ নর্মালে সবই কেমন যেন বদলে যাচ্ছে, বদলে গেছে চেনা আড্ডা, চেনা জায়গাগুলো।