কালীপুজোর আগেই শীতের (Winter) আমেজ কলকাতাবাসীরা কবে পেয়েছেন জিজ্ঞেস করলে উত্তরটা বেশ ভেবেই বলতে হবে! বহু বছর পর আবার এ বছর নভেম্বরের শুরুতেই বেশ শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। বইছে উত্তুরে হাওয়া। নামছে পারদ। সন্ধ্যা কিংবা ভোরের দিকে কুয়াশা তার চাদরে মুড়ে ফেলছে শহরটাকে। বাদ নেই পাহাড়, জঙ্গল।
এ বছর কলকাতার আপাতত নভেম্বরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হচ্ছে 18.3 ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে 3 ডিগ্রি কম। আর সর্বোচ্চ হচ্ছে 30.1 ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে 1 ডিগ্রি কম। পাহাড়ে, মূলত দার্জিলিংয়েও পারদ বেশ অনেকটাই নেমেছে। সেখানকার আপাতত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হচ্ছে 7.9 ডিগ্রি। শেষ 2016 সালে এতটা পারদ নেমেছিল নভেম্বরে। আর এই বছরের মতো লাগাতার ভাবে পারদ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছিল 2005 সালে। কিন্তু আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে জাঁকিয়ে শীত পড়তে বেশ কিছুটা সময় লাগবে এখনও। সামনেই একটি ঘূর্নাবর্ত আসছে। সেটা কেটে গেলেই পড়বে শীত। তবে আশার কথা এই যে, এ বছর গরম বা বৃষ্টির মতোই শীতও পড়বে দারুন জাঁকিয়ে, যার ট্রেলার ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তর ভারতের অনেক জায়গাতেই ইতিমধ্যেই বরফপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। তা আরও বাড়বে। স্বাভাবিকের থেকে অন্তত 3 ডিগ্রি কম থাকবে তাপমাত্রা উত্তরের রাজ্যগুলোতে।
আরও পড়ুন:১০ কোটি বছরের প্রাচীন জীবন্ত জীবাশ্ম কলকাতার কাছেই
কিন্তু এখন যে এই শীত শীত আমেজ পাওয়া যাচ্ছে, আবার বলছে দারুন জাঁকিয়ে শীত পড়বে তার নেপথ্যে কে রয়েছে? রয়েছে এল নিনোর বোন লা নিনা (La Nina)। যাদের নামে মিল থাকলেও আদতে পুরোপুরি উল্টো তাদের স্বভাব চরিত্র। পর পর দু’বছর এই নিয়ে লা নিনার প্রভাব বোঝা যাবে ভারতে। এবং ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এর রেশ থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এই লা নিনা কী, যা ভারতের আবহাওয়াকে এতটা প্রভাবিত করে?
লা নিনা হচ্ছে এক ধরনের জলবায়ু প্যাটার্ন (Climate Pattern), যা প্রশান্ত মহাসাগরে ঘটে এবং গোটা পৃথিবীর জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। 3 থেকে 7 বছর অন্তর এই লা নিনা তৈরি হয় এবং 5 মাস থেকে 2 বছর পর্যন্ত তার রেশ চলতে থাকে। স্প্যানিশ ভাষায় ‘লা নিনা’-র অর্থ হল ছোট্ট বালিকা। কিন্তু আদতে কী বিষয়টা? ঝড়? হাওয়া? না। এর কোনওটাই না। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল বরাবর দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে একটি স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই শীতল হয়। এর ফলে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়। এবং সেটি আয়ন বায়ু বা পুবালী বাতাসের পশ্চিমমুখী যাত্রাকে ত্বরান্বিত করে। এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকের নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলোয়, যথা উত্তর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রভৃতি জায়গায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়। এবং তার উল্টোদিকে, অর্থাৎ পূর্ব দিকে শুষ্ক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
লা নিনা যেভাবে কাজ করে
এই লা নিনা ভারতেও দারুন ভাবে প্রভাব ফেলে। যে যে বছর লা নিনা পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই বছরগুলোতে ভারতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঠাণ্ডা পড়ে। লা নিনা নিজের সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস নিয়ে আসে, যা উত্তুরে বাতাসের সঙ্গে জোট বেঁধে উত্তর ভারতে জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা ফেলে।
2021 এ যেমন দারুন গরম পড়েছিল, উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম ভারতের অনেক জায়গায় তাপপ্রবাহ চলেছিল। তেমনই অক্টোবরের প্রায় মাঝামাঝি অবধি দারুন বৃষ্টিতে নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। এবার পালা শীতের। এবং পূর্বাভাস বলছে বাকিগুলোর মতো এটাও এবার দারুন জমিয়ে পড়বে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এই গান বর্তমান পরিস্থিতিরই এক রেপ্লিকা
লেখকদের কলমে উঠে আসা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের কাহিনী আজকেও নির্মম বাস্তব
পৃথিবীর বাইরেও এই প্রথম কোথাও, কোনও গ্রহে হেলিকপ্টার উড়বে এবং তার নেপথ্যে থাকবে একজন ভারতীয়।
শাহিনবাগ, সিংঘু বা চেন্নাই, প্রতিরোধের সামনের সারির দখল এখন মহিলাদের হাতেই।
মানুষ যাতে নিজেকে বাঁচাতে পারে, তার জন্য বাতাসে কতটা বিষ মিশছে, প্রতিনিয়ত তার হিসেব দেবে জলবায়ু ঘড
ভদ্রস্থ চাকরি পাওয়ার নিরিখে কলকাতা রয়েছে সবার শেষে।