হিউম্যান সাইকোলজি বড় অদ্ভুত জিনিস! অন্যের ঠিক ভুল বিচার করলেও নিজের ভুলটা যতক্ষণ না কেউ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, ততক্ষণ যেন দেখাই যায় না। বিশেষত ভুলটা যদি ঘটে বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে। অনেকেই কাজের লোককে নিচু স্তরের মানুষ বলে মনে করেন, তাঁদের সম্মান করা যায়, এটা যে তাঁদের পেশা এ’টুকু বোঝেন না। বাড়িতে কাজ করে মানে তাঁর সঙ্গে যেমন খুশি ব্যবহার করা যায়। বারবার তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া যায় সে আমার থেকে সামাজিক ভাবে, অর্থনৈতিক ভাবে নিচু। আবার কেউ কেউ আছেন যাঁরা কাজের লোককে বাড়ির একজন মনে করেন, তাঁদের সম্মান দেন। কিন্তু পুরোপুরি সম্মান কি দিয়ে উঠতে পারেন? সম্পূর্ন বিশ্বাস কি করতে পারেন? হিউম্যান সাইকোলজির এই বিষয় নিয়েই সুরভী সরল সচদেবের ছবি ‘দ্য মেড’।
শ্রেয়া (সাই দেওধর আনন্দ) তাঁর পুত্র এবং আয়া শবনম (অমৃতা চৌধুরী)-কে নিয়ে তাঁর এক কলিগের বাড়ি আসে কাজ করবে বলে। তাঁরা দু’জনে একই টিমে কাজ করেন। কিন্তু শ্রেয়ার কলিগ শ্রেয়াকে খাবার জল দিলেও শবনমকে দেয় না। এমনকি সে নিজে থেকে জল চাইলেও বলে বাড়িতে গ্লাস নেই। ওর বোতল চায় জল ঢেলে দেওয়ার জন্য। খাবার অর্ডার করলেও শুধু নিজেদের জন্যই করে, শবনমের জন্য নয়। শ্রেয়া তার কলিগের এই ব্যবহারে খুব অবাক হয়, খানিক বিরক্তও। ছেলে এবং শবনমকে নিয়ে সে বেরিয়ে আসে। বাড়ি এসে অফিসে জানিয়ে দেয় এমন নিচু মানসিকতার মানুষের সঙ্গে সে কাজ করতে চায় না। নিজের এবং শবনমের জন্য বাইরে থেকে খাবার আনায়। শবনমের সঙ্গে হওয়া অসভ্যতার বিরুদ্ধে সে রুখে দাঁড়ায়। কিন্তু সে নিজে কি শবনমকে পুরোপুরি বিশ্বাস করত? নিজের ভিতরের খুঁত কীভাবে তার সামনে আসে, কীভাবে শ্রেয়া নিজের ভুলটা বোঝে সেটা নিয়েই এই শর্ট ফিল্ম।
কেউ বাড়িতে কাজ করলেই সে চোর বা অসম্মানের পাত্র বা পাত্রী হয়ে যায় না। এটা তার পেশা, যেমন বাকিরা অফিস, স্কুল কলেজে চাকরি করে তেমনই। ফলে বাড়িতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অবহেলা করে দূরে সরিয়ে রাখা অর্থহীন। অবমাননাকর। অপমানকর। এই বোধগুলো আমাদের অনেকের মধ্যেই কাজ করে না। আর সেটা যেন আরও একবার এই শর্ট ফিল্মটি মনে করিয়ে দিল। স্ক্রিপ্ট, গল্প, অভিনয় বেশ ভাল।
নেপথ্যে থেকে কাজ করে দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে রসদ জুগিয়েছিলেন চন্দননগরের মতিলাল এবং মনীন্দ্রনাথ।
হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামকে ছাপিয়ে সিগন্যাল এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
বিজেপি সরকার চাইছে আগামী লোকসভার বছরেই আদমশুমারি প্রকাশ করতে। কিন্তু কেন?
যৌনকর্মীরা সামাজিক স্বীকৃতি আর আইনগত অধিকারের মধ্যে কোনটা কতটা পেলেন সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে
মানুষের একটি অতি সাধারণ প্রবণতার কারণে একটি গোটা গ্রামকে দেখলে মনে হয়, সে যেন ঘুরছে!
ভোট মিটতেই ভোল বদল! রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা।