×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • মস্তিষ্কের বামপন্থা ও স্লোভাকিয়ার ঘুরন্ত গ্রাম

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 29-09-2021

    ইউরোপের স্লোভাকিয়ার ভ্রাবেলে গ্রামের ছবি।

    যুগটা যতই আর্টিফিশায়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বলা হোক না কেন, মানুষ আজ পর্যন্ত যে বস্তুটিকে সম্ভবত সবচেয়ে কম বুঝতে পেরেছে, সেটা হল তার নিজের মস্তিষ্ক। সেই মস্তিষ্কের কাণ্ডকারখানা যতই আধুনিক বিজ্ঞান ক্রমশ বোঝার চেষ্টা করছে, ততই বহু যুগ ধরে যাকে প্রহেলিকা মনে হত, তেমন ঘটনার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। ইউরোপের স্লোভাকিয়ার ভ্রাবেলে গ্রামের রহস্য যেমন 

     

     

    ভ্রাবেলে গ্রামটিকে ঘুরন্ত গ্রাম বলা হয়। এটি একটি প্রস্তর যুগের গ্রাম। এটি আনুমানিক প্রায় 5000 বছর আগে 100টি বাড়ি নিয়ে তৈরি হয়েছিল। আর চার পাঁচটা সাধারণ গ্রামের মতো হলেও এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। গ্রামটিকে দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায়, প্রতি বাড়ি একে অন্যের থেকে একটু করে বাঁ দিকে হেলে আছে। এবং সামগ্রিক ছবিটা দেখলে মনে হয় যেন ঘড়ির কাঁটা উল্টো দিকে ঘুরছে। এই বিষয়টি নিয়ে নানান গবেষণা ইত্যাদি চলেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হত, প্রতি বাড়ি যাতে একসঙ্গে সূর্যের প্রথম কিরণ পায়, তার জন্য এগুলিকে এভাবে তৈরি করা হয়েছিল বা ডান দিকে থেকে আসা শক্তিশালী বাতাসকে আটকানোর জন্য এমন ভাবেই গ্রামটি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সম্প্রতি অন্য একটি তথ্য উঠে এল। এসব কিছুর নেপথ্যে রয়েছে সিউডোনেগলেক্ট। 

     

     

    সিউডোনেগলেক্ট হচ্ছে জীববিদ্যার বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ, যার কারণে অধিকাংশ মানুষের স্থানিক মনোযোগ বাঁ দিকে সরে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। একটি সোজা লাইনের মাঝে কিছু চিহ্নিত করতে বললে দেখা যাবে, অধিকাংশ মানুষই একটু বাঁ দিকে ঘেঁষেই জায়গাটা চিহ্নিত করছেন। এটা একটি স্বাভাবিক প্রবণতা যা মস্তিষ্কের অসমতার কারণেই ঘটে। 

     

     

    সম্প্রতি জার্মানির কিয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিকরা গবেষণা করে জানিয়েছেন যে, ভ্রাবেলে গ্রামের মানুষেরাও এই সিউডোনেগলেক্ট-এর কারণেই প্রতিটা বাড়ি সমান রেখায় না বানিয়ে, বাঁ দিক ঘেঁষে বানিয়েছিল। এই তথ্য প্লাস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ঘুরন্ত গ্রামের নেপথ্যে আর কিছুই নয়, রয়েছে স্রেফ মানুষের মস্তিষ্কের খেলা


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    ভোট পুজোর আগে এই ছড়া, কার্টুন, ইত্যাদির মধ্যে দিয়েই বাংলার সুস্থ সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে।

    সমকামিতার ইঙ্গিতপূর্ণ বিজ্ঞাপন তুলে নেবে না জানিয়ে সদর্থক বার্তা ক্যাডবেরির।

    64 বছর বয়সে মেডিক্যাল পড়তে ভর্তি হলেন জয় কিশোর।

    রাজ্যে একদিকে চলছে ভোট প্রচার, আর একদিকে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকদিনেই 400 ছাড়িয়ে গেছে।

    সচেতন এবং সতর্ক না হলে সময়ের আগেই ক্লাইমেট এমার্জেন্সির শিকার হতে হবে আমাদের।

    বিজেপির এই গানে বোধহয় শুধুই অনির্বাণদের উত্তরই দেওয়া হল, কিন্তু মানুষের মন ছুঁতে পারল কই?

    মস্তিষ্কের বামপন্থা ও স্লোভাকিয়ার ঘুরন্ত গ্রাম-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested