মা, শব্দটা ছোট্ট হলেও তার গুরুত্ব আমাদের জীবনে অপরিসীম। কিন্তু সব মা কি এক হয়? সব মায়েরাই কি তাদের সন্তানের কথা বোঝেন? ভাবেন? এই উত্তর খুঁজতে বসলে তর্কের বোধহয় সীমা পরিসীমা থাকবে না। কিন্তু আকাশ মিহানি তার ‘মম’ শর্ট ফিল্মটিতে সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।
মমতা (গুণ মিহানি) তার বাবার সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের একটি গ্রামে থাকে। আর পাঁচটা বাচ্চার মতোই তারও স্কুলে যাওয়ার বদলে খেলতে বেশি ভাল লাগে। ছুঁতোনাতায় রোজই স্কুল না যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তার বাবা রোজই তাকে বুঝিয়ে স্কুলে পাঠায়। নিজের হাতে তিনি মেয়েকে তৈরি করে দেন, খাইয়ে দেন। বুঝতে দেন না ছোট্ট মমতাকে মায়ের অভাব। একদিন মমতা স্কুলে পৌঁছতে দেরি করে বলে শিক্ষকের কাছে বকা খায়। এবং শিক্ষক তাকে বাড়ির কাজ পড়ে শোনাতে বলেন শাস্তি হিসেবে। সে মা রচনা পড়ে শোনায়। এবং খুব সহজেই বুঝিয়ে দেয় মনুষ্য সন্তানের মা হোক বা পশুর, মায়েরা মা'ই হয়। সেই মমতা, ভালবাসা, যত্ন, চিন্তায় এতটুকু ফারাক থাকে না। কিন্তু এরপরই সে জিজ্ঞেস করে বসে তাহলে কিছু মা কেন তাদের সন্তানকে পথে ঘাটে ফেলে চলে যায়? কেন কিছু বাচ্চা তাদের বাবা-মা থাকা সত্বেও অনাথ হয়ে যায়? শিক্ষক উত্তর দিতে পারেন না। তবে এরপর যে ঘটনা ঘটে তাতে শিক্ষক সহ বাকি বাচ্চারাও অবাক হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শর্ট ফিল্ম: Dark Skin
এই শর্ট ফিল্মটিতে পরিচালক খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন শুধু মা নয়, বাবারাও অনেক সময় মা হয়ে ওঠে, দিদিরাও। মমত্ব যে কম বেশি সবার মধ্যেই থাকে। শুধু কেন কিছু মানুষ সেটা পেয়েও হারিয়ে ফেলে সেই উত্তরই ছোট্ট মমতার মুখ থেকে খোঁজার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। গল্পটি দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে। নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে। সিনেমাটোগ্রাফি খুবই সুন্দর। গুণ মহানি তার ভূমিকায় অনবদ্য। গল্পটির মধ্যে দিয়ে যেন আমরা ‘মা’ শব্দের এক নতুন অর্থ খুঁজে পাব।
পরবর্তীকালে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। কিন্তু যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই হুমকি দিয়ে যায়
হাত ধোওয়া বা স্যানিটাইজ করা উচিত, এই অভ্যেস থাকা অবশ্যই ভাল। কিন্তু অমূলক ভয় থাকা নয়।
আমরা অনেক সময়ই আমাদের দায়িত্ব ভুলে যাই, কিন্তু কেউ যখন সেটা স্মরণ করিয়ে দেয়?
ডেভিড এবং তাঁর স্ত্রী মানুষ করে চলেছেন ২২০জন সন্তানকে, আগলে রেখেছেন ওদের সস্নেহে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি অংশের যোগাযোগের প্রধান সেতু আজ বিপন্ন
50 লাখ বছরের মধ্যে আফ্রিকা আবারও ভেঙে দু’টুকরো হতে চলেছে।