প্রায় 13 কোটি বছর আগে গন্ডোয়ানা ভূখণ্ড থেকে দক্ষিণ আমেরিকা আর আফ্রিকা ভেঙে দু’টো ভিন্ন মহাদেশ তৈরি হয়েছিল, সঙ্গে অতলান্তিক মহাসাগর। আবারও আফ্রিকা ভাঙনের সাক্ষী থাকতে চলেছে। আগামী 50লাখ বছরের মধ্যেই আফ্রিকা ভেঙে দু’টুকরো হতে চলেছে, এমনই দাবি করেছে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি। শুধু আফ্রিকা ভাঙবে এমনটা নয়, ভাঙবে মাদাগাস্কার দ্বীপ, বদলাবে ভারত মহাসাগরের রূপ।
কেনিয়ায় দীর্ঘ হচ্ছে ফাটল
পূর্ব আফ্রিকার ইস্ট আফ্রিকান রিফ্ট ভ্যালি হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম অ্যাক্টিভরিফ্ট ভ্যালি, যেখানে সমানে অনুভূমিক এক্সটেনশন্যাল ফোর্স কাজ করে চলেছে। যার ফলে 2005 সালে প্রথমবার কেনিয়ায় 60কিলোমিটার লম্বা, 8কিলোমিটার চওড়া ভাঙন তৈরি হয় মাত্র দশদিনে। ধীরে ধীরে এই ভাঙন বেড়ে চলে। নাইরোবি নারোক হাইওয়ে ধসে যায় এই ভাঙনের ফলে। স্যাটেলাইট ছবিতেও এই ভাঙন ধরা পড়ে এবং বিভিন্ন সংস্থা এই বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করে। জার্নাল জিওলোজির জিও সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ডক্টর সারা হস্ট্যাম্পস তাঁর গবেষণাপত্রে জানান, আফ্রিকা ক্রমশ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। রিফ্ট ভ্যালিতে এই ভাঙন গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। পৃথিবীতে এই প্রথমবার কোনও কন্টিনেন্টাল রিফ্ট ওশেনিক রিফ্টে পরিণত হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ভাসাবে চাঁদ
শুধু কেনিয়া নয়, ইথিওপিয়ান মরুভূমিতে 56কিলোমিটারের বেশি ভাঙন দেখা গিয়েছে। ইস্ট আফ্রিকান রিফ্ট ভ্যালির উত্তর দিকে অবস্থিত আফার অঞ্চলে এই ভাঙন দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অঞ্চলে ভাঙন 50ফুট গভীর এবং 65ফুট চওড়া।
নতুন যে মহাদেশ তৈরি হতে চলেছে, সেখানে থাকবে সোমালিয়া, কেনিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল, ইথিওপিয়া এবং তানজানিয়া। মাদাগাস্কার ভেঙে বহু ছোট ছোট দ্বীপ তৈরি হবে। আফ্রিকার দু’টো ভাগের মাঝে তৈরি হবে নতুন মহাসাগর। বদলাবে ভারত মহাসাগরের রূপ এবং গঠন। আর এই গোটা প্রক্রিয়ার কারণে আফ্রিকার এই পূর্বাঞ্চলে বারংবার ঘটতে থাকবে ভূমিকম্প।
কয়েক কোটি বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকা এক সঙ্গে ছিল, সূত্র উইকিপিডিয়া
পৃথিবীর অভ্যন্তরে নানান ঘটনা ঘটে চলে, চলে ভাঙা গড়া। কিন্তু আমরা তেমন কিছুই বুঝি না। প্লেট টেকটনিক থিওরির কথাও বইতে পড়া। চাক্ষুষ প্রমাণ নেই। কিন্তু এবার তার প্রমাণ সকলেই দেখতে পাচ্ছে। সাক্ষী থাকছে পৃথিবীর প্লেটের ভাঙা গড়ার, এবং আরও অনেক কিছুরই। 13 কোটি বছর আগে পৃথিবীর রূপ অন্যরকম ছিল। আবারও মাত্র 50লাখ বছর পরে সেই রূপ বদলে যাবে সম্পূর্ণ ভাবে, আর তার সূচনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বর্ষাকালে এখন আর রোজ রোজ বৃষ্টি হয় না, মাঝে মাঝে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়।
বামেদের প্রার্থী তালিকায় তরুণ এবং যুবরা কি পারবেন মানুষের মন জয় করতে
ওষুধ, খাবার, মাদক, মারণ বোমা সবই ডেলিভারি দিচ্ছে ড্রোন– এবার তাকে সামলাতে হবে!
যে জায়গায় সারা বছর তুষারপাতই নিয়ম, হিমাঙ্কের উপরে ওঠে না তাপমাত্রা, সেখানে টানা তিনদিন ভারী বর্ষণ।
নগেন্দ্র প্রসাদের জীবনীর হাত ধরে দর্শক আবার হলমুখী।
পদক পেলে তবেই উন্নয়ন দোরগোড়ায় আসবে, নতুবা নয়।