×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • বলে গেছে, দেখে নেব

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 13-04-2020

    প্রতীকী ছবি

    লকডাউন মানেই সবাই বাড়ি বন্দি? উহু! একদম ভুল। চোর কী করে বাড়ি থাকবে? রাত্রিবেলা চুরি করতে যেতে হবে তো! কত্ত কাজ বলুন দেখি!

     

    লকডাউনে চোর ধরার অভিজ্ঞতাও হয়ে গেল। আমি ইদানিং নিশাচর হয়ে গেছি। তাই রোজই প্রায় তিনটে চারটে অবধি জেগে বই পড়ি। শরীর খারাপ থাকায় কাল তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাত তিনটে নাগাদ হঠাৎ আমাদের বাড়ির এক ভাড়াটে দাদার চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। 

     

    বাইরে এসে দেখি একজনকে জাপটে ধরে সে "চোর চোর" বলে চেঁচাচ্ছে। প্রথমে ভীষণ ভয় পেলেও কিছু ক্ষণ পরে ধাতস্থ হই। তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। 

     

    সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে দেখি চোর মহাশয় বাড়ির মেইন গেটের তালা এবং অর্ধেক গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকেছেন। ওই ভাড়াটে দাদার ঘরে হাত সাফাই করতে গেলে ওঁর ঘুম ভেঙে যায়। ধরা পড়েও তিনি বিন্দুমাত্র ঘাবড়াননি বরং রাগে রাঙা চোখে বাড়ির সকলের দিকে তাকাচ্ছিলেন। যেন আমরা তাকে ধরে ফেলে খুব অন্যায় করে ফেলেছি। জিজ্ঞেস করলে জানায়, "আমায় এখানে দু' জন নিয়ে আসে। ওরা সব জানে।' চোর বাবাজির ঠিকানা বেহালার পাঠক পাড়া অঞ্চলে। তারা মেট্রোর জিনিস চুরি করত, এখন তা করতে পারছে না ফলে দল বেঁধে হানা দিচ্ছে বাড়িতে বাড়িতে। কথায় কথায় সবটাই জানায় সে। অবশ্য কথার কতটা সত্যি কতটা মিথ্যে তা ঈশ্বরই জানেন।

     

    পরে পুলিশ এসে তাকে শ্রীঘরে নিয়ে যায়। কিন্তু যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই হুমকি দিয়ে যায় "দেখে নেবো!'

     

    ১২ এপ্রিল জীবনের অন্যতম ভয়ংকর রাত কাটালাম। এখনও ভাবলে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। লক ডাউনের সময় নানা অভিজ্ঞতার মধ্যে এই ঘটনা মনে যথেষ্ট ভয়ের জন্ম দিয়েছে। বাড়িতে থেকেও নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপদ মনে হচ্ছে না। পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আপাতত গোটা পাড়া আতঙ্কে কাঁপছে। আপাতত সমস্যা মিটলেও মনের ভিতর একটা ভয় রয়েই যাচ্ছে, চোরের "দেখে নেবো'-র হুমকি। প্রয়োজনের সময় পুলিশ পাশে থাকবে তো? জাগছে এই প্রশ্নও।

     


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    বিশ্ব জুড়ে হুহু করে ছড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। কিন্তু কী এই রোগ, কী ভাবে হয়?

    বর্তমান সময়ে যেমন বেড়েছে দাবানলের ঘটনা তেমনই বেড়েছে তার তীব্রতা। কিন্তু কেন?

    পৃথিবীর বাইরেও এই প্রথম কোথাও, কোনও গ্রহে হেলিকপ্টার উড়বে এবং তার নেপথ্যে থাকবে একজন ভারতীয়। 

    আমপান আনন্দবাঁধের শেষ আনন্দটুকুও হাওয়ায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। পড়ে রয়েছে শুধুই হাহাকার।

    আমাদের বদলের নেপথ্যে থাকে আমাদের চারপাশের মানুষ এবং পরিস্থিতি সেই কথাই মনে করাল এই ছবি।

    নিজেদের প্রাণ দিয়ে মানুষের ভুলের খেসারত দিচ্ছে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণীরা।

    বলে গেছে, দেখে নেব-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested