সংসার করতে কী লাগে? অনেকেই বলবেন ভালবাসা। ওটাই তো সব থেকে জরুরি। কিন্তু সত্যি কি তাই? ভাবলে ভালবাসার পাশাপাশি আরও অনেকগুলো সমীকরন উঠে আসবে, যেগুলো মেলা খুব প্রয়োজন একসঙ্গে থাকতে গেলে। এই যেমন অর্থ, একসঙ্গে থাকার ইচ্ছে, একে অন্যকে বোঝা, যেটা ঘটে গেছে সেটাকে নিয়ে আফসোস না করে ভবিষ্যতের কথা ভাবা ইত্যাদি। বাস্তব আর কল্পনা যেমন এক নয়, তেমনই প্রেম আর সংসার এক নয়। দু’টোর মধ্যেই বিস্তর ফারাক আছে। সেই কথাই, সেই বাস্তব চিত্রই পরিচালক পঙ্কজ কলাধার তুলে ধরেছেন তাঁর ছবি লাভ ইজ নট এনাফ-এ।
তরুণ (প্রারাব্ধ) এবং গুঞ্জন (রুচি) দু’জনেই আট বছর আগে একে অন্যকে ভালবেসে বাড়ি, গ্রাম সব ছেড়ে শহরে চলে আসে। তরুণ চাকরি পায় এখানে। সে গুঞ্জনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভাল রাখবে। বাড়ি হবে, গাড়ি হবে। কিন্তু আদতে তার সিকি ভাগও দিতে পারেনি। আট বছর পরেও তারা দেড় কামরার ভাড়া বাড়িতে থাকে, একটা সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কিনেছে তরুণ। এ’টুকুই। তাদের এখনও সন্তান হয়নি। কিন্তু তরুণ সব দিক থেকে গুঞ্জনকে ভাল রাখার চেষ্টা করে, ভাল রাখতে চায়। কিন্তু গুঞ্জন বোঝে না সেসব। সে শুধুই নিজেকে নিয়ে, নিজের চাওয়া পাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। একসঙ্গে থাকার ইচ্ছে সেটা যেন আর তার মধ্যে নেই। সে বারবার বলে তার বেরিয়ে আসা ঠিক হয়নি, সে ভাল নেই, তার জীবন শেষ হয়ে গেল ইত্যাদি। তরুণ তাকে বোঝায় যে, সেও তো শুধু গুঞ্জনকে ভালবেসে ঘর ছেড়েছে, সেও তো কষ্ট করে আছে। মানিয়ে নেওয়ার, ভাল রাখার চেষ্টা করছে। গুঞ্জনকে পড়াতে চাইছে, আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে বাচ্চা নিতে চাইছে। কিন্তু নিজের মোহে পাগল গুঞ্জনের চোখে যেন সেসব কিছুই পড়ছে না। সে জানায় সে ফিরে যেতে চায়। তরুণ ওকে বাধা দেয় না। উল্টে টিকিট কেটে, কিছু টাকা রেখে সে অফিসের জন্য বেরিয়ে যায় পরদিন সকালে। আর রেখে যায় একটা চিঠি। কী ছিল সেই চিঠিতে? কী হল ওদের দু’জনের? সেটা নিয়েই গল্প, যা শেষ পর্যন্ত দর্শকদের হতবাক করে রেখে দেবে। বাস্তবের মাটি যে কতটা রুক্ষ, তা যেন আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই শর্ট ফিল্ম।
তরুণের ভূমিকায় থাকা প্রারাব্ধ বেশ ভাল। সেই তুলনায় গুঞ্জনের ভূমিকায় থাকা রুচির অভিনয় একটু দুর্বল। তবে এই শর্ট ফিল্মের ইউএসপি হচ্ছে তাদের স্ক্রিপ্ট এবং গল্প। সিনেমাটোগ্রাফি বেশ ভাল।
করোনার টিকা হয়নি অথচ স্কুলে যেতে হচ্ছে এমন ছোটদের অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার অবসান এবার।
হাল ফেরানোর আবেদন জানাতে বামেদের এবার নতুন গান লুঙ্গি ডান্সের প্যারোডি।
সাহায্য করতে গিয়ে আগামীদিনের জন্য আরও বেশি বড় ক্ষতি করে আসছি না তো আমরা?
সচেতনতা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা দিয়ে সিকদামাখাই গ্রামের মানুষ রুখে দিল করোনাকে।
মনুষ্যসৃষ্ট দূষণ এবং অন্যান্য কারণে পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে জীব বৈচিত্র্যের বড় অংশ।
রাজ্যটা এখন চিড়িয়াখানা নাকি সার্কাসে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে অনেকের মনেই ধন্দ।