‘রাজ্যে কী চলছে?’
‘কেন? সার্কাস চলছে!’
‘অ্যাঁ বলেন কী! সার্কাস!
এ যে ভারী কনফিউশিং বার্তাস!’
‘আর নয় তো বলছি কী মশাই! গো-স্বামীদা বাঘ হয়ে গেছেন! বাংলার বাঘ!
গরুর দুধ দিয়ে এখন সোনার বাংলা গড়বেন বলে স্থির করেছে সেই বাঘ!’
‘বলেন কী! আমি তো তাজ্জব বনে যাচ্ছি!’
‘এতেই! তাহলে ম্যাচিং কাপলের কথা শুনলে তো বলবেন পালাচ্ছি পালাচ্ছি।
যাক গে যা। ক’দিন আগে পছন্দের মানুষকে প্রার্থী না করায় একজন সুইসাইড করতে গেছিল শুনেছেন!’
প্রশ্নকর্তা তো প্রায় উল্টেই যাচ্ছিল এসব উত্তর শুনে!
এটা রাজ্য নাকি অজন্তা সার্কাস! কিন্তু এরই মাঝে উত্তরদাতা বলেন,
‘কি চমকে হলেন নাকি ব্যোম?
তাহলে আলিপুর চিড়িয়াখানার নতুন সদস্যদের কথা শুনবেন না এখন?’
‘বললেন তো একজনের কথা!’
‘আহা সে একা কেন? কোবরা আছে, ছোবলের ভয় দেখাচ্ছে, বাঘ আছে, আহত বাঘিনী আছে এখন সেথা।'
‘তবে বাদ গেল কে মশাই?’
‘কেন? উন্নয়নটাকে দেখলেন কী হেথায়?’
‘সেই তো সেই তো! রাজ্যটা তার মানে শুধুই সার্কাসে নয় চিড়িয়াখানাতেও হয়েছে পরিণত!’
‘আলবাত, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই আর কোনও!’
‘রাজ্যে এসব হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষা, চাকরি আর শিল্প?’
‘ভ্যানিশ! গত বছর উদয়ন পণ্ডিত সহ ছাত্রদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।'
‘সেকি ওটাই যে আসল কথা!’
‘বলি বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে শুনি কেডা?
কিছু অল্প বয়সী ছেলেমেয়ে লাফাচ্ছে অবশ্য কিন্তু কে শোনে কার কথা?’
‘তবে উপায় কী দেখছেন হেথা?’
‘ভোট দেবেন নিজের বিবেচনায়। অন্যথা সার্কাস আর চিড়িয়াখানাই দেখুন।'
‘আজ্ঞে, আমায় ক্ষমা করুন!’
অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর উদ্যোগে এই অস্থির সময়ে নিরন্ন মানুষের পেটে ভাত মিলছে।
ভোটের সময় ছাড়াও অন্যান্য সময় সরকার তৎপর হলে মানুষ বাঁচে।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ শ্বেতাকাত্তির জয়ের স্বীকৃতি এক দিনের জন্য কানাডার কনসাল জেনারেল পদ।
বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রীড়াঙ্গনে যেটুকু ভারতের সাফল্য, তার পুরোটাই এ যাবৎ মেয়েদের।
‘বিজেপিকে তাড়াব এই ভোটে’ গানের কথায় বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন এই প্যারোডির স্রষ্টারা।
রাজ্যটা এখন চিড়িয়াখানা নাকি সার্কাসে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে অনেকের মনেই ধন্দ।