পৃথিবী আরও একবার তার পরিবেশগত ভারসাম্য হারাতে বসেছে। তার বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যেতে চলেছে প্রায় 6ধরনের পশু। সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ইউনাইটেড নেশনসের কনফারেন্স কোপ-51 (COP-15) থেকে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই কনফারেন্স। 2020 সালে হওয়ার কথা ছিল জীববৈচিত্র্যের ওপর হওয়া এই কনফারেন্স, কিন্তু করোনার কারণে তা এক বছর পিছিয়ে যায়। এখানেই আলোচনায় উঠে আসে যে পৃথিবীর প্রায় 1কোটিরও বেশি পশু এবং গাছের প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে দাঁড়িয়ে, যার মধ্যে 6টি যে কোনওদিন চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে।
কিন্তু কারা এই COP? COP হচ্ছে ইউনাইটেড নেশনসের কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস যাঁরা জীববৈচিত্র্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে, সমস্যার সমাধান খোঁজে। তাঁদেরই 15তম কনফারেন্সে এমন ভয়ানক তথ্য উঠে এসেছে।
বিশাল শিংযুক্ত মুন্টজ্যাক, কিউবার কুমির, পিগমি হগ, ইজিপশিয়ান শকুন, ইবেরিয়ান লিংক্স, পাহাড়ি গ্যাজেলে রয়েছে সেই বিপন্ন পশুদের তালিকায় যারা যে কোনও সময়েই হারিয়ে যেতে পারে পৃথিবীর বুক থেকে। বর্তমান থেকে সোজা অতীত হয়ে যেতে পারে নিমেষে। একমাত্র ভারত এবং ভুটানে পাওয়া যেত যে পিগমি হগদেরকে তারা আর মাত্র 100-200টা বেঁচে রয়েছে। কিউবার কুমির এবং বিশাল শিংযুক্ত মুন্টজ্যাকদের এত পরিমাণে শিকার করা হয়েছে যে তাদের বর্তমানে খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। একই দশা ইজিপশিয়ান শকুন এবং পাহাড়ি গ্যাজেলের। কিন্তু কেন জানেন?
আরও পড়ুন: ক্লাইমেট এমার্জেন্সি ভারতে বিপর্যয়ের অভিধানে নয়া শব্দ
এই বিপন্ন পশুদের হারিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে কারা জানেন? আমরা। মানুষ। মানুষ ধরেই নিয়েছে এই পৃথিবী কেবলই তাদের। তাদের বেঁচে থাকার জন্য যদি দু-একটা পশু পাখির প্রজাতিদের চিরতরে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে হয় তো যাক না। ক্ষতি কী! মনুষ্যসৃষ্ট দূষণ, জঙ্গল কেটে ফেলা, অতিরিক্ত পরিমাণে শিকারের ফলে আজ এত প্রজাতির পশু, পাখি, গাছেদের জীবন বিপন্ন। এই ছয় ধরনের পশুর মতো হয়তো তারাও একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে। থেকে যাবে একা মানুষ। কিন্তু পারবে কি? উত্তরটা খুব সহজ, না। তাই নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য বাকি সব ধরনের প্রাণীদেরকেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে, যত্ন নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন হারিয়ে না যায় এই পৃথিবীর বুক থেকে। তাহলেই নষ্ট হবে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য। তাই তো ইউনাইটেড নেশনসের কনফারেন্স কোপ-15তে বলা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
এই বিপদে জনপ্রতিনিধিরা ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে, নাগরিকরাই একে অন্যের পাশে থেকে কঠিন লড়াই লড়ছে।
রাজ্যটা এখন চিড়িয়াখানা নাকি সার্কাসে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে অনেকের মনেই ধন্দ।
অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর উদ্যোগে এই অস্থির সময়ে নিরন্ন মানুষের পেটে ভাত মিলছে।
64 বছর বয়সে মেডিক্যাল পড়তে ভর্তি হলেন জয় কিশোর।
‘বিজেপিকে তাড়াব এই ভোটে’ গানের কথায় বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন এই প্যারোডির স্রষ্টারা।
বিজেপির এই গানে বোধহয় শুধুই অনির্বাণদের উত্তরই দেওয়া হল, কিন্তু মানুষের মন ছুঁতে পারল কই?