×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • এবার টিকা নিয়েই স্কুলে

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 31-12-2021

    প্রতীকী ছবি।

    পশ্চিমবঙ্গে ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের স্কুল শুরু হয়ে গিয়েছে মাসখানেক আগেই। কিন্তু অনেক বাবা মায়েরাই তাঁদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে চাইছিলেন না। তার একটাই কারণ, ‘ভ্যাকসিন’ (vaccine) দেওয়া হয়নি বাচ্চাদের। ফলে বাবা মায়েরা ভরসা করতে পারছিলেন না শুধু মাস্ক, আর স্যানিটাইজারের উপর। অবশেষে তাঁদের সেই চিন্তার অবসান ঘটল। 3 জানুয়ারি থেকে 15-18 বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইকুয়েডর, ইতালি, আমেরিকা, কানাডা, হাঙ্গেরি, ইংল্যান্ড, প্রভৃতি দেশগুলোর পর ভারতও কিশোর কিশোরীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। এই ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের ঘুরপাক খাচ্ছে ওই বয়সের কিশোর কিশোরী আর তাদের অভিভাবকদের মধ্যে।

     

    কারা কারা পাবে এই ভ্যাকসিন? 

    2007 বা তার আগে যারা জন্মেছে তারা সকলেই এই ভ্যাকসিন পেতে পারে। অর্থাৎ অন্তত 15 বছর হতে হবে ভ্যাকসিন পেতে গেলে। 

     

    কী নথি জমা দিতে হবে বয়স প্রমাণ করার জন্য? 

    আধার কার্ড (aadhar card) থাকলে সেটি বয়সের প্রমাণ পত্র হিসেবে গ্রহণযোগ্য। আধার কার্ড না থাকলে স্কুলের ক্লাস টেনের আইডি কার্ড থাকলেও হবে। 

     

    কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে? 

    18 বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা তাঁদের ক্ষেত্রে যেমন কোভিশিল্ড (covishield), কোভ্যাকসিন (covaxin) দুটি ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র ছিল, তেমন 15-18 বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কোভ্যাকসিনের টিকাই দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। জাইকোভ ডি ভ্যাকসিন নিয়েও ভাবনা চলছে। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে শুধুমাত্র কোভ্যাকসিন কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অনেক বেশি কোভিশিল্ডের থেকে। এবং পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে বাচ্চাদের উপর কোভ্যাকসিনের প্রভাব ইতিবাচক। 

     

    আর জাইকভ ডি ভ্যাকসিন নিয়ে কেন বিজ্ঞানীরা ভাবছেন সে বিষয়ে আর এন টেগোর হাসপাতালের মেডিসিনের ডাক্তার এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডক্টর অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘জাইকভ ডি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে নিডিল স্কিনে পেনিট্রেট করবে না। শুধু হয়তো স্কিন টাচ করবে, তারপর স্প্রের মাধ্যমে তা শরীরে ঢোকানো হবে। বাচ্চাদের মধ্যে যাতে কোনও কেমিক্যাল রিয়াকশন না দেখা যায়, বা অন্যান্য সমস্যা না হয় তাই সব দিক দেখে বিবেচনা করেই কোভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে এবং জাইকোভ ডি-র কথা নিয়ে আলোচনা চলছে।'

     

    আরও পড়ুন: ওমিক্রন, ভয়, বন্দিদশা…

     

    কী ভাবে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে? 

    অনলাইন রেজিষ্টার করতে হবে নাম। বাবা বা মায়ের কোউইন অ্যাপে অ্যাকাউন্ট থাকলে সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই নাম নথিভুক্ত করা যাবে বাচ্চার তথ্য যোগ করে। অথবা একটি নতুন ফোন নম্বর দিয়েও কোউইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করা যাবে সমস্ত তথ্য দিয়ে। 

     

    আর যদি কেউ অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করতে না পারে? 

    এক্ষেত্রে যেখানে যেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সেখানে গিয়ে অফলাইনে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। 

     

    কবে থেকে নাম নথিভুক্ত করা যাবে অনলাইন বা অফলাইনে? 

    অনলাইনে পয়লা জানুয়ারি থেকেই কোউইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। আর অফলাইনে যবে থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে, তবে থেকেই নাম লেখানো যাবে। 

     

    কোথায় পাওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন? তার দামই বা কত? 

    সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ফ্রিতেই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু বেসরকারি জায়গা থেকে নিতে গেলে তাদের নির্ধারিত দাম অনুযায়ীই মূল্য দিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গের কোন হাসপাতালগুলো থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এই বিষয়ে ডক্টর অরিন্দম বিশ্বাসকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘বাংলার কোন কোন হাসপাতাল থেকে 15-18 বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সেই তালিকা এখনও তৈরি হয়নি সরকারি ভাবে। তবে শীঘ্রই তৈরি হয়ে যাবে।'

     

     

    15-18 বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন নিতে হলে উপরোক্ত এই প্রক্রিয়া মেনেই চলতে হবে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে এই ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ, এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কি বাচ্চারা আবার আগের মতো একে অন্যের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে মিশতে পারবে, স্কুল যেতে পারবে? কী মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা? ডক্টর বিশ্বাসের অভিমত, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনই করোনার ভয়াবহতাও কমেছে। অক্সিজেনের চাহিদা, হসপিটালে রোগী ভর্তি হওয়ার সংখ্যা, করোনার কারণে মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। ফলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ছাত্র ছাত্রীরা অনেক নিশ্চিন্তে স্কুলে যেতে পারবে, এতটা ভয় আর থাকবে না। বাবা মায়েরাও চিন্তামুক্ত হতে পারবেন এটা ভেবে যে, অন্তত প্রতিষেধকের একটা টিকা পড়ে গেছে। ফলে 15-18 বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে তাদের মনে যে ভয় সেটা সহ করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে অনেকটাই সেই বিষয়ে আমরা আশাবাদী।'

     


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    রাজ্যটা এখন চিড়িয়াখানা নাকি সার্কাসে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে অনেকের মনেই ধন্দ।

    ভোট মিটতেই ভোল বদল! রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা।

    এই বিপদে জনপ্রতিনিধিরা ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে, নাগরিকরাই একে অন্যের পাশে থেকে কঠিন লড়াই লড়ছে।

    ‘বিজেপিকে তাড়াব এই ভোটে’ গানের কথায় বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন এই প্যারোডির স্রষ্টারা।

    মানুষের একটি অতি সাধারণ প্রবণতার কারণে একটি গোটা গ্রামকে দেখলে মনে হয়, সে যেন ঘুরছে!

    অঙ্ক আর ফিজিক্স ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রস্তাব প্রত্যাহার AICTE-র।

    এবার টিকা নিয়েই স্কুলে-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested