টুম্পাকে নিয়ে প্রথমে 28 ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড যায় বামেরা। সারা রাজ্য জুড়ে হইহই পড়ে যায় তখন। বামেরা দেখল এ তো ভারী মজা! তাহলে ভোট বাক্স অবধি যাওয়ার জন্য লুঙ্গিকেই না হয় বেছে নিই। অতএব যেমন ভাবা তেমন কাজ। মাত্র ক’দিন হয়েছে বামেদের নতুন প্যারোডি ‘হাল ফেরাও লাল ফেরাও’ প্রকাশ্যে এসেছে, কিন্তু টুম্পার মতোই এই গানও জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে রীতিমত।
টুম্পা প্যারোডির দুই স্রষ্টা রাহুল পাল এবং নীলাব্জ নিয়োগীই রয়েছেন চেন্নাই এক্সপ্রেসের লুঙ্গি ডান্স গানকে নতুন রূপ দেওয়ার নেপথ্যে। গোটা ভোট জুড়ে অচলায়তন ভাঙবে বলে বোধহয় বামেরা এবার পণ করে রেখেছে। নইলে বারবার এ হেন চমক আসে নাকি!
টুম্পার মতো এই গানও প্রকাশ্যে আসতেই অনেকে মন্তব্য করেন, মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য চটুল গানের ব্যবহার কেন? দেশে কী ভাল গান কম পড়িয়াছে? কিন্তু যদি এই "চটুল' গান ব্যবহার করেই অনেক মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়, তাদের মধ্যে সাড়া জাগানো যায়, তাহলে তাকে কেন ব্যবহার করা হবে না? বাম কর্মী সমর্থকরা তো এর আগে প্রমাণ পেয়েছেন, এই ভাবে মানুষের কাছে নিজেদের কথা পৌঁছে দেওয়া যায়। তাহলে সেই পথকে কেন তাঁরা বেছে নেবেন না?
লুঙ্গি ড্যান্সের প্যারোডির মূল বক্তব্য হচ্ছে বামেদের এবারের ভোট মন্ত্র, ‘হাল ফেরাও, লাল ফেরাও’। গানটিতে তৃণমূল এবং বিজেপিকে তুলোধোনা করা হয়েছে রীতিমত। কী নেই সেই গানের কথায়? তৃণমূলের দুর্নীতি থেকে, বিজেপির বিলগ্নিকরণ, রেল, বীমা সংস্থাকে বেসরকারিকরণ থেকে গত বছর করোনা তাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর থালা বাজানোর আবেদন সব আছে। বিজেপিকে "দাঙ্গাবাজ' বলেও সম্বোধন করা হয়েছে গানে, বলা হয়েছে তারা কীভাবে ধর্মকে ব্যবহার করে ধর্মের রাজনীতি করছে বাংলায়। তাই এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে, চাকরি, শিল্প চাইলে বামকেই ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ বিকল্প একমাত্র বামপন্থাই।
এই গানটি প্রকাশিত হওয়ার পর বাম কর্মী-সমর্থক থেকে হেভিওয়েট নেতারা সকলেই এই গানের সুর এবং কথায় মত্ত। সোশাল মিডিয়ায় এই গানের শেয়ার এবং ভিউজ হয়েছে অজস্র। এবার দেখার পালা এই গানের কথাগুলো মানুষকে কত ছুঁতে পারছে, যার প্রতিফলন আমরা ভোট বাক্সেই দেখতে পাব আগামী 2 মে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা!
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ শ্বেতাকাত্তির জয়ের স্বীকৃতি এক দিনের জন্য কানাডার কনসাল জেনারেল পদ।
ওজোন স্তরে একটি বিশালাকার ফাটল তৈরি হয়েছে, যা ক্রমশ আরও বেড়ে চলেছে।
বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে আসে, নাকি লোকালয় বাড়তে বাড়তে তাদের জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে?
হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামকে ছাপিয়ে সিগন্যাল এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
রাজ্যে একদিকে চলছে ভোট প্রচার, আর একদিকে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকদিনেই 400 ছাড়িয়ে গেছে।
এনগেজড হওয়ার পরেও মনে নানান সমস্যা, চিন্তা উঁকি দেয়, তাদের কী সামলানো যায়?