ডিপ্রেশন (Depression) শব্দটা শুনলেই অনেকেই হেসে উড়িয়ে দেন। এর গভীরতা, কারণ, কিছুই বোঝার চেষ্টা করেন না। কেউ কেউ আবার ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ তকমাও দিয়ে ফেলেন! যত ক্ষণ না কোনও বড় অঘটন ঘটছে তত ক্ষণ অধিকাংশ মানুষই এর গুরুত্ব বোঝেন না। আবার যাঁরা ডিপ্রেশনের শিকার হন তাঁরাও অনেক সময় নিজেদের অবস্থা অন্যদের বোঝাতে পারেন না। ভিতর ভিতর গুমরে মরেন। শেষ অবধি ব্যাপারটা ভয়ানক হয়ে দাঁড়ায়। খুব কম মানুষ আছেন যাঁরা একার চেষ্টায় ডিপ্রেশনের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। আর এই গোটা বিষয়টা নিয়েই কন্টেন্ট কা কিডা-র (Content Ka Keeda) নতুন শর্ট ফিল্ম (Short Film) ‘ডিপ্রেশন’।
গল্পে দেখা যায় কাজল (সালোনি দিয়ানি) ডিপ্রেশনের শিকার। গত বছর তার বাবা করোনায় মারা যাওয়ার পর সে যেন আরও বিষাদে ডুবে গিয়েছে। তার কিছুই করতে ভাল লাগে না। একা একা থাকে। গুমরে মরে। স্নান করতে ভাল লাগে না, খেতে ইচ্ছে করে না। মৃত্যুকে কখনও আপন মনে হয়। সে চেয়েও মাকে জানাতে পারে না তার মনের অবস্থা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সহ্য করতে না পেরে জানিয়েই ফেলে। কিন্তু মা কী বুঝল? না। আর পাঁচ জন সাধারণ ভারতীয়ের মতোই কাজলের মা (নিলু কোহলি) বুঝলেন না তাঁর মেয়ের অবস্থা। দোষ দিলেন মেয়েকেই। মেয়ে স্নান করে না, ঘর নোংরা করে রাখে বলে তার নাকি মন ভাল নেই। কিন্তু মেয়ে যখন বোঝাল আর পাঁচটা রোগের মতো এটাও একটা রোগ যেখানে ডাক্তারের সাহায্য লাগে তখন মা যেন খানিকটা বুঝলেন। নিজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাপারটা জানলেন, ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন। এবং অবশেষে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে নিয়ে। কিন্তু কী হয় শেষ পর্যন্ত?
আরও পড়ুন: শর্ট ফিল্ম: Kati Patang
গল্পে কাজল সাহস করে তার মাকে বলতে পেরেছিল মনের কথা যা অনেকেই পারে না। আর পারলেও যাকে বলছে সে বুঝে উঠতে পারে না। যেমনটা প্রথমে কাজলের মা বুঝছিলেন না। কিন্তু আমাদের সবাইকে এটা বুঝতে হবে এটাও একটা রোগ, যাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যার চিকিৎসা প্রয়োজন। আর সেই শিক্ষাই যেন এই শর্ট ফিল্ম দিল। কাজলের ভূমিকায় থাকা সালোনি দিয়ানি দারুণ। এই ফিল্মে গল্প বলার মধ্যেও একটা অভিনবত্ব আছে।
নিউ নর্মালে সবই কেমন যেন বদলে যাচ্ছে, বদলে গেছে চেনা আড্ডা, চেনা জায়গাগুলো।
প্রেমে ব্যর্থ হয়েই অনেকে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন, মুক্তি কোথায়?
এই গান বর্তমান পরিস্থিতিরই এক রেপ্লিকা
ভারতের শাস্ত্রীয় নৃত্য তথা সাংস্কৃতিক জগতে এক বিশাল শূন্যতা রচনা করে চলে গেলেন বিরজু মহারাজ।
75 বছর বয়সী শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায় পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হলেন
পার্টির দাদা দিদির সঙ্গে পরিচয় থাকলেই দ্রুত মিলছে করোনার টিকা, বাকিদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে দিনের পর