‘গত বৃহস্পতিবার আধার কার্ডটা জমা দিয়ে এলাম। ভাবলাম সময় লাগবে। কিন্তু ওমা, দেখি শুক্রবার দুপুরে ফোন করে বলল কাল চলে আসুন। আমি অবশ্য দাদাকে বলে রেখেছিলাম যেন একটু তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করে দেন। ভাবিনি কথা রাখবেন। আসলে অনেক লাইন পড়ছে তো! যাই হোক সহজেই দ্বিতীয় টিকা পাওয়া গেল এই অনেক। পার্টি করার কিছু তো সুবিধা আছে।' বক্তা বেহালা পূর্বের এক বাসিন্দা।
নিউ আলিপুরের মিসেস দাস বললেন, ‘আমার বাপের বাড়ির পাড়ার যিনি কাউন্সিলর, সেই দিদি তো পরিচিত। তাকে বললাম, ব্যাস ব্যবস্থা হয়ে গেল। লাইনে দাঁড়াতে হয়নি, ভিড় ঠেলতে হয়নি, গোটা পরিবার গিয়ে টিকা নিয়ে এলাম। পাঁচ মিনিটের ব্যাপার। এসব ক্ষেত্রে চেনা জানা খুব কাজে লাগে।‘
দুই বক্তাই অম্লান বদনে উত্তর দু’টি দিলেন। যেখানে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে, লাইন দিয়েও পরদিন টিকা পাচ্ছে না, সেখানে কেউ কেউ স্থানীয় কাউন্সিলরের পরিচিত বা পার্টি করেন বলে বিনা লাইনে, বিনা কষ্টে টিকা পেয়ে যাচ্ছেন। কী ভাবছেন এমনটা একটা দু’টো জায়গায় ঘটছে? ধুর! তা কখনও হয়। শুধু কলকাতা না, তার আশপাশের সব জায়গাতেই কম বেশি এই একই ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন:কার স্বাস্থ্যের কীসের সাথী?
আবার অনেক জায়গায় এমনও হচ্ছে, যেখানে দিনের পর দিন লাইন দিয়েও মিলছে না টিকা। টিকার সাপ্লাই নেই নাকি! আবার কোথাও নিত্য দিনের টিকা দেওয়ার যে সংখ্যা সেটা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেককেই বারবার লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেও ফিরে আসতে হচ্ছে। পেরিয়ে যাচ্ছে সময়। যে সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার কথা সেই সময়ের মধ্যে তা অনেকেই পাচ্ছেন না। ফলে মনে বাসা বাঁধছে ভয়।
বরানগরের বাসিন্দা অর্ঘ্য ভট্টাচার্য জানান, ‘বাবার দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার কথা ছিল জুলাইয়ের 11 তারিখ থেকে অক্টোবরের 9 তারিখের মধ্যে। কিন্তু পাঁচদিন মধ্যরাতে লাইন দিয়েও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে টিকা পেলাম না। তারপর দিন পেরিয়ে যাচ্ছে দেখে বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা নিলাম। কিন্তু সবার তো সেই ক্ষমতা নেই 800-900 টাকা দিয়ে পরিবারের সকলে টিকা নেবেন। কী যে হচ্ছে কিছুই বুঝছি না।‘
অর্ঘ্যর মতো প্রশ্নটা অনেকের মনেই উঠছে যে, যেখানে সরকারি জায়গায় টিকার ঘাটতি রয়েছে, সেখানে বেসরকারি জায়গায় কীভাবে গেলেই টিকা মিলছে? তবে কি সরকারি জায়গা থেকে টিকা নিতে গেলে অসীম ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করাতে হবে বা পার্টির দাদা-দিদির সোর্স লাগবে? কিন্তু সবার কি সেটা থাকা সম্ভব? যাদের সোর্স নেই তারা কী করবে তবে? প্রশ্ন থাকলেও, অভিযোগ উঠলেও কোনও সদুত্তর নেই। আর সবের মাঝে রমরমিয়ে চলছে টিকা নিয়ে ব্যবসা, এবং মিথ্যাচারিতা।
বেহালা আর রাজ্যের দক্ষিণের অংশ আবার যুক্ত হল খাস কলকাতার সঙ্গে
ডায়মন্ড হারবারে মিলেছে প্রাণিবিদদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জীবন্ত জীবাশ্ম এক ধরনের মাছ
নিজেদেরই তৈরি করা সমস্যায় মানুষ এখন নিজেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ছে
পার্টির দাদা দিদির সঙ্গে পরিচয় থাকলেই দ্রুত মিলছে করোনার টিকা, বাকিদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে দিনের পর
75 বছর বয়সী শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায় পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হলেন
পৃথিবীব্যাপী মহাসাগরীয় স্রোতের সূত্র ধরেই ক্রান্তীয় অঞ্চলে তাপমাত্রার ওঠানামা