×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • শর্ট ফিল্ম: GIBO

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 08-06-2021

    শর্ট ফিল্ম: GIBO-র পোস্টার

    অফিস বা থিসিস বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে যখন আমরা নাওয়া খাওয়া ভুলে আদ্যোপান্ত ঘেঁটে থাকি, তখন মায়েরা সেসব মনে করাতে এলে আমাদের কাছে দু’টো কথাই থাকে, ‘তুমি বুঝবে না’ আর ‘তুমি জানো না’। অতএব কাজে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে যাও। কিন্তু মায়েরা কি যায়? যেতে পারে? না, কখনই পারে না, তাঁরা তাঁদের বুদ্ধি মতো, সাধ্যমতো সন্তানকে সাহায্য করতে চান, টুকিটাকি জিনিসগুলো মনে করিয়ে দেন। কারণ তাঁর সন্তানকে তাঁর থেকে ভাল আর কেই বা চেনে? এমনই মা ছেলের গল্প দেখাল পরিচালক দীপ কুণ্ডুর ছবি ‘গিবো’। 

     

    আরও পড়ুন: শর্ট ফিল্ম: Dark Skin

     

    কোকো ওরফে মানস (আর্য দাশগুপ্ত) তার একটি প্রজেক্ট নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত। প্রজেক্টটি হচ্ছে একটি রোবট কেন্দ্রিক, যে আগামীদিনে আমাদের সৎ মায়ের ভূমিকা নিতে চলছে। বর্তমানে মায়েদের নানান দিকে মাথা দিতে হয়, সংসারের খুঁটিনাটি সব মনে রাখতে হয়, সামলাতে হয়। গিবো এলে সেই কাজ অনেকটাই সহজ হবে। তাকে হুকুম করলেই সে মায়েদের সব কাজ করে দেবে। আর এই রোবটের নাম গিবো কারণ জাপানি শব্দে এর অর্থ সৎ মা, অর্থাৎ মায়ের যে বিকল্প। এই হচ্ছে তার ভাবনা, যা একটি জাপানিজ কোম্পানির কাছে প্রেজেন্ট করতে চলেছে কোকো। কিন্তু মনে কাজ করছে অজানা ভয়, কী হবে না হবে ভেবে খাওয়া দাওয়া ভুলে গেছে, জিনিসপত্র খুঁজে পাচ্ছে না সে। তখন তার সহায় হয় তার মা মানসী (কনীনিকা ব্যানার্জি)। তাকে শান্ত হতে বলেন, আরও টুকিটাকি নানান বুদ্ধি এবং পরামর্শ দেন। পরদিন কোকো সেই ইন্টারভিউতে যায় এবং সফল হয়। সঙ্গে এও বোঝে মায়ের বিকল্প কেউই হতে পারে না, বড় জোর তার হাতে হাতে কাজ করে দিতে পারে এটুকুই। মায়ের মতো মন বুঝতে, সাহায্য করতে, খেয়াল রাখতে অন্য কেউই পারবে না কোনওদিন। তাই সে সব শেষে একটি সিদ্ধান্ত নেয়। কী সিদ্ধান্ত? সেটা জানতে হলে সিনেমাটি দেখতে হবে।

     

     

    কনীনিকার অভিনয় নিয়ে নতুন কিছু বলার অবকাশ নেই, তবে নবাগত আর্য দাশগুপ্তর অভিনয় বেশ ভাল। সব থেকে ভাল এবং নায়ক বলা চলে এই ছবির গল্পকে, যা শেষ পর্যন্ত দর্শকের মুখে একটা হাসি রেখে যাবে। একটা সহজ সত্য উপলব্ধি নতুন করে অনুভব করাবে এই ছবি।


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    সচেতন এবং সতর্ক না হলে সময়ের আগেই ক্লাইমেট এমার্জেন্সির শিকার হতে হবে আমাদের।

    কোভিড হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, নরক যন্ত্রণা ভোগ ও কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু।

    মৃত্যুর পর কি সব আত্মাই মুক্তি পেয়ে যায় জাগতিক সমস্ত বন্ধন থেকে? 

    ছোটু আর বান্টির স্বপ্ন কি ওদের গিন স্কিন পূরণ করতে পারবে?

    করোনার সংক্রমণ রুখতে প্রচারে আপস করে রাজনীতিতে দায়িত্বশীলতার বিরল নজির দেখাল বামেরা।

    বাড়ির কাজের লোককে আমরা ঠিক কতটা সম্মানের চোখে দেখি বা বিশ্বাস করি? সত্যি করে বলুন তো?

    শর্ট ফিল্ম: GIBO-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested