প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখ্যান দিয়ে যে সব কিছু মাপা যায় না, তা প্রমাণ করে দিল সিপিএম। ভোটের প্রচারে সর্বাগ্রে রাশ টেনে তারা মানুষের সুরক্ষার উপর জোর দিয়েছে। করোনার ভয়াবহতা উপলব্ধি করে দিন কয়েকের মধ্যেই তাদের অনুসরণ করল তণমূল কংগ্রেস সহ অন্য অনেক দলও। ব্যতিক্রম কেন্দ্রের বড় শাসক বিজেপি। তাদের নেতারা জনসমাবেশের সঙ্গে করোনার সংক্রমণের কোনও সম্পর্ক দেখতে পাচ্ছেন না এখনও।
এপ্রিলের গোড়ায় যেখানে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল দুই হাজারের কম, সেটা এখন দশ হাজার ছুঁতে চলেছে। রাজ্য সহ গোটা দেশে চিকিৎসকেরা প্রমাদ গুনছেন যে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই সুনামির আকার নিয়েছে। কিন্তু বাংলা জুড়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে কোনও শিবিরই কাউকে একচুল মাটি ছাড়তে নারাজ। দেদার চলছে পথসভা, মিটিং, মিছিল। বালাই নেই শারীরিক দূরত্ব মানার, কিংবা মাস্ক পরার।
এরই মধ্যে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম 14 এপ্রিল সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, বামেরা আর কোনও বড় জমায়েত, পথসভা, মিছিল করবে না। ছোট ছোট সভা হবে। প্রার্থীরা গুটিকয়েক সমর্থক নিয়ে বাড়িবাড়ি প্রচার করবেন। মানা হবে দূরত্ব বিধি, বাধ্যতামূলক থাকবে মাস্ক। ভোটের প্রচারের সঙ্গে করোনার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করবেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, গত একবছর তাঁরা যেমন ভাবে মানুষের পাশে ছিলেন তেমনটাই থাকবেন। দরকার মতো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন ইত্যাদি। তবে প্রচার কী আর এভাবে হয়? তাঁর কথা অনুযায়ী যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমকেই কাজে লাগানো হবে। তাকে মাধ্যম করেই মানুষের কাছে পৌঁছনো হবে। সঙ্গে থাকবে ছোট ছোট সভা। করোনা যখন এভাবে বাড়ছে, তখন মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রচার করতে নারাজ তাঁরা।
চার পাঁচ দিনের মধ্যেই দ্রুত করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে অবশেষে হুঁশ ফিরছে অন্যদেরও। তৃণমূল নেত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বড় সভা সমাবেশ বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন। বিজেপি নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য সমাবেশের সঙ্গে রোগ সংক্রমণের সম্পর্ক দেখতে পাচ্ছেন না। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোট ছিল মাত্রই সাত শতাংশ এবং তার জন্য সোশাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কম সহ্য করতে হয়নি তাদের। প্রচারে রাশ টানার সিদ্ধান্ত কিন্তু প্রমাণ করল যে কাণ্ডজ্ঞান এবং দায়িত্ববোধ নামক বিষয়গুলো সংখ্যার বিচারেই শুধু ঠিক হয় না।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ শ্বেতাকাত্তির জয়ের স্বীকৃতি এক দিনের জন্য কানাডার কনসাল জেনারেল পদ।
সচেতনতা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা দিয়ে সিকদামাখাই গ্রামের মানুষ রুখে দিল করোনাকে।
যৌবনের স্বপ্নগুলো বাস্তবের মাটিতে আছাড় খেয়ে ভেঙে জীবন এগিয়ে গেলেও মনে থেকে যায় সেই সোনালী দিন।
‘বিজেপিকে তাড়াব এই ভোটে’ গানের কথায় বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন এই প্যারোডির স্রষ্টারা।
বিজেপির এই গানে বোধহয় শুধুই অনির্বাণদের উত্তরই দেওয়া হল, কিন্তু মানুষের মন ছুঁতে পারল কই?
রিখটার স্কেলে 9.4-9.6 মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে বলে গবেষকরা দাবি করছেন।