×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • শুকিয়ে যাচ্ছে নীল নদ

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 18-08-2021

    নীল নদ

    খোদার উপর বিশাল খোদকারির চেষ্টা চলছে, প্রকৃতিকে বশে আনার চেষ্টায় ব্যস্ত হাজার হাজার মানুষ। পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীকে শিকল পরানো কী মুখের কথা নাকি! আফ্রিকার উচ্চতম বাঁধ গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ ড্যাম তৈরি হচ্ছে নীল নদের উপর। এই নিয়ে ইথিওপিয়া আর মিশরের মধ্যে একটা চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কেউই কারও কথা শুনতে নারাজ।

     

    এরই মাঝে চুপিচুপি একদম নিঃশব্দে আরও একটি ঘটনা ঘটে চলেছে। যার হার বেড়ে এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, তা যথেষ্টই উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। পৃথিবীর দীর্ঘতম একক জলধারা নীল নদ শুকিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। অথচ এই নদীই হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা মিশরের প্রাণকেন্দ্র, আজও। ফলে মিশরের বাসিন্দারা এক ভয়ানক জল সংকটের মধ্যে পড়েছে, যা আগামীদিনে আরও বাড়বে। এর প্রভাব জীবন, জীবিকা সবের উপরেই পড়বে। মিশর দেশটি 10 লাখ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের হলেও তার মাত্র 3 শতাংশ অংশ মানুষের বসবাসের যোগ্য। বাকিটা ধূধূ মরুপ্রান্তর। এবং এই মিশরের একমাত্র পানীয় জল, সেচ কাজের উৎস হল নীল নদ। 

     

    আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতে কম বৃষ্টিপাতই এখন নিউ নর্মাল

     

    ইথিওপিয়ান হাইল্যান্ড এবং ভিক্টোরিয়া হ্রদ থেকেই নীল নদের 60 শতাংশ জল আসে। কিন্তু বিশ্ব উষ্ণায়ন, কম এবং অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং ঘন ঘন খরা হওয়ার কারণে নীল নদ ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি আরও একটি কারণ হচ্ছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে জলের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নীল নদের আশপাশের জমির লবণতা। ফলে পানীয় জল এবং খালের মাধ্যমে যে জল চাষের ক্ষেতে দেওয়া হত, তাতেও একটা ঘাটতি দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কৃষি উৎপাদনেও এর ফল দেখা গিয়েছে। মিশরের টমেটো চাষে 50 শতাংশ, গমে 18 এবং ধানে 11শতাংশ ঘাটতি দেখা গিয়েছে। 

     

    এই অবস্থার মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমস্যা হিসেবে গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ ড্যাম গড়ে উঠছে। ইথিওপিয়া আগের তুলনায় জল কম ছাড়ছে, ফলে নীল নদের জলের পরিমাণ আরও কমে গেছে বিগত কয়েক বছরে। তাহলে কি আরও একবার মিশরীয় সভ্যতা ধ্বংস হতে বসেছে? 

     

    দক্ষিণ কোলকাতার একটি কলেজের ভূগোলের অধ্যাপিকা নীলাঞ্জনা বিশ্বাস জানান, ‘এই অঞ্চলে নদী শুকিয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। প্রায় 10হাজার বছর আগে এখানে জঙ্গল ইত্যাদি ছিল। ছিল প্রাণের কোলাহল। কিন্তু একটা সময় ধীরে ধীরে এই সবুজ অঞ্চলটি শুষ্ক মরুপ্রান্তরে পরিণত হয়। এখন এখানকার একমাত্র প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে এই নীল নদ। তা শুকিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আর এই নদীর উপর ভিত্তি করে আছে অনেকগুলো দেশ, তাদের নানান চাহিদা, কৃষিকাজ ইত্যাদি। ফলে এভাবেই যদি নীল নদ শুকিয়ে যায়, তাহলে আরও একবার মিশরীয় সভ্যতা ধ্বংস হবে। মানুষ সহ বাকি প্রাণীরা অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হবে। ফলে এখনই সতর্ক হতে হবে, কৃষি কাজের জন্য বিকল্প উপায় ভাবতে হবে, যাতে কম পরিমাণ জল লাগে। ইথিওপিয়াকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।'

     


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    ইচ্ছেপূরণের গল্প দেখাল ‘ঘরেলু’ শর্ট ফিল্মটি। 

    ভারতের শাস্ত্রীয় নৃত্য তথা সাংস্কৃতিক জগতে এক বিশাল শূন্যতা রচনা করে চলে গেলেন বিরজু মহারাজ। 

    বাংলার সঙ্গীত জগৎ আপাতত ডিজিটাল কনসার্টময়।

    বর্ষশেষের আগের রাতে রূপম ইসলাম তাঁর ভক্তদের উপহার দিয়ে গেলেন এক অনন্য সঙ্গীতময় সন্ধ্যা।

    যতটা সম্ভব কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। তবেই আগামী দিনে যে বিপদ অপেক্ষারত তাকে এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। 

    বাংলা সিনেমার দর্শক সংখ্যা কী কমছে? নেপথ্যে কী কারণ?

    শুকিয়ে যাচ্ছে নীল নদ-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested