2020 দেওয়ার তুলনায় কেড়েই নিয়েছে বেশি। তাই আমাদের পাওনার ঝুলি প্রায় শূন্য বললেই চলে। বদলে গিয়েছে জীবন, নেই আগের মতো ঘুরতে যাওয়া বা কোনও অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া। তাই, 30 ডিসেম্বর রূপম ইসলাম ব্যবস্থা করলেন ডিজিটাল অনুষ্ঠানের। নাম? ‘লাইভ ইন ইয়োর লিভিং রুম’। যদিও এটাই প্রথমবার নয়। গোটা লকডাউন জুড়েই যখন মানুষ একটু একটু করে হতাশা আর একাকীত্বে ডুবে যাচ্ছে, তখন তিনি এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন বারংবার করেছেন। তাঁর দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন একটু টুকরো আনন্দ। বলা যায় এই ডিজিটাল কনসার্টের পথপ্রদর্শক রূপম ইসলামই। তবুও এই অনুষ্ঠান আলাদা কোথায়?
লকডাউনে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন, অর্থের অভাব, তাই বলে কি তারা আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকবেন? সেই ভাবনা থেকেই তিনি ঠিক করেন বিনামূল্যে এই অনুষ্ঠান করবেন তাঁর সকল দর্শকদের জন্য। টানা দেড় ঘন্টা নিজেই গিটার এবং সিন্থেসাইজার বাজিয়ে গেয়ে গেলেন একের পর এক গান। বললেন নানান কথা।
শুধু কী তাই? শোনালেন 2020-র এই দুঃসময় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা, থেমে না থাকার গল্প, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সাহস। কোন লড়াই? কোন আন্দোলন? যা আমাদের চারপাশে ঘটছে, জীবনে ঘটছে। সঙ্গে এও জানাতে ভুললেন না, 2020 একদম যে কিছু দেয়নি তাও নয়। নিজেদের চিনিয়েছে, নিজেদের সুপ্ত প্রতিভা খুঁজে বের করার সময় দিয়েছে আমাদের। এসবই তাঁর কথায় ধরা পড়ল নতুন করে, সাহস এবং উদ্দীপনা জোগাল তাঁর দর্শকদের মধ্যে। আর দর্শকেরা? কমেন্টে কমেন্টে ভরিয়ে তুলল তাঁর সেই অনুষ্ঠান। সপ্তাহের মধ্যভাগ হলে কী হবে, সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ একসঙ্গে বসে এই অনুষ্ঠান দেখলেন।
দেখা গেল কোনও বিশেষ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রূপমের লেখা কোনও গান আজও সমান ভাবে অন্য ঘটনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। শিরদাঁড়া সোজা রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মন্ত্র জোগাল সেই গান। অরাজনৈতিক আলোচনাতেও কেমন ভাবে রাজনৈতিক আলোচনা মিশে যেতে পারে, তা ধরা পড়ল তাঁর গানে কথায়।
এবার প্রশ্ন আসতে পারে, এই অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব কী? বাড়ি বসেই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানেও কখনও লাইভ অনুষ্ঠানের মতো আয়োজন দেখেছেন? আলোর রকমফের, পিছনে স্লাইডে বদলাতে থাকা ছবি, দুর্দান্ত ক্যামেরার কাজ। অসামান্য আয়োজন এক কথায়। হ্যাঁ, লাইভ এবং ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের যে ফারাক ধরা পড়ল তা হল, বাড়ি বসে একা গলা মেলানো আর সারা হলের সমস্ত দর্শক একসঙ্গে গলা মেলানো, এই তফাৎ তো থাকবেই। তবুও এই দুর্দিনে অন্যভাবে হলেও এক টুকরো আনন্দ তো উপহার দিয়ে গেলেন রূপম। অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন নীল রং দিয়ে, শেষ হল তাঁর সদ্য প্রকাশিত অ্যালবাম ‘আমি’-র ‘আমি যাই’ গান দিয়ে। রূপমের এই অনুষ্ঠানে দর্শকদের মধ্যে কেউ ছিলেন সুদূর আমেরিকা থেকে, তো কেউ বাংলাদেশ, তো কেউ আবার জার্মানি। কলকাতা তো আছেই। আলোর ঝলকানি, উদ্দীপ্ত কথা, গানে গানে, সুরে সুরে রূপম ইসলাম তাঁর দর্শকদের বর্ষশেষের আগের রাতটা মনে রাখার মতো স্মরণীয় করে তুললেন। শুধু তাই নয়, তিনি যে বাকিদের তুলনায় ব্যতিক্রমী, তাও বুঝিয়ে দিলেন এমন সুন্দর এক অনুষ্ঠান বিনামূল্যে আয়োজন করে।
ডেভিড এবং তাঁর স্ত্রী মানুষ করে চলেছেন ২২০জন সন্তানকে, আগলে রেখেছেন ওদের সস্নেহে।
সারোগেসির সুবিধা অসুবিধার কথা নিয়ে নতুন ছবি মিমি।
যতটা সম্ভব কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। তবেই আগামী দিনে যে বিপদ অপেক্ষারত তাকে এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে।
বামেদের প্রার্থী তালিকায় তরুণ এবং যুবরা কি পারবেন মানুষের মন জয় করতে
বড় বড় কথা আর অজস্র কন্যাশ্রী সত্ত্বেও মেয়েরাই মেয়েদের বড় শত্রু, বারবার প্রমাণিত হচ্ছে এই বাংলায়
দূরত্ব বিধি মানা উঠে গেলেও কলকাতার অটোরিকশায় ভাড়া আর কমল না।