জীবনে আমাদের কতই না চাওয়া-পাওয়া থাকে। তার কিছু পূর্ণ হয়, কিছু অপূর্ণই থেকে যায়। আর এই অপূর্ণতাগুলোই আরও বেশি করে কিছু চাওয়ার, কাউকে আঁকড়ে ধরার অবকাশ তৈরি করে দেয়। পাশাপাশি এ প্রশ্নও তোলে, যা পাওয়া হল না, যে গল্পটা অসম্পূর্ণ থেকে গেল তা কি তবে মিথ্যে? আর এটা নিয়েই সৌম্যজিৎ আদকের নতুন ছবি, ‘অল্প হলেও সত্যি’। কিন্তু কতটা মনে দাগ কাটতে পারল সেই ছবি?
গল্পে দেখা যায় চার মূল চরিত্রকে, অর্জুন (সৌরভ দাস), অমৃতা (দর্শনা বণিক), গুঞ্জা (সৃজনী মিত্র) এবং সিদ্ধার্থ (ঋষভ বসু)। দুটি সমান্তরাল প্রেমের কাহিনি, প্রেমের অপূর্ণতা নিয়েই এই ছবি এবং কী ভাবে তারা মিলেমিশে যায় তা দেখা যায় এই গল্পে। অর্জুন হচ্ছে বাংলার প্রফেসর, ক্যান্সার আক্রান্ত। জীবনে আর ক’টি দিন বাকি আছে তার। তার প্রাক্তন ছাত্রী তথা ভাললাগা হচ্ছে গুঞ্জা। একসময় গুঞ্জা পড়াশোনার থেকে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলায় ওদের দু’জনের দূরত্ব বাড়ে। অন্য দিকে অমৃতা আর সিদ্ধার্থ বন্ধু ছিল। সিদ্ধার্থ অমৃতাকে ভালবাসত। কিন্তু অমৃতা তাকে ফিরিয়ে দেয়। সে ডাক্তার হতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হতে পারেনি। বর্তমানে সে একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স এবং অর্জুনের ভাড়াটে। সে-ই অর্জুনের খেয়াল রাখে, যত্ন নেয়। আর অন্য দিকে সিদ্ধার্থ আর গুঞ্জা সহকর্মী। ওদের বিয়ে ঠিক হয়েছে। অমৃতাও অর্জুনের খেয়াল রাখতে রাখতে ওকে ভালবেসে ফেলে। অর্জুনও। কিন্তু তারা জানে, এই প্রেমের পরিণতি কী হতে পারে, তাই কেউই কাউকে মনের কথা বলে না। অর্জুন ও গুঞ্জা এবং সিদ্ধার্থ ও অমৃতার পাঁচ বছর পর আবার দেখা হয়। জীবনে তাদের আবার ঢেউ ওঠে। কিন্তু সেই ঢেউ তাদের জীবনে কতটা আলোড়ন ফেলে সেই নিয়েই এই ছবি।
আরও পড়ুন:জাতি বিদ্বেষের দায়ে অস্কারে এন্ট্রি পেল না সর্দার উধম
এ বার আসা যাক অভিনয়ে। গোটা সিনেমায় চেনা সৌরভ দাসকে ঠিক পাওয়া গেল না। নিজেকে যেন তিনি সম্পূর্ণ উজাড় করে দেননি চরিত্রটার জন্য। ভাল হলেও আরও ভাল করার জায়গা ছিল। দর্শনা বণিকের অভিনয় প্রথম দিকে বেশ দূর্বল হলেও শেষের দিকে তা ভাল হয়। ঋষভ মোটামুটি। চিত্রনাট্য বেশ দূর্বল, ডিরেকশন ঠিক জমেনি, কালার কারেকশনও যথাযথ হয়নি। তবে অমিত-ঈশানের মিউজিক বেশ ভাল। বারিষের লেখা এবং শাহানা বাজপেয়ীর গাওয়া গানটি বেশ মন কাড়া।
রেটিং - 2/5
ডায়মন্ড হারবারে মিলেছে প্রাণিবিদদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জীবন্ত জীবাশ্ম এক ধরনের মাছ
যে জায়গায় সারা বছর তুষারপাতই নিয়ম, হিমাঙ্কের উপরে ওঠে না তাপমাত্রা, সেখানে টানা তিনদিন ভারী বর্ষণ।
কলকাতা মেডিক্যালের ইন্টার্নরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মী N95 মাস্ক পাননি। হচ্ছে না স্বাস্থ্
কানাইলাল ভরা কোর্টে গার্লিক সাহেবকে হত্যা করেছিলেন ছদ্মনামে
সারদা থেকে নারদা হয়ে ভ্যাকসিন, ‘কেলো’ যেন আর তৃণমূলের পিছু ছাড়ছে না!
কলকাতা কেন্দ্রিক দক্ষিণবঙ্গ দিন দিন বাজ পড়ার হটস্পট হয়ে উঠছে।