উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়াই কাজ করতে তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, যুদ্ধক্ষেত্রে যদি সৈন্যরা বিনা অস্ত্রে যুদ্ধে নেমে প্রাণ হারায় বা আহত হয়, তার দায় কার? করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউই কাজ ছেড়ে পালাবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা কাজ করে চলেছেন। কিন্তু এভাবে আর কতদিন?
ইনটার্ন চিকিৎসকদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কলকাতা মেডিক্যালের ইন্টার্নরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মী N95 মাস্ক পাননি। হচ্ছে না স্বাস্থ্যকর্মীদের টেস্টিংও। এমনকী সংক্রমিত রোগীর সংস্পর্শে এলে সমস্ত নিয়ম বিধি মেনে ডাক্তারদের রাখা হচ্ছে না কোয়ারেন্টাইনে। ডাক্তাররাই যদি এ ভাবে আক্রান্ত হতে থাকেন তবে চিকিৎসা করবেন কারা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক আক্ষেপের স্বরে বলেই দিলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন হলে, আক্রান্ত ডাক্তারের সংখ্যা সাত।‘ অনেকেই বলছেন, মেডিক্যাল কলেজে সংক্রমিত ডাক্তারদের সংখ্যাই বেশি। ইন্টার্নদের মতে, মেডিক্যাল কলেজে যে কোভিড সংক্রমণ হয়েছে তা সম্পূর্ণ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার ফল। কারণ তাঁরা যথেষ্ট টেস্ট করেননি। করলেও তাতে অনেক দেরি হয়েছে। প্রাথমিক কন্টাক্টদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলেও, কোনও নিয়ম মানা হয়নি। একই ঘরে চারজনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে বাথরুমও একটাই।
ইন্টার্নরা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ মেনে তাঁদের সবাইকে PPE এবং মাস্ক দিতে হবে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, ভয় পাচ্ছেন। এ ভাবে চললে তাঁরা তো সংক্রমিত হবেনই, তাঁদের পরিবার বা সংস্পর্শে আসা আরও অনেকেই কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হবেন। ইন্টার্নদের দাবি, এই লড়াইয়ে তাঁদের পাশে রয়েছেন শিক্ষকরাও। এই বিক্ষোভের ফলে ডাক্তারদের উপস্থিতি কমছে হাসপাতালে। ব্যহত হচ্ছে পরিষেবাও।
ছবিতেই গল্প বুনে অনন্যা মধুরিমা
23°C-এর বেশি তাপমাত্রায় করোনা ভাইরাস ছড়ায় না এমন কোনও দাবি বিজ্ঞানী মহল থেকে আজ অবধি করাও হয়নি।
প্রেমে ব্যর্থ হয়েই অনেকে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন, মুক্তি কোথায়?
এবারের দীপাবলি ধোঁয়াহীন রাখার বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে খুশি চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
বর্ষাকালে এখন আর রোজ রোজ বৃষ্টি হয় না, মাঝে মাঝে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়।
ভয় দেখিয়ে অস্ত্রের নাচ দেখিয়ে রাম নবমী পালন