উরিবাবা প্রযোজিত, প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য পরিচালিত ‘বিরহী’ ওয়েব সিরিজ এক প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল মাস্টারের জীবনী এবং তাঁর সঙ্গে জড়িত মানুষদের গল্প তুলে ধরেছে। আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই হাজার ত্রিশেক মাইনের সরকারি চাকরির জন্য কত মানুষ কত কত পথ পাড়ি দেন, কী কী সমস্যার সম্মুখীন হন। সেই অজানা গ্রাম বাংলার ছবিই ধরা পড়েছে এই ওয়েব সিরিজে।
কৃষ্ণ (সায়ন ঘোষ) বিরহী প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পায় পরীক্ষা দিয়ে। প্রথমে আনন্দিত হলেও দূরত্ব এবং গ্রামের কথা শুনে সেই আনন্দ যেন তাঁর নিমেষে হাওয়া হয়ে যায়। সেই গ্রামে একটি স্কুল থাকলেও বাচ্চারা কেউ পড়তে আসে না। ছেলে মেয়ে, বুড়ো বাচ্চা সবাই মিলে ‘বাবা’ ওরফে লোকাল বোমা বাঁধে এবং ‘হাবা’ ওরফে গাঁজার চাষ করে। কেউ কেউ তো সারাদিন হাবা খেয়েই পড়ে থাকে। আকছার শোনা যায় বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। কৃষ্ণ এই গ্রামের চেহারা দেখে ভয় পেয়ে তাদের স্থানীয় নেতার শরণাপন্ন হয় বদলির জন্য। কিন্তু টাকা ছাড়া যে কিছুই হয় না! ফলে গল্পের পরতে পরতে উঠে আসে বাস্তব। বন্ধুদের আড্ডা, চাকরি না পাওয়ার কারণে প্রেম ভেঙে যাওয়া, গ্রাম বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা, দৈনন্দিন জীবন সবই উঠে আসে এই ওয়েব সিরিজে। এরই মধ্যে কৃষ্ণের সঙ্গে প্রেম হয় রাধার (শতাক্ষী নন্দী)। তাঁর এবং কৃষ্ণের কর্মস্থল প্রায় একই জায়গায় হওয়ার তাদের দারুন আলাপ জমে। কিন্তু প্রেমটা কি অতই সোজা ছিল? সেটা গল্প বলবে। সবের মাঝেও কৃষ্ণ কীভাবে সেই গ্রামের বাচ্চাদের স্কুলমুখী করে তুলতে সক্ষম হয়, সেটা এই ওয়েব সিরিজের অন্যতম বিষয়। কিন্তু হঠাৎই একটি ঘটনা সব পাল্টে দেয়। পাল্টে দেয় বিরহী প্রাইমারি স্কুলের ভবিষ্যৎ, কৃষ্ণের জীবন। কিন্তু সব কি পাল্টে গেল আদতে? নতুন শুরুর হাতছানি কি থেকে গেল না?
আরও পড়ুন: শর্ট ফিল্ম: Aaina
নবাগতা শতাক্ষীর অভিনয় বেশ ভাল। সায়নের অভিনয় নিয়ে কিছু বলার নেই, সে এর আগেও বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছে। কিন্তু সব থেকে বেশি নজর কেড়েছে গল্পের জমিদারদি-র চরিত্র। এই চরিত্রের জন্যই গোটা গল্প ওলটপালট হয়ে গেল।
এছাড়াও পরিচালক মহাশয় যেভাবে কীর্তনকে ব্যবহার করেছেন এই সিরিজে তা অনবদ্য। এক্ষেত্রে সঙ্গীত পরিচালক সাত্যকি ব্যানার্জীকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। সিনেমাটোগ্রাফি বেশ ভাল। হাওয়া খারাপ গান তো এখন নেট নাগরিকদের মুখে মুখে ঘুরছে। বর্তমান সময়ের জন্য একটি অত্যন্ত জরুরি এবং বার্তাবহ সিরিজ। কিন্তু এই সিরিজে যেন মন ভরল না। যেন শেষ হয়ে শেষ হল না ঠিক। গল্প যেভাবে শেষ হল তাতে সিরিজ দুইয়ের জন্য অপেক্ষা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।
অঙ্ক আর ফিজিক্স ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রস্তাব প্রত্যাহার AICTE-র।
মানুষের একটি অতি সাধারণ প্রবণতার কারণে একটি গোটা গ্রামকে দেখলে মনে হয়, সে যেন ঘুরছে!
সমাজে নানান ভ্রান্ত ধারণা থাকে, তাদেরই একটা হল মোটা মানেই অসুন্দর।
সোমবার বেহালার ঐতিহ্যবাহী চণ্ডীপুজোর শেষ দিন।
কোথাও নৌকো ভাসছে, কোথাও বা এক হাঁটু জল, একরাতের বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা বেহালার।
রাজ্যটা এখন চিড়িয়াখানা নাকি সার্কাসে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে অনেকের মনেই ধন্দ।