×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • শর্ট ফিল্ম: Aaina

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 08-10-2021

    শর্ট ফিল্ম: Aaina

    সমাজে ‘সুন্দরের’ একটা অদ্ভুত ব্যাখ্যা আছে। ফর্সা, রোগা, টিকালো নাক, সুন্দর হাসি ইত্যাদি। এর বাইরে একটু গেলেই শুনতে হয়, ‘মুখটা সুন্দর কিন্তু গায়ের রংটা চাপা', ‘একটু বেশিই মোটা নয় কি?’ ইত্যাদি। আর এই সমাজের চোখে সুন্দর হতে গিয়ে একটা মানুষকে যে ঠিক কতটা অপমান সহ্য করতে হয়, নিজের আত্মসম্মানের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতে হয় সেটা কেউ বোঝে না, দেখে না। আর যদি এর মধ্যে বিয়ে নামক খাঁড়া চলে আসে তাহলে তো হয়েই গেল! ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়ের মতো এখানেও স্টেটাস ভাগ আছে। কিন্তু সেটা কতটা ঠিক আর কতটা ভুল, কোনওদিন ভেবেছি কি আমরা? লাইফ তকের নতুন শর্ট ফিল্ম ‘আয়না’ এমনই এক গল্প বলল। 

     

     

    সংগ্রাম (সুরভী সিং) রোজ সকালে উঠে ব্যায়াম করতে যায় কাছের মাঠে। কিন্তু যাওয়ার আগে সে প্রতিদিন ধন্ধে পড়ে যে, কী পোশাক পরবে, কোনটায় তাকে রোগা লাগছে। জিমে যায় ‘রোগা’ হওয়ার জন্য। কারণ সে সমাজের চোখে ‘মোটা’ এবং ‘বেঢপ’। এদিকে তার বিয়ের বয়স হয়েছে, আর বিয়ের ‘বাজারে’ মোটা মেয়েদের দর কম। তাই তার মা (নিরুপমা ভার্মা) ব্যায়াম, জিম এসবের পাশাপাশি পোশাক এবং খাওয়া দাওয়ায় কঠিন নজর রাখেন। মেয়েকে মনের ভুলেও পরোটা, মাখন খেতে দেন না। কিন্তু তার যে ইচ্ছে করে, সেটা কেউ বোঝে না। যেদিন ছেলেরা দেখতে আসবে, সেদিন স্লিভলেস ব্লাউজ দিয়ে শাড়ি পরায় মা আপত্তি জানায়। কারণ তাকে মোটা দেখাচ্ছে। তখন সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সে বিয়ে করবে বলে রাজি হয়েছিল নিজের আত্মসম্মানের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করবে বলে নয়। নিজেকে কষ্ট দেবে বলে নয়। যে যাকে পছন্দ করবে, সে যেন এভাবেই তাকে পছন্দ করে। সে ফিট থাকতে চায়, কিন্তু রোগা বা সুন্দর হতে চায় না সমাজের করে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী। সে তার মতো। অবশেষে তার মা তার কথা বোঝে এবং সম্মতি জানায়। 

     

    আরও পড়ুন: শর্ট ফিল্ম: Aaina

     

    লাইফ তকের শর্ট ফিল্মগুলোতে বারবার সমাজের নানান ছবি ফুটে ওঠে, ভুলগুলো তারা যেন চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়। নতুন করে ভাবতে শেখায়। এবারও যেন তার ব্যাতিক্রম হল না। ‘আয়না’ শর্ট ফিল্মের মাধ্যমে বডি শেমিং নিয়ে সুন্দর এক তথ্য পরিবেশিত হয়েছে। ছোট অথচ শিক্ষণীয়। 

     


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    এই বিপদে জনপ্রতিনিধিরা ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে, নাগরিকরাই একে অন্যের পাশে থেকে কঠিন লড়াই লড়ছে।

    মহারাষ্ট্রের ন্যানেঘাট ঝর্নার জল নিচে পড়ার বদলে আপাতদৃষ্টিতে রহস্যময়ভাবে উপরের দিকে উঠে যায়।

    64 বছর বয়সে মেডিক্যাল পড়তে ভর্তি হলেন জয় কিশোর।

    চন্দননগরের শ্রীশচন্দ্র এবং কানাইলাল চারুচন্দ্র রায়ের থেকে স্বদেশমন্ত্রের দীক্ষা পেয়েছিলেন।

    রাজ্যে একদিকে চলছে ভোট প্রচার, আর একদিকে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকদিনেই 400 ছাড়িয়ে গেছে।

    : ছক ভেঙে যুবদেরএগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে বামনেতৃত্ব।

    শর্ট ফিল্ম: Aaina-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested