‘বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি।
দেশে দেশে কত-না নগর রাজধানী--
মানুষের কত কীর্তি, কত নদী গিরি সিন্ধু মরু,
কত-না অজানা জীব, কত-না অপরিচিত তরু
রয়ে গেল অগোচরে।‘
রবি ঠাকুরের কবিতার লাইন। সত্যি তো পৃথিবী কেন নিজের দেশেরই কত জায়গার কথা আমরা জানি না! এই যেমন উত্তরাখণ্ডের রূপকুণ্ড, তথা স্কেলিটন লেক, কিংবা উত্তর-পূর্ব ভারতের নিজস্ব বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। তেমনই এক অদ্ভুত জায়গা আছে পশ্চিমেও!
মহারাষ্ট্রের ন্যানেঘাটে রয়েছে এক অদ্ভুত ঝর্না। সাধারণত ঝর্না পাহাড় থেকে নিচে থেকে নামে। কিন্তু এই ঝর্না পাহাড় থেকে পড়েই আবার উপরের দিকে উঠে যায়। এই অদ্ভুত রহস্যময় পাহাড়টি মুম্বাই এবং পুনের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত। সেখানে থেকেই এই ঝর্নার উৎপত্তি।
এই রকম ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হত আগে যে, এখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না, তাই ঝর্নার জল নিচে পড়ার বদলে উপরের দিকে উঠে যায়। ন্যানেঘাটের ট্রেকিং রুটে গেলেই এই ঝর্না দেখা যায়। আগে যা ব্যবসা বাণিজ্যের কাজে ব্যবহৃত হত, এখন তাইই ট্রেকারদের পছন্দের পথ। বর্ষায় এলে চোখ প্রাণ জুড়িয়ে যায় চারদিকে এত সবুজ, এত সৌন্দর্য দেখে।
কিন্তু সত্যিই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না – এমনটা তো হতেই পারে না। আসলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির চেয়ে আরও বলশালী শক্তি উল্টোদিকে কাজ করে বলেই এমনটা হয়। মাধ্যাকর্ষণ যে শক্তিতে জলকে নিচের দিকে টানে, হাওয়ার বিপরীতমুখী গতি ও তার শক্তি থাকে তার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে তখন হাওয়ার ধাক্কায় ঝর্নার জল নিচে পড়তে পারে না। হাওয়া তাকে ধাক্কা মেরে উপরে পাঠিয়ে দেয়। ঝর্না জল উপরের দিকে উড়ে যায় হাওয়ার বেগে। বর্ষার সময় গেলেই এই উল্টো ঝর্না দেখা যায়। যাবেন নাকি এই বর্ষায় তার রূপ দেখতে?
এনগেজড হওয়ার পরেও মনে নানান সমস্যা, চিন্তা উঁকি দেয়, তাদের কী সামলানো যায়?
বিজেপির এই গানে বোধহয় শুধুই অনির্বাণদের উত্তরই দেওয়া হল, কিন্তু মানুষের মন ছুঁতে পারল কই?
ভোট পুজোর আগে এই ছড়া, কার্টুন, ইত্যাদির মধ্যে দিয়েই বাংলার সুস্থ সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে।
কোভিড হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, নরক যন্ত্রণা ভোগ ও কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু।
এই বিপদে জনপ্রতিনিধিরা ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে, নাগরিকরাই একে অন্যের পাশে থেকে কঠিন লড়াই লড়ছে।
এ দেওয়ালে বুদ্ধ, ও দেওয়ালে মমতা, ব্যঙ্গচিত্র থেকে ছড়া, হারিয়ে যাচ্ছে ভোটের আগের দেওয়াল লিখন।