×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • ভোটের রসে মজেছে বাংলা

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 26-03-2021

    প্রতীকী ছবি।

    ভোটের আগে বাংলার সব দেওয়ালই যেন সাহিত্য-সংস্কৃতির আখড়া হয়ে গিয়েছে। সে সমাজ মাধ্যমের দেওয়াল হোক বা পাড়ার বাড়িগুলোর দেওয়াল। এখন যেদিকেই তাকাও, সেদিকে ছবি আর ছড়া। বহুবছর বাদে ভোট পুজোর জন্য চারপাশে বেশ সাজো সাজো রব যে পড়ে গেছে, তা বলাই যায়। 

     

     

    সোশাল মিডিয়ায় তো এখন প্রতি মুহূর্তে ভোট উৎসবের তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে। কেউ মিম বানাচ্ছে তো কেউ ছবি আঁকছে। কারও কারও আঁকা কার্টুন তো রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মানুষের মধ্যে। এছাড়া তো ছড়া রয়েইছে। সেই ছড়ার মাধ্যমে কখনও নিজেদের প্রচার করা হচ্ছে কখনও বা অন্য দলকে আক্রমণ করা হচ্ছে তির্যক ভাষায়। 

     

     

    বামেরা নিজেদের প্রচার করতে লিখেছে, ‘দেশটাকে যারা ডোবাতে বসেছে / বাংলা গড়বে তারা / করোনাকালে বাংলা দেখেছে / মানুষের সাথী কারা।' আর শাসকদলের বিরুদ্ধে তাদের দেওয়াল লিখন হল, ‘কে মেরেছে কে ঠেলেছে কে দিয়েছে ল্যাং / এবার ভোটে তাই তো পিসির শেষ ভরসা ঠ্যাং!’ তৃণমূলও বাকি নেই বিপক্ষের দলগুলোকে আক্রমণ করতে। তারা বিজেপির বিরুদ্ধে ছড়া কেটেছে এই ভাবে – "নেতা কিনতে লাগছে টাকা / তেল কিনতে পকেট ফাঁকা / মানুষ এবার জবাব দেবে / বন্ধু এবার খেলা হবে।' শুধু তাই নয় তারা একটি প্লাস্টার করা পায়ের ছবি দিয়ে লিখছে, ‘ভাঙা পায়েই খেলা হবে!’ যার মর্মাথ বাংলার জনসাধারণের বুঝতে নাকি নেই। এমন আক্রমণের পর বিজেপি কি চুপ করে আছে নাকি? তারাও লিখছে, ‘দিদির পায়ে হাওয়াই চটি / ভায়েরা সব কোটিপতি!’

     

     

    মাঝে কিছু বছর যেমন ভোটের ছড়া বা কার্টুন দেখা যাচ্ছিল না, সোশাল মিডিয়ার দৌলতে সেটাই যেন আবার ফিরে এল। ভোটের এই সংস্কৃতি বঙ্গবাসীর পরিচিত, তাকে ফিরে পাওয়ায় অনেকেই খুশি। অনেকের মতে যতই দলাদলি থাক, যতই নেতারা একে অন্যকে কথার জালে বিঁধুক, তবুও এই ছড়া এবং কার্টুন বা আঁকার মধ্যে এক সুস্থ সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। 


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    এনগেজড হওয়ার পরেও মনে নানান সমস্যা, চিন্তা উঁকি দেয়, তাদের কী সামলানো যায়?

    করোনার টিকা হয়নি অথচ স্কুলে যেতে হচ্ছে এমন ছোটদের অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার অবসান এবার।

    এ দেওয়ালে বুদ্ধ, ও দেওয়ালে মমতা, ব্যঙ্গচিত্র থেকে ছড়া, হারিয়ে যাচ্ছে ভোটের আগের দেওয়াল লিখন।

    গানটিতে বারংবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির কুশাসন, অত্যাচারের কথা।

    মনুষ্যসৃষ্ট দূষণ এবং অন্যান্য কারণে পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে জীব বৈচিত্র্যের বড় অংশ।

    হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামকে ছাপিয়ে সিগন্যাল এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

    ভোটের রসে মজেছে বাংলা-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested