বলা হয়ে থাকে তরুণ সুভাষচন্দ্র বোসের মধ্যে তিনিই প্রথম দেশপ্রেমের বীজ বপন করেছিলেন। সেই বেণীমাধব দাস যে তাঁর নিজের দুই কন্যার মধ্যেও একই ভাবে দেশের জন্য লড়াই করার মন্ত্র বপন করে দেবেন খুব ছোট বয়সেই, তা আর আশ্চর্যের কী! তাঁর দুই কন্যা বীণা দাস এবং কল্যাণী দাস। তাঁদের দু’জনেরই রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম, ছোট থেকেই দেশের জন্য পরিবারের মানুষদের নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করতে দেখেছিলেন। শুধু তাঁদের বাবা নয়, মা সরলা দেবীরও প্রবল সাংগঠনিক ক্ষমতা ছিল। তাঁদের মেজদাও জাতীয় আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
মাত্র একুশ বছর বয়সে 1932 সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যুগান্তর দল এবং ছাত্রী সংঘের সদস্য বীনা দাস ব্রিটিশ গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা করেন। পাঁচটি গুলি নিক্ষেপ করেন স্ট্যানলির দিকে, যদিও পাঁচটি গুলিই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং তিনি ধরা পড়েন। কারাবাস এমনকি প্রাণদণ্ড হতে পারে জেনেও অত অল্প বয়সে বীণা তাঁর লক্ষ্যে অবিচল থেকে এগিয়ে গিয়েছিলেন। প্রাণদণ্ড না হলেও 9বছর কারাবাস হয় তাঁর। বাতিল করে দেওয়া হয় তাঁর স্নাতকের ডিগ্রি। পরবর্তী সময়ে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর 1941-45সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ কলকাতার কংগ্রেসের সম্পাদিকা ছিলেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়ে আবারও দীর্ঘ সময়ে কারাগারে বন্দি হন। শুধু পরাধীন ভারতে নয়, স্বাধীন ভারতেও তাঁর জীবদ্দশায় ভুল কিছু দেখলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন, ঠিক যেমনটা মরিচঝাঁপির সময় করেছিলেন।
আরও পড়ুন:স্বাধীনতার সৈনিক বিপ্লবতীর্থ চন্দননগরের মতিলাল রায় ও মনীন্দ্রনাথ নায়েক
কল্যাণী দাসও ছিলেন তাঁর বোনের মতোই যুগান্তর এবং ছাত্রী সংঘের সদস্যা। 1930সালে ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ জানান বিভিন্ন কলেজের ছাত্রীদের একত্রিত করে, আইন অমান্য আন্দোলনের জন্যও ছাত্রীদের উৎসাহিত করেন। এই কারণে তাকে কারাবরণ করতে হয়। 1932 সালে দ্বিতীয়বারের জন্য আইন অমান্য আন্দোলনে যোগদানের কারণে গ্রেপ্তার হন। বিবাহের পর স্বামীর সঙ্গে বম্বে চলে যান, সেখানে গিয়ে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হওয়ার কারণে আবারও কারাবাস হয় তাঁর।
অগ্নিযুগের এই দুই অগ্নিকন্যা দেশের জন্য তাঁদের জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কাটান, বিভিন্ন প্রতিবাদ এবং জাতীয় আন্দোলনের শরিক হন। ভারত সরকার বীণা দাসকে পদ্মশ্রী সম্মান অর্পণ করে এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে বীণা দাসকে মরণোত্তর স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করে, যা ব্রিটিশ সরকার রদ করে দিয়েছিল।
অক্ষমতা নিয়েও যে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, দেশের মুখ উজ্জ্বল করা যায়, প্যারাঅলিম্পিক্স যেন তা স্মরণ করিয
স্বামী ধর্ষণ করলেও সেটা ধর্ষণই কর্নাটক হাইকোর্টের এই রায় বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে নতুন ভাবনার দরজা খুলে দ
ওষুধ, খাবার, মাদক, মারণ বোমা সবই ডেলিভারি দিচ্ছে ড্রোন– এবার তাকে সামলাতে হবে!
2021 -এ উত্তর পূর্ব ভারতে প্রায় 30-60 শতাংশ ঘাটতি দেখা গিয়েছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে।
মানুষ যাতে নিজেকে বাঁচাতে পারে, তার জন্য বাতাসে কতটা বিষ মিশছে, প্রতিনিয়ত তার হিসেব দেবে জলবায়ু ঘড
অনীক দত্তের অপরাজিত এবং সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।