ভারতের চেরাপুঞ্জিকে বলা হত পৃথিবীর সবথেকে বর্ষণমুখর জায়গা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চেরাপুঞ্জি তার এই শিরোপা হারায়। বর্তমানে চেরাপুঞ্জি থেকে 15 কিলোমিটার দূরে থাকা মৌসিনরাম এই শিরোপার অধিকারী। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমেছে। কিন্তু কেন?
লক্ষ্য করে দেখা গিয়েছে 1973 সাল থেকে ক্রমশ ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে। এবং বর্তমানে এই বদলটা ভীষণই স্পষ্ট। এই বছর প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে উত্তর পূর্ব ভারতে 30-60 শতাংশের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। সব থেকে বেশি ঘাটতি দেখা গিয়েছে অরুণাচলে, 60 শতাংশ। অসম, মেঘালয়ে 30 শতাংশ এবং নাগাল্যান্ড, মনিপুর ও মিজোরামে প্রায় 55 শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মরুভূমিতে নতুন সবুজ? লক্ষণ ভাল নয়!
এই পরিবর্তনের নেপথ্যে রয়েছে ভারত মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। বিশ্বভারতীর ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং গবেষক গুরু প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘ভারত মহাসাগরের দুই ভাগের প্রথম ভাগ, বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রা এমনই যে, দ্বিতীয় ভাগ আরব সাগরের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। একই সঙ্গে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও এখানে অনেক বেশি। বঙ্গোপসাগরে উলম্ব বাতাসের স্তম্ভ অনেক কম থাকে, যেগুলো নীচ থেকে উপরে তাপ সংবহন করে। এর সঙ্গে, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে তাপমাত্রা এবং জলস্তর দুই আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং ভারত মহাসাগর, বিশেষত বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা পরিবর্তনই উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টি হ্রাস পাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিগত 20 বছরে জঙ্গল ধ্বংস হয়েছে ভয়ানক মাত্রায়। জঙ্গলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেটে সাফ করে বানানো হয়েছে চাষের জায়গা। ফলে এই দুই মিলে উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টির পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে।'
একদিকে প্রকৃতি, একদিকে মনুষ্য সৃষ্ট কারণ, দুইয়ে মিলে বর্ষণমুখর উত্তর-পূর্ব ভারতের কাছে যেন কম বর্ষাই ধীরে ধীরে নিউ নর্মাল হয়ে উঠছে।
উনি তো পুজো-আচ্চা করেন, প্রদীপ জ্বালান, গোমূত্রও খেয়েছেন, ওঁকে করোনা ধরবে না।
শীতে কলকাতার নতুন ছুটি কাটানোর ঠিকানা কোভিড পরিস্থিতিতেও পর্যটকদের নিয়ে জমজমাট।
কার্গিল যুদ্ধের নায়ক বিক্রম বাত্রার জীবনের নানান গল্প তুলে ধরেছে শের শাহ।
বাংলা সিনেমার দর্শক সংখ্যা কী কমছে? নেপথ্যে কী কারণ?
এটাই হেডলাইন। সঙ্গে পাওয়া গেছে এই সুইসাইডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী আর একটা চিরকূট।
পার্টির দাদা দিদির সঙ্গে পরিচয় থাকলেই দ্রুত মিলছে করোনার টিকা, বাকিদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে দিনের পর