‘বুদ্ধিজীবী বাড়ি আছ?
দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে তোমাদের পাড়া
(আমি) কেবল শুনি রাতের জ্যান্ত মানুষ পোড়া
বুদ্ধিজীবী বাড়ি আছ?’
এক কালে যাঁরা ‘বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান’ মন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন, তাঁরা যখন আজ নিখোঁজ কিংবা প্রিয় পাত্রের স্থান হারানো অথবা বকা খাওয়ার ভয়ে চুপ তখন তাঁদের জন্য কবির অনুকরণে অবলা দাস এই কবিতাই লেখে।
কী জ্বালা বলুন দেখি, কোথায় কারা মারা গেছে টিভি টিফি ফেটে, তার দোষ দিচ্ছে সরকারের উপর এ মানা যায়? আবার বুদ্ধিজীবীদের মতামতও চাইছে! কী আশ্চর্য! এই আহাম্মকের দল কি জানে না বুদ্ধিজীবীরা কেবল সরকার বিরোধী কিছু ঘটলে সেখানে বক্তব্য রাখেন, প্রতিবাদ করেন। বাকি সময় এক অজানা ঠুলি এসে চোখে লেগে যায় তাঁদের। এসব আর কবে বুঝবে অবলা দাসের মতো মানুষজন! তা না, এই মহান তত্ত্ব না বুঝে যত্ত রাজ্যের ভুলভাল কবিতা লিখছে!
বাংলায় নাকি সুশাসন চলে, আইন, পুলিশ এসব খুব ভাল। সবাই দারুন মানে টানে। অবলা এসব দাদু- বাবার মুখে খুব শুনেছে। কিন্তু সে নিজে কী দেখছে? দ্বিতীয় উত্তরপ্রদেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুষ্টু লোকজন তাকে বোঝাচ্ছে বাংলা নাকি এখন ইউপি লাইট! ওরাই তো ওকে ওস্কাচ্ছে, এসব বুঝিয়ে কবিতা লেখাচ্ছে।
মা-কে সবটা বলাতে, মা বলল "বড় বড় দেশে এসব একটু আধটু হয়! ওকোন্নোব্যাপার্না। পুলিশ যেমন দেখেও দেখেনি, বুদ্ধিজীবীরা শুনেও শোনেনি, তুমিও তাই করো। বেশি কোবতে টবতে লিখতে যেও না বাপু। লিখলেও কোথাও পোস্টিও না। তাহলে কিন্তু ওই সিভিক চাকরিও পাবে না ভবিষ্যতে! এই বলে দিলুম। ঘরের ছেলে ঘরে থাকো বাপ আমার।'
আরও পড়ুন: জীবনের গল্প 10 টাকায়!
অবলা দাস ভীষণ ঘেঁটে গেল। কার কথা মানবে? ওদের, যারা বলে পথে নামো, বিপ্লব করো, প্রতিবাদ করো? নাকি মায়ের? মায়ের কথাই বরং মানি, কী হবে বিপ্লব টিব্লব করে? ঘরের ছেলে ঘরে থাকি। এসব কবিতা চুলোয় যাক! এসবই মনে মনে ভেবে স্থির করে অবলা। তারপর, সদ্য লেখা কবিতার পাতাটি ছিঁড়ে ফেলে দিল। তারপর খাটে আয়েস করে শুয়ে গান চালাল। এমন সময় কোথা থেকে পোড়া গন্ধ এল। আর সঙ্গে মায়ের চিৎকার যে একটু আগে প্রতিবাদ করতে বারণ করে গেল। তার মানে কি ওর বাড়িতেও আগুন...!
অবলা ছুটে গেল কিন্তু গিয়ে দেখে ও না ওর দিকে আগুন এগোচ্ছে। নিজের ঘরে সুরক্ষিত ভাবে সুখে থাকতে চেয়েছিল অবলা সব না দেখার ভান করে, কিন্তু ভুলে গিয়েছিল এখন এই রাজ্যে নিজের ঘরও সুরক্ষিত নয়!
মৌমাছিবিহীন মধু তৈরি করছে ইজরায়েলি সংস্থা Bee-io যাতে শুধু মৌমাছিই বাঁচবে না
সব শাশুড়ি কি সমান হয়? ভাল মন্দ কি সকলের মধ্যেই থাকে না?
এটাই হেডলাইন। সঙ্গে পাওয়া গেছে এই সুইসাইডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী আর একটা চিরকূট।
অ্যাক্রোপলিস মলে চলছে কলকাতা স্ট্রিট ফুড ফেস্টিভ্যাল।
হাত ধোওয়া বা স্যানিটাইজ করা উচিত, এই অভ্যেস থাকা অবশ্যই ভাল। কিন্তু অমূলক ভয় থাকা নয়।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি অংশের যোগাযোগের প্রধান সেতু আজ বিপন্ন