একদিকে ওমিক্রনের (omicron) চোখ রাঙানি, আর একদিকে জাওয়াদ(jawad cyclone)। তৃতীয়বার লকডাউন হবে কি হবে না তাই নিয়ে যখন চিন্তিত আপামর দেশবাসী, তখন কলকাতাবাসী সব ভুলে মেতে উঠেছে স্ট্রিট ফুড ফেস্টিভ্যালে(street food festival)।
কলকাতার(kolkata) অন্যতম আকর্ষণই বোধহয় তার বাহারি স্ট্রিট ফুড। ফুচকা, মোমো, পান, ভেলপুরি, পাপড়ি চাট, চপ.... এবং এই লিস্ট শেষ হওয়ার নয়। অফিস ফিরতি পথে হোক বা টিউশনে কিংবা নিছকই বাড়ির সান্ধ্য আড্ডায় বাঙালির জীবনে স্ট্রিট ফুডের ভূমিকা এবং জায়গা অনেকখানি। সেই কথা মনে রেখেই অ্যাক্রোপলিস আয়োজন করেছে তিনদিন ব্যাপী কলকাতা স্ট্রিট ফুড ফেস্টিভ্যালের।
পানের পসরা
অ্যাক্রোপলিস মলের নীচেই বিভিন্ন দোকান তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছে। দুপুর বারোটা থেকে রাত দশটা অবধি চলছে এই ফেস্টিভ্যাল। কী নেই সেখানে? কফি থেকে মোমো, প্যাটিস থেকে ব্লু লেগুন, পান থেকে মিষ্টি, আইসক্রিম সবকিছুই। যা চাইবেন তাই হাজির।
অফিস ফেরত, স্টুডেন্ট বা বাড়ির লোকের সঙ্গে অনেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন। অসময়ের বৃষ্টি, করোনার ভয় উপেক্ষা করেও ভিড় নজরে এল বেশ ভালই। বেহালা থেকে শুভজিৎ চ্যাটার্জি তার বান্ধবীর সঙ্গে এসেছিলেন। বিভিন্ন স্টল ঘুরে নানান খাবার টেস্ট করছিলেন। তাঁর কথায়, ‘ভাল উদ্যোগ। এক ছাদের তলায় নানান লোভনীয় খাবার। সপ্তাহান্তের কিছুটা সময় কাটানোর জন্য বেশ ভাল। ভাল লাগল এসে। তবে খাবারের দাম একটু বেশি মনে হল।‘
আরও পড়ুন:জাতীয় সৌধ যেখানে পুনর্বাসনের জায়গা!
অ্যাক্রোপলিস মলের উদ্যোগে এবং রেডিও ওয়ান, ফিভার একশো চার এবং ফুডি বাঙালির সহযোগিতায় হওয়া এই স্ট্রিট ফুড ফেস্টিভ্যালের অন্যতম স্টল দ্যা গালির এক কর্মী জানান, ‘এই ফেস্টিভ্যাল বহু বছর ধরেই আয়োজিত হয়ে আসছে। মানুষের থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছি।‘ এই স্টলের অন্যতম নজরকাড়া খাবার হচ্ছে ‘কলকাতা ভেটকি’, ‘চিজ ফুচকা’ এবং ‘পিৎজা ফুচকা’। ওয়াও মোমো তাদের জনপ্রিয় কিছু মোমো রেখেছে স্টলে। নবীন চন্দ্র দাসের স্টলে রয়েছে তাদের জনপ্রিয় মনোহরা, জলভরা, চকোলেট বোম ইত্যাদি। তবে সব থেকে বেশি নজর কাড়ছে রয় পান প্যালেসের চকোলেট পান এবং আইস পান। বেশ অভিনব ব্যাপারটা। পানের উপর চকোলেট মাখানো। খেতেও বেশ ভাল। একদম অন্যরকম।
কাবাব
মোট এগারোটি দোকানের বারোটি স্টল আছে। আছে কলকাতার রাস্তার পাশে পাওয়া নানান বাহারি খাবার। মনোরম পরিবেশ। ফলে সপ্তাহান্তের সময় কাটানোর জন্য সিনেমা কিংবা রেস্তোরাঁর বদলে এই সপ্তাহে অ্যাক্রোপলিস মলের আয়োজিত ‘চটপটা’ কলকাতা স্ট্রিট ফুড ফেস্টিভ্যাল খাদ্যরসিকদের অন্যতম সেরা গন্তব্য হতেই পারে।
চাঁদের কারণে আগামী দশকে পৃথিবী ভাসতে চলেছে।
বর্ষশেষের আগের রাতে রূপম ইসলাম তাঁর ভক্তদের উপহার দিয়ে গেলেন এক অনন্য সঙ্গীতময় সন্ধ্যা।
প্রতিবাদের স্বর সরকার বা কর্তাদের কানে পৌঁছতে হলে প্রতিবাদীকে হতে হবে ভাইরাল
পুজো যখন সবার, উপহারও তো সবারই পাওয়ার কথা, নয় কী?
যাবেন নাকি একবার ভারতের বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে? গেলেই কিন্তু হারিয়ে যাওয়া যায়!
যতটা সম্ভব কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। তবেই আগামী দিনে যে বিপদ অপেক্ষারত তাকে এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে।