×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • ভোট যত কাছে আসছে করোনা ততই চোখ রাঙাচ্ছে

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 23-03-2021

    ভোটের সময় করোনাকে আব্বুলিশ!

    রাজ্যের দরজায় কড়া নাড়ছে ভোট সঙ্গে করোনাও। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। Covid 19 is spreading rapidly in Bengal and no safety protocols are maintaining by the political parties in election campaign. একমাস আগে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা 100-এরও নিচে ছিল, বর্তমানে সেটা 400 ছুঁয়েছে। বাড়ছে সংক্রমণের হার, কমছে সুস্থতার হার। 16 মার্চ রাজ্যে গড় সুস্থতার হার ছিল 97.68 শতাংশ, বর্তমানে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে 97.61 শতাংশ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে থাবা বসিয়ে দিয়েছে, তা টের পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কোথায় সচেতনতা? 

     

     

    আর ক’দিন বাদেই রাজ্যে ভোট উৎসব শুরু হয়ে যাবে। জোরকদমে চলছে তারই প্রচার। কিন্তু সেই প্রচারে কোথায় করোনার বিধিনিষেধ? সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাট রাজ্যবাসী বহুদিন আগেই তুলে দিয়েছে। তার ছাপ বাসে, ট্রামে, পাড়ার আড্ডা সহ ভোট প্রচারেও দেখা যাচ্ছে। প্রার্থী সহ, বিভিন্ন দলের নেতা কর্মী, যাঁরা ভোট প্রচারে বেরোচ্ছেন, তাঁদের অনেকের মুখেই থাকছে না মাস্ক। তাঁরা ব্যবহার করছেন না স্যানিটাইজারও। উল্টে চলছে নাচ, গান। সব বিধিনিষেধ ভুলে চলছে আলিঙ্গনও, কারণ বোঝাতে হবে তো যে আমি আপনাদের ঘরেরই লোক! সে যতই করোনা চোখ রাঙাক! এই একটি ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রতিটা রাজনৈতিক দল এক। কোথাও নেই বিন্দুমাত্র ফারাক। 

     

     

    অথচ নির্বাচন কমিশন বলছে বিহারের মডেল মানা হবে রাজ্যে। করোনা পরিস্থিতিতে বিহারে যেভাবে ভোট হয়েছে, সেই একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে বাংলায়। যাঁরা বুথে বসবেন তাঁদের ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বলা হয়েছে ভোট চলাকালীন মাস্ক পরা, স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। সঙ্গে কোনও ভোটারের যদি তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় বেশি থাকে বা করোনার লক্ষণ দেখা যায়, তাঁকে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার একদম শেষ পর্যায় এসে ভোট দিতে হবে সমস্ত নিয়ম মেনে। এ তো গেল ভোট গ্রহণের সময় সতর্কতা। কিন্তু প্রচারের ক্ষেত্রে কোথায় সেই সতর্কতা? নির্দেশ? সব ভয়কে উড়িয়ে দিয়ে রীতিমত জমায়েত করে চলছে ভোট প্রচার। আর এদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার পর সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটাই ভাবাচ্ছে সচেতন মহলকে। আপাতত রাজ্যের সমস্ত হসপিটালে অক্সিজেন পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখতে বলা হচ্ছে। বেড সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস করোনা মোকাবিলার তৈরি করে রাখতে বলা হচ্ছে। কিন্তু সবকিছুর পরেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা কোথায়? যাঁরা মানুষের হয়ে কাজ করতে চাইছেন, তাঁদের মধ্যেই বা কোথায় সতর্ক থাকার বার্তা? জনমানসে নিজের প্রচারের পাশাপশি করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলার বার্তা পৌঁছে দেওয়া কি তাঁদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না? নাকি সবটাই এখন শুধু ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে? 


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    মানুষের একটি অতি সাধারণ প্রবণতার কারণে একটি গোটা গ্রামকে দেখলে মনে হয়, সে যেন ঘুরছে!

    যৌবনের স্বপ্নগুলো বাস্তবের মাটিতে আছাড় খেয়ে ভেঙে জীবন এগিয়ে গেলেও মনে থেকে যায় সেই সোনালী দিন।

    জীবনের কিছু সার সত্য কথা গল্পের আকারে তুলে ধরা হয়েছে।

    এনগেজড হওয়ার পরেও মনে নানান সমস্যা, চিন্তা উঁকি দেয়, তাদের কী সামলানো যায়?

    বিজেপির এই গানে বোধহয় শুধুই অনির্বাণদের উত্তরই দেওয়া হল, কিন্তু মানুষের মন ছুঁতে পারল কই?

    যৌনকর্মীরা সামাজিক স্বীকৃতি আর আইনগত অধিকারের মধ্যে কোনটা কতটা পেলেন সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে

    ভোট যত কাছে আসছে করোনা ততই চোখ রাঙাচ্ছে-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested