×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • চোর পালালেও বুদ্ধি বাড়ছে না!

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 11-12-2020

    রাতের অন্ধকারে সে এভাবেই আসছে

    বাড়িতে চোর এলে কী করবেন? পুলিশে খবর দেবেন তাই তো? আর পুলিশ এসে চোরকে ধরে দু ঘা দিয়ে লকআপে আটকে রাখার বদলে ও তো পাতাখোর, কী আর করবে বলে যদি ছেড়ে দেয়, তখন? বা সেই পাতাখোরই যদি পুলিশের সামনে আপনাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় তখন? রাগ ধরবে তো? তখন আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন পুলিশ কিছু করুক? কিন্তু পুলিশ কিছুই করবে না, কারণ তাদের মতে সে পাতাখোর’, চোর না। মাঝরাতে দরজা ভেঙে আপনার বাড়ি ঢুকেছিল আপনার সঙ্গে লুকোচুরি বা লুডো খেলবে বলে। যাই হোক, কী আর করবেন আপনি, পুলিশ বলে গেছে, কিচ্ছু হবে না। তারা দেখে নেবে ব্যাপারটা। কী জ্বালা পুলিশও দেখে নেবে বলেছে আবার চোর থুড়ি পাতাখোরও দেখে নেবে বলেছে। আসলে কে দেখে নেবে ধরতে পারবেন না। কিন্তু নিউ আলিপুরবাসীরা ধরতে পারল বৈকি! 

     

    লকডাউনের শুরুর দিকে একজনের বাড়িতে চোর আসায় তাকে শাঁসিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। দেখতে দেখতে বেশ কটা মাস কেটে গিয়েছে। আবার বিগত বেশ কিছুদিন ধরে তাদের আনাগোনা বেড়েছে। কখনও মাঝরাতে প্রতিমার সঙ্গে গপ্পো করে তার গায়ের গয়না, বা লক্ষ্মী ভাঁড় থেকে টাকা নিয়ে পালাচ্ছে, কখনও জানলা দিয়ে হাত গলিয়ে যা পাচ্ছে তাই নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ও তো পাতাখোর কী আর করবে!তবে, পাতাখোর কী করতে পারে সেটা কাল দেখাল। 

     

    এক গৃহস্থর বাড়িতে মধ্যরাতে হানা দিয়ে দরজা ভেঙে ঢুকে স্প্রে করে দেওয়া হয় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা তিনজনের উপরেই। তারপর বাড়িতে থাকা সমস্ত ক্যাশ, সোনার গয়না নিয়ে চলেই যাচ্ছিল। আবার হঠাৎ কী মনে হওয়ায় গৃহকর্তা তাপস গাঙ্গুলিকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে যায় যাওয়ার সময়। 

     

    এতদিন যা শুধুই পাতাখোরের কাজ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছিল, আজ সেই পাতাখোর বা তার সুযোগ নিয়ে অন্য কেউ সাধারণ মধ্যবিত্তের গেরস্থালির সঞ্চয় এভাবে আত্মসাৎ করছে। অথচ এখনও চোর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের টনক নড়েছে বটে। তাই এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো যাকে পারছে তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। সময় থাকতেই যদি প্রথমবার সেই চোরকে উচিত শাস্তি দেওয়া হতো তাহলে হয়তো কয়েকমাসের মধ্যেই একই অঞ্চলে দ্বিতীয়বার আবার এই ঘটনা ঘটত না। আর দেখে নেওয়ার সুযোগ পেত না কেউই। কিন্তু চোর পালানোর পর বুদ্ধি বাড়িয়ে লাভ কি? আপাতত তাপস গাঙ্গুলি এবং তার পরিবার তাদের প্রায় সর্বস্ব খুইয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে এবং পাড়ার বাকি বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। 


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    বাংলা সিনেমার দর্শক সংখ্যা কী কমছে? নেপথ্যে কী কারণ?

    করোনা আবহে ভার্চুয়াল পিকনিকেই ভরসা রাখছে স্কুলগুলি

    রসিকতা নয়। কলকারখানা বন্ধ, আকাশ ও সড়কপথে যান চলাচল অনেক কম। সব মিলিয়ে সারা পৃথিবীতেই দূষণের মাত্রা

    নিজেদের প্রাণ দিয়ে মানুষের ভুলের খেসারত দিচ্ছে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণীরা।

    নিজেদেরই তৈরি করা সমস্যায় মানুষ এখন নিজেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ছে

    বিধানসভা ভোট এবং করোনার কারণে পিছিয়ে গেছে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক, কিন্তু রয়ে গিয়েছে অনেকগুলো প্রশ্ন

    চোর পালালেও বুদ্ধি বাড়ছে না!-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested