×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • করোনার অন্ধকারে একটু আশার আলো

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 18-03-2020

    প্রতীকী ছবি

    বিশ্বজুড়ে করোনার ত্রাসের মধ্যে মানুষ নিঃশ্বাস নিতে পারছে একটু স্বস্তিতে। রসিকতা নয়। কলকারখানা বন্ধ, আকাশ ও সড়কপথে যান চলাচল অনেক কম। সব মিলিয়ে সারা পৃথিবীতেই দূষণের মাত্রা লক্ষণীয়ভাবে কমেছে। যা ধরা পড়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং নাসার উপগ্রহ চিত্রে।

     

    এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা গিয়েছে চিনে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বছরে ১৯০ কোটি টন কয়লার প্রয়োজন সেখান থেকে নির্গত হয় বিপুল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড। তাছাড়াও কলকারখানা ও গাড়ি থেকে নির্গত হওয়া ধোঁয়া বাতাসে বাড়িয়ে দেয় নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ।  ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় শহর। চিনে ৭৫% অকাল মৃত্যুর কারণই হল বায়ুদূষণ। প্রয়োজন হয় এয়ার পিউরিফায়ারের। কিন্তু গত দু’ মাসে অনেকাংশেই কমেছে দূষণের মাত্রা। করোনার ত্রাসে স্তব্ধ চিনের বিভিন্ন শহর। ফলে কমেছে নাইট্রোজেন, কার্বন নির্গমনের পরিমান। দূষণ হ্রাসের ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে

    উহানের দূষণ চিত্র। গতবছরের (উপরে) তুলনায় এবছর

     

    ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ‘কোপারনিকাস ৫-পি' স্যাটেলাইটে দেখা গিয়েছে বায়ুদূষণ হারের পরিবর্তনের চিত্র। শুধু নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড নয়, সালফার-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, মিথেনের পরিমাণও অনেকটাই কমেছে বাতাসে

     

    নাসার গড্ডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক ফেই নিউ জানিয়েছেন,  ‘বিশেষ কোনও কারণের জন্য এই প্রথমবার আমূল পরিবর্তন লক্ষ করা গেল দূষণের মাত্রায়।' গোটা বিশ্বে নাইট্রোজেন নির্গমন কমেছে প্রায় ৩০%। বায়ুদূষণ কমায় চীনে করোনার প্রকোপ খানিকটা হলেও রোধ করা গেছে শুধু তাই-ই নয়, এই দুমাসে দূষণ কমায় প্রায় ৪ হাজার ৫ বছর বয়সী শিশু এবং সত্তরোর্ধ ৭৩০০ জনের প্রাণ বেঁচেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বায়ু দূষণের কারণে মানুষের আয়ু গড়ে ৩ বছর কমে যায়। সেখানে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার কারণে যে মৃত্যু ঘটত, বায়ুদূষণ কমায় সেই মৃত্যুহারও হ্রাস পেয়েছে। ক্লজ জেহনার , ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির মিশন ম্যানেজার জানিয়েছেন, ‘মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য দূষণ কতটা কমেছে তার মাত্রা সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়তবুও এটা ঠিক গত দুমাসে বিপুল পরিমাণে কমেছে দূষণের মাত্রা।'

    স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ইউরোপের ছবি। সংক্রমণের আগে (বাঁ দিকে) ও পরে

    করোনার এই মারণ থাবার মধ্যে পরিবেশ যেন দূষণের হাত থেকে খানিকটা হলেও নিষ্কৃতি পেয়েছে। যদিও এই অবস্থা বেশিদিন থাকবে না বলেই জানিয়েছে সচেতন মহল। কলকারখানা চালু হলেই,  স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পুরনো গতি ফিরে পেলেই আবার বাড়বে দূষণের মাত্রা। 

     

    করোনার জন্য এতটা সচেতন হওয়া যায়, দূষণের মাত্রায় এভাবে প্রভাব ফেলা যায়। তাহলে কি অন্যান্য সময়েও তা মেনে চলা সম্ভব নয়? দূষণের জন্যে বেড়ে চলা বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর যে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে তা আমরা না রুখতে পারলেও অনেকাংশেই যে কমাতে পারি সেটা করোনা দেখিয়ে দিল। কুপ্রভাবের সঙ্গে একটা ভালো প্রভাবও ফেলল করোনা। পরিবেশকে খানিকটা হলেও রক্ষা করল দূষণ থেকে। এবার এর থেকে গোটা বিশ্ব কতটা শিক্ষা নেবে সেটাই দেখার।

     


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    দুর্দান্ত অভিনয়, চিত্রনাট্যের পরেও অস্কারের জন্য মনোনীত হল না সর্দার উধম।

    পুজো যখন সবার, উপহারও তো সবারই পাওয়ার কথা, নয় কী?

    50 লাখ বছরের মধ্যে আফ্রিকা আবারও ভেঙে দু’টুকরো হতে চলেছে।

    সারদা থেকে নারদা হয়ে ভ্যাকসিন, ‘কেলো’ যেন আর তৃণমূলের পিছু ছাড়ছে না!

    কলকাতা মেডিক্যালের ইন্টার্নরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মী N95 মাস্ক পাননি। হচ্ছে না স্বাস্থ্

    শহরের আনাচ কানাচে খোঁজ পাওয়া যায় রমা সর্দারদের যাঁরা নিজের শর্তে বাঁচেন।

    করোনার অন্ধকারে একটু আশার আলো-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested