অরগ্যানিক খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হলেও, শুধুমাত্র তা বড়লোকের জন্য। ভারতের মতো দেশে, যেখানে ৭২.২% মানুষ দরিদ্র এবং দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, সেখানে তারা খুবই কম প্রাণীজ খাবার খান। ডাল, ভাত, আলু সিদ্ধ বা রুটি-শব্জি বা ইডলিই খেয়ে থাকেন তারা। তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম খান কারা? ভারতের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। নিম্নবিত্ত মানুষেরা প্রাণীজ খাবার খেয়ে থাকেন বটেই, তবে তা নিয়মিত নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন দিন আনে দিন খান এরকম মানুষের পক্ষে ডাল-ভাত বা রুটি-শব্জি খেয়ে যদি জীবনধারণ সম্ভব, তবে সব মানুষের পক্ষে কেন সম্ভব না?
রাষ্ট্রপুঞ্জের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, পৃথিবীর বর্ধিত জনসংখ্যা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উপরে ভীষণ চাপ বাড়ার কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ সংকট দেখা দিতে পারে। তবে, যদি টেকসই উপায়ে আরো ৭০ ভাগ বেশি খাদ্য উৎপাদন করত পারে তবে, এই সংকট এড়ানো সম্ভব। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে , বাণিজ্যিক পশুপালনে এক একটি খামার থেকে প্রায় ৩৭% মিথেন নিগর্মন হয় , যা কার্বন ডাই অক্সাইডের থেকে ২০ গুণ বেশি বিশ্ব -উষ্ণায়ন ঘটায়৷ তা ছাড়া ,গোচারণের জন্য মাইলের পর মাইল বনভূমি প্রতি বছর কাটা পড়ে৷ যার ফলে প্রতি বছর বাতাসে কার্বন নির্গমন বাড়ে ২৪০ কোটি টন। আর যাদের আমরা খাওয়ার জন্য বেছে নিচ্ছি, তাদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে বড়সড় শিল্প- বাণিজ্যিক পশুপালন৷ খামারে অপরিচ্ছন্ন, অপর্যান্ত স্থানে ঠেসাঠেসি করে রাখা হচ্ছে অসংখ্য মুরগি, গোরু, ছাগল বা শুয়োরকে৷ দুধের জোগান নিরবচ্ছিন্ন রাখতে গোরুদের কার্যত ধর্ষণ করানো হচ্ছে৷ ডিমের লোভে একই পরিণতি হচ্ছে মুরগিদের৷ মাংসের আশায় হরমোন ইঞ্জেকশন দিয়ে মুরগি বা শুয়োরকে এতটাই ফুলিয়ে -ফাঁপিয়ে তোলা হচ্ছে, নিজেদের পায়ে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারে না তারা। শুধু খাবারই নয়, পশম, উল বোনা, মুক্তোর ব্যবহার এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত।
সেক্ষেত্রে, পরিবেশ রক্ষার্থে এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের প্রাণীজ খাবার বর্জন করে বরং সেই টাকা ভেষজ উপায়ে উৎপাদিত ফসলে এবং খাবারে ব্যয় করা উচিত। মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে উৎপাদনও বাড়বে। ডাল, ভাত, ছোলা, শব্জি, ফল, পোহা, উপমা, ইডলি, বার, ধোসা, ছাতু এইসব খাবারে দিব্যি কেটে যায় একটা মানুষের জীবন সপুষ্ট ভাবে। তাই পশু চাষের ফার্মগুলিতে অরগ্যানিক চাষ বাড়ালেই কমবে ভারতের খাদ্য সংকট।
‘সবসময় মনে হচ্ছে আমরা বাঁচব তো শেষ অবধি?'
কীভাবে ফিরবে গ্রন্থাগারের হাল?
সোশাল মিডিয়া জুড়ে যুবসমাজের এক বিশাল অংশকে এই ‘করোনা উৎসব'কে ব্যঙ্গ করতে দেখলাম।
আমপানের পর রায়দিঘিতে ক্ষয়ক্ষতির সুযোগ নিয়ে রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি।
রামায়ণের যুগের পরও দু-দুটো যুগ চলে গেল, মানুষ এখনোও বলবেন অযোধ্যা কিনা 'রামলালা'র একার?
রবীন্দ্রভারতীর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী বছর থেকে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবেন বলে জানিয়েছেন