×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • একটা পাড়ার লাইব্রেরি কেমন হওয়া উচিত?

    অর্যমা দাস | 31-08-2019

    গণ গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে ৩১ অগস্ট সেরা গ্রন্থাগার সম্মান

    গণ গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে ৩১ অগস্ট সেরা গ্রন্থাগার সম্মান কর্মসূচি পালিত হবে। শহর, মহকুমা গ্রামীণ, প্রাথমিক ও আঞ্চলিক গ্রন্থাগারগুলির মধ্য থেকে একটি করে গ্রন্থাগারকে সেরা হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে-সব গ্রন্থাগারের বেহাল দশা, তাদের দিকে নজর না-দিয়ে এমন পুরস্কারের আদৌ কোনও সার্থকতা আছে কি?


    গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত গ্রাহক নেই। কারণ হিসেবে বলা হয়, বর্তমানের যুবসমাজ বই পড়েন না, পড়লেও তা অনলাইন পড়তে পছন্দ করে। সত্যিই তো, এই তীব্র প্রতিযোগিতার যুগে তাঁদের সময় কোথায় বঙ্কিমচন্দ্র বা তারাশঙ্কর রচনাবলী পাতার পর পাতা উল্টে পড়ার? তাহলে কেনই বা যাবেন তাঁরা গ্রন্থাগারে? এই ভয়ঙ্কর খারাপ চাকরির বাজারে একটা ঠিকঠাক চাকরি যোগাড় করাই তাঁর প্রাথমিক উদ্দেশ্য। তার জন্য তিনি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পারলে 24ঘন্টাই সমাধান করে চলেছেন চাকরির পরীক্ষায় আসা খটমট অঙ্কের। তবে তিনি গ্রন্থাগার না গিয়ে কলেজস্ট্রিট থেকে চাকরির বই কিনবেন না কেন? বা কোনও চাকরির পড়াশোনার ইন্সটিটিউটে যাবেন না কেন? একজন মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রবন্ধু বা প্রশ্নবিচিত্রা খুঁজছে। সে তো গ্রন্থাগারে পাবে না। ফলস্বরূপ সে দোকানেই যাবে কিনতে। এবার আসি গল্পের বইয়ে, পাতা উল্টে উল্টে পড়ার মত সময় কোথায় যুবসমাজের? তিনি যে জীবনযুদ্ধে পড়িমরি করে ছুটে চলেছে। তিনি অনলাইনে বই কিনে মোবাইলে পড়েন বাসে, ট্রেনে যাওয়ার সময়।


    গ্রন্থাগারগুলো পুনর্গঠনের প্রয়োজন। একটা পাড়ার লাইব্রেরিতে গল্পের বইয়ের সাথে সাথে নতুন-পুরনো, দেশীয়-বিদেশী, ধর্ম , শিক্ষা, বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি স্বাস্থ্য সব বিষয়ক বইয়ের ই-বুক থাকা উচিত। লাইব্রেরি কার্ড করা থাকলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গ্রাহক একটি বা দুটি পড়ার অনুমতি পাবেন। সঙ্গে ফ্রি গ্রন্থাগার থাকা আবশ্যক। এছাড়া তিনটি বোর্ডের সব ধরনের পাঠ্যবই এবং পুরনো প্রশ্নপত্র থাকা প্রয়োজন। যুবসমাজের বই পড়ায় আগ্রহ নেই অভিযোগ না করে, তাদের দরকারি বই রাখলেই রমরমিয়ে চলবে সব গ্রন্থাগার গুলো।


    গ্রন্থাগার পরিচালনার জন্য আগে সরকারি ভাবে ৫৫২০টি অনুমোদিত পদের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু সেখানে কর্মী-সংখ্যা কমে হয়েছে ২১০০। অর্থাৎ ৩৪২০টি পদ খালি। এক-এক জন গ্রন্থাগারিককে একাধিক গ্রন্থাগারের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার অস্থায়ী ভাবে নিযুক্ত কর্মীকে গ্রন্থাগার সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা যে-কেউ করতে পারেন না। রীতিমতো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। যে-সব অস্থায়ী কর্মীর প্রশিক্ষণ নেই, তাঁরা কতটা দক্ষতার সঙ্গে গ্রন্থাগার সামলাতে পারেন প্রশ্ন থেকেই যায়। তাই বইয়ের সংযোগের সঙ্গে সঙ্গে লাইব্রেরিয়ানদের ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশিক্ষণ প্রদান প্রয়োজন। তবেই ফিরবে গ্রন্থাগারের হাল। পুরস্কার পাবে অনেক গ্রন্থাগার।
     


    অর্যমা দাস - এর অন্যান্য লেখা


    গোটা হলঘর সুশান্তের হাসিতে গমগম করছিল।

    দশ টাকার চাল-ডালের জন্য মরিয়া ভারতসন্তান তোমার।

    শুধু শাস্তি পেল না পুরুষতন্ত্রের সেই কণ্ঠস্বর যা শোনা যাচ্ছিল উকিল এ.পি. সিং-এর মুখে

    আমার নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার তুমি কে হে বাপু?

    সোশাল মিডিয়া জুড়ে যুবসমাজের এক বিশাল অংশকে এই ‘করোনা উৎসব'কে ব্যঙ্গ করতে দেখলাম।

    কিন্তু পাড়ায় অবসরের কাজের খোঁজার এই স্মৃতি রয়ে যাবে।

    একটা পাড়ার লাইব্রেরি কেমন হওয়া উচিত?-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested